বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন

অনতিবিলম্বে মাদরাসায় বিধর্মী সংস্কৃতি চৈত্র সংক্রান্তি পালনের নির্দেশনা প্রত্যাহার করুন

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ এএম | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ এএম

বাঙালী সংস্কৃতির নামে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব, প্রথা ও রীতি-নীতি মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দেয়া মানবাধিকার ও ধর্মীয় অনুশাসন লঙ্ঘনের সামিল বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি দেশের সংস্কৃতি উপদেষ্টার দপ্তরের এক সভা থেকে চৈত্র সংক্রান্তি, বাংলা নববর্ষ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নববর্ষ জাতীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশের সরকারি বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জাকজমকভাবে উক্ত অনুষ্ঠানসমূহ পালনের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করায়, সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সকল মাদরাসায় বর্ষবরণ ও চৈত্র সংক্রান্তি অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হলে নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেন।

সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, বাঙালী কোন ধর্ম নয়, একটি জাতি। বিশ্বের সকল ধর্মের মানুষের কাছে জাতি-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির থেকে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুশাসন অনেক উর্ধ্বে। জাতীয় সংস্কৃতি হতে হবে স্বজাতিক জনগোষ্ঠীর পূর্ণ সমর্থনে বিতর্কহীন বিষয়সমূহ। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঁচর কেটে জাতীয় সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। একজন হিন্দু কিংবা খ্রিষ্টান যেমনিভাবে ঈদুল ফিতর, কুরবানী, ঈদে মিলাদুন্নবী, আশুরাসহ মুসলিম ধর্মীয় অনুশাসন পালনে অসমর্থতা দেখাবে, অনুরূপ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিধর্মীদের রীতি-নীতি উদযাপনকে প্রত্যাখ্যান করবে এটিই স্বাভাবিক। দেশের মাদরাসা শিক্ষাকে লক্ষ্যচ্যুত করা ও শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্ক ভিন্ন ধর্মের শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চলছে বহু যুগ ধরে। যার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত ইতিপূর্বে রচিত পাঠ্যপুস্তক। ঐসকল কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক যেমনিভাবে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয়েছে, বর্তমানের জাতীয় সংস্কৃতির নামে ভিন্ন ধর্মের উৎসব পালনের বিষয়টিরও তদ্রুপ পরিণতি হবে। দ্বীনি শিক্ষা তথা মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের শিরক-বিদআত থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দেওয়া হয়। সেখানে পৌত্তলিকতা, পূজা, পার্বনেরমত শিরকযুক্ত সংস্কৃতির কোন স্থান নেই।

নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ ও আক্ষেপ নিয়ে বলেন, দেশ সংস্কার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অগ্রসর হচ্ছে। এমতাবস্থায় এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করবে এবং বিষয়টি ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য নেপথ্যে কোন গোষ্টির চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। একইসাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক মাদরাসাসমূহে জারীকৃত অযৌক্তিক ও অগ্রহণীয় এ আদেশ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান নেতৃবৃন্দ। অন্তত মাদরাসা শিক্ষায় নতুন কোন বিষয় সংযোজন-বিয়োজনে আলেম ওলামাদের সাথে পরামর্শেরও দাবী জানানো হয়।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে
হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চ গঠন, রোববার থেকে চলবে বিচারকাজ
‘বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই, দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলমান থাকবে’
১ মে থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদনকারী সব খামার বন্ধ ঘোষণা
ভারতের ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করতে লিগ্যাল নোটিশ
আরও
X

আরও পড়ুন

শেরপুর ভোগাই নদীতে অভিযান, ২০ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও ১ লাখ টাকা জরিমানা

শেরপুর ভোগাই নদীতে অভিযান, ২০ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও ১ লাখ টাকা জরিমানা

বিএনপি নেতাদের গোশত ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি, ছাত্রদল আহবায়ককে শোকজ

বিএনপি নেতাদের গোশত ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি, ছাত্রদল আহবায়ককে শোকজ

অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে

অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পূর্ণ-নির্মাণের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পূর্ণ-নির্মাণের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা

মোংলায় বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু

মোংলায় বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু

ব্যাংকের ভেতরেই প্রতারক চক্রের ফাঁদে নারী!

ব্যাংকের ভেতরেই প্রতারক চক্রের ফাঁদে নারী!

শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একমত চীন ও মালয়েশিয়া

শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একমত চীন ও মালয়েশিয়া

হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চ গঠন, রোববার থেকে চলবে বিচারকাজ

হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চ গঠন, রোববার থেকে চলবে বিচারকাজ

কালীগঞ্জে পৌরসভাকে পরিস্কার রাখতে প্লাসটিকের  ডাস্টবিন স্থাপন

কালীগঞ্জে পৌরসভাকে পরিস্কার রাখতে প্লাসটিকের ডাস্টবিন স্থাপন

‘আগামী মাসে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া’

‘আগামী মাসে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া’

তামাকের প্যাকেট দেখিয়ে পাকিস্তানী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিদ্ধস্তের খবর দিলো ভারতীয় মিডিয়া!

তামাকের প্যাকেট দেখিয়ে পাকিস্তানী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিদ্ধস্তের খবর দিলো ভারতীয় মিডিয়া!

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা : আরাভ খানের যাবজ্জীবন

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা : আরাভ খানের যাবজ্জীবন

সদরপুরে স্বর্ণেরবার দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতার

সদরপুরে স্বর্ণেরবার দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতার

‘বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই, দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলমান থাকবে’

‘বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই, দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলমান থাকবে’

সালথায় ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক

সালথায় ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক

নগরীতে পানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি

নগরীতে পানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি

অবৈধ ভাবে ভারতের অনুপ্রবেশকালে দুই যুবক বকশীগঞ্জ সীমান্ত থেকে আটক !

অবৈধ ভাবে ভারতের অনুপ্রবেশকালে দুই যুবক বকশীগঞ্জ সীমান্ত থেকে আটক !

কর্ণফুলীতে ৫ টাকা বেড়েছে ঘাট ভাড়া; বিপাকে পড়েছেন এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা

কর্ণফুলীতে ৫ টাকা বেড়েছে ঘাট ভাড়া; বিপাকে পড়েছেন এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা

৫০ লাখ ডলারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ, বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু

৫০ লাখ ডলারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ, বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু

রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সাসপেন্ড ও ৫ শিক্ষককে জরিমানা

রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সাসপেন্ড ও ৫ শিক্ষককে জরিমানা