মাদরাসায় বাঙালি সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি বন্ধ করুন :বিভিন্ন ইসলামী দলের প্রতিবাদের ঝড়
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ এএম | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ এএম

বহুত্ববাদে বিশ্বাসী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদরাসা অধিদফতরের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে চৈত্র-সংক্রান্তি উৎসব পালন করতে মাদরাসাগুলোতে নির্দেশ দিয়ে সরকার মুসলিম শিক্ষার্থীদের শিরকের মতো কবিরা গুনাহের কাজে ঠেলে দিচ্ছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কৃষ্টি কালচার বা ধর্মীয় উৎসব পালনে মাদরাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ছাত্র-ছাত্রীকে বাধ্য করা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। মাদরাসায় বাঙালি সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিকে জাতীয় উৎসব বানানোর ষড়যন্ত্র এদেশের তৌহিদি জনতা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। অনতিবিলম্বে ইসলামবিদ্বেষী প্রজ্ঞাপণ প্রত্যাহার করতে হবে এবং মাদরাসায় মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিবর্তে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে হবে। দেশের মাদরাসা অধিদফতরের অধীনে সব মাদরাসায় দুই দিনব্যাপী পহেলা নববর্ষ, মঙ্গল শোভাযাত্রা বা আনন্দ শোভাযাত্রা পালনের প্রজ্ঞাপন জারির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইসলামী দলের প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নিদের্শনা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ গতকাল শনিবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ছারছীনার পীর সাহেব : ছারছীনা দরবার শরীফের গদ্দিনশীন পীর ছাহেব মুফতি শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন বলেছেন, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের জারিকৃত চৈত্র-সংক্রান্তি ও নববর্ষ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। বিবৃতি ছারছীনার পীর সাহেব বলেন, গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর এক প্রজ্ঞাপনে দেশের মাদরাসাসমূহে দুই দিনব্যাপী চৈত্র-সংক্রান্তি ও নববর্ষ পালনের নির্দেশনা জারি করেছে। এটি ৯০ শতাংশ মুসলমানদের দেশে খুবই দুঃখজনক। আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যেখানে দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মুসলমান। তাদের দ্বারা হিন্দুদের পূজা পার্বণ করানো ও অমার্জনীয় অপরাধ। আমি অবিলম্বে এই এ নির্দেশনা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি এবং এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে সরকারের আশু সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : নববর্ষের নামে মাদরাসায় বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিপালনের আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এক বিবৃতিতে দলের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, সম্প্রতি জাতীয় চৈত্র-সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন মাদরাসাগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ও সাড়ম্বরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। নেতৃদ্বয় বলেন, মাদরাসা একটি ইসলামী ধর্মভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে শিক্ষার্থীদের কুরআন-সুন্নাহ, ঈমান-আকিদা, ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করা হয়। বাংলা নববর্ষ ও পার্বত্য নৃ-গোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপনের প্রচলিত পদ্ধতি মূলত ধর্মনিরপেক্ষ কিংবা ভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অংশ, যা মাদরাসার শিক্ষার উদ্দেশ্য ও ধর্মীয় চেতনার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। অবিলম্বে নববর্ষের নামে মাদরাসায় বিজাতীয় সংস্কৃতি পালনের নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে।
জমিয়তে উলামায় ইসলাম বাংলাদেশ : জমিয়তে উলামায় ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শাইখুল হাদিস ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম নববর্ষ উদযাপনের নামে মাদরাসাসমূহে বিজাতীয় সংস্কৃতি পালনের জারিকৃত নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাদরাসা অধিদফতরে ঘাপটি মেরে থাকা ইসলামবিদ্বেষী চক্র ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং ভারতকে খুশি করতেই এ ধরনের নির্দেশনা জারি করেছে। যুগ যুগ ধরে মাদরাসাগুলো তাদের ধর্মীয় নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত অধিকার। ফলে, এ ধরনের আদেশ জারি করা মাদরাসার ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থি এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস ও চেতনাকে আঘাত করার শামিল। দ্রুত ইসলামবিদ্বেষী নির্দেশনা প্রত্যাহার এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের বিতর্কিত কুলাঙ্গার ডিজিকে অবিলম্বে অপসারণ করে যোগ্য ও ইসলামপ্রিয় ব্যক্তিকে ডিজি পদে নিয়োগ দিতে হবে। মাদরাসার স্বকীয়তা ধ্বংসের নীলনকশা দেশবাসী বরদাশত করবে না। তিনি বলেন, ভুলে গেলে চলবে নাÑ পীর আওলিয়ার দেশে ইসলামের দুশমনদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব বলেছেন, আমাদের ধর্ম ও ইসলামী মূল্যবোধ নিয়ে কোনো ধরনের অবমাননা বরদাশত করা হবে না। পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির নামে কোনো ধরনের বিজাতি সংস্কৃতি ও সহ্য করা হবে না। এক বিবৃতিতে মাওলানা আব্দুর রকিব বলেন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ডিজি নববর্ষ পালনের নামে মাদরাসাগুলোতে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা উসকে দিতে চেষ্টা করছেন। তিনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ডিজির পদত্যাগ দাবি করে বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ, এদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ইসলামপ্রিয়। তাই ইসলাম ও ধর্ম নিয়ে কোনো ধরনের অপতৎপরতা অতীতে যেমন মানুষ মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না। তিনি অবিলম্বে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণসহ এ সবের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ : ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান এক বিবৃতিতে বলেন, মুসলিম প্রধান এদেশে ৯২ শতাংশ মুসলমান বসবাস করেন, যৌক্তিকভাবে এখানে মুসলমানের কৃষ্টি, কালচার অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা আবশ্যক। আমাদের দেশে অন্যান্য ধর্ম এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অনুসারীরা তাদের আচার অনুষ্ঠান তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বাধীনভাবে পালন করবেÑ এতে আমাদের কোনো বাধা নিষেধ নেই; বরং আমরা সহযোগিতা করব। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার সরকারি উদ্যোগে মাদরাসাগুলোতে অনৈসলামিক সংস্কৃতি চালু করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছে কিছু নাস্তিক কুলাঙ্গার, তারা বিজাতীয় কালচার এদেশের মুসলমানদের উপরে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটি এ দেশের তৌহিদি জনতা কখনো মেনে নেবে না। তিনি অবিলম্বে ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানান। অন্যথায় এদেশের মুসলমান ক্ষেপে গেলে ঘাপটি মেরে বসে থাকা নাস্তিক কুলাঙ্গার কর্মকর্তারা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশের সব মাদরাসায় দুই দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশনা জারি করে মুসলমানদেরকে শিরকের দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এই রকম নির্দেশনার তীব্র নিন্দা জানাই। জমিয়ত নেতৃবৃন্দ আরো বলেছেন, চৈত্র-সংক্রান্তি মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব। পহেলা বৈশাখের আগের দিন অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র-সংক্রান্তি নামে জাতীয়ভাবে পালনের চেষ্টা গত কয়েক বছর ধরে করা হলেও এবারই প্রথম সংস্কৃ-িবিষয়ক উপদেষ্টা চৈত্র-সংক্রান্তি জাতীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন। এরই আলোকে মাদরাসাসমূহেও এই উৎসবগুলো পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। এক যৌথ বিবৃতিতে দলের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী এসব কথা বলেছেন।
খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নামে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ঈমানবিধ্বংসী শিরকি উৎসব রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনে বাধ্য করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, বহুত্ববাদে বিশ্বাসী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে চৈত্র-সংক্রান্তি উৎসব পালন করতে মাদরাসাগুলোতে নির্দেশ দিয়ে সরকার মুসলিম শিক্ষার্থীদের শিরকের মতো কবিরা গুনাহের কাজে ঠেলে দিচ্ছে। এদেশে হিন্দু বৌদ্ধ উপজাতিসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা আদিকাল থেকে তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও উৎসব পালন করে আসছে। এতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু সম্প্রতি বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কৃষ্টি কালচার বা ধর্মীয় উৎসব পালনে মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব ছাত্র-ছাত্রীকে বাধ্য করা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তেরো পার্বণের অংশ হলো চৈত্র-সংক্রান্তি বা চড়ক পূজা। ভূত-প্রেত ও পুনর্জন্মের বিশ্বাসীদের শিব লিঙ্গের এই নীল পূজা মূলত হিন্দুদের শ্মশানে পালিত হতো। এটি মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব। এগুলোর সাথে ইসলাম ও মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই। মাদরাসায় বাঙালি সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিকে জাতীয় উৎসব বানানোর ষড়যন্ত্র এদেশের তৌহিদি জনতা মেনে নেবে না। ঢালাওভাবে সর্বজনীন হিন্দুয়ানির সংস্কৃতি পালনে সরকারি বেসরকারি ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বাধ্য না করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
তালাবার কেন্দ্রীয় সভাপতি : বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব মাদরাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রজ্ঞাপন জারিকে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া কেন্দ্রীয় সভাপতি কাইয়ুম হোসেন তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কারণ মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা হলো ইসলামী সভ্যতা, সংস্কৃতি রক্ষার ধারক-বাহক এবং ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া তৈরির অন্যতম মাধ্যম। যেখানে ইসলামী, নৈতিক এবং আদর্শিক শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়Ñ মাদরাসা অধিদফতরে দুই দিনব্যাপী পহেলা নববর্ষ, মঙ্গল শোভাযাত্রা বা আনন্দ শোভাযাত্রা পালনের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, এগুলো শিরক। আর শিরক বর্জনের ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে হবে এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিবর্তে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে হবে।
খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমিরে শরিয়ত আল্লামা আবু জাফর কাসেমী ও মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম নববর্ষ উদযাপনের জন্য দেশের সব মাদরাসার সার্কুলার দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এদেশের মুসলমানরা বিশেষ করে মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা ইসলামী সংস্কৃতি মেনে নববর্ষ উদযাপন করবে, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর নববর্ষ উদযাপনের নামে মাদরাসাসমূহে বিজাতীয় সংস্কৃতি পালনে শিরক করার নির্দেশনা জারি করে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নেতৃদ্বয় বলেন, ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক ওই নিদের্শনা এদেশের মুসলমানের সন্তানরা কোনোক্রমেই মেনে নিতে পারে না। নেতৃদ্বয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনতিবিলম্বে শিক্ষা অধিদফতর থেকে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করার জোর দাবি জানান, নচেৎ এদেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা তাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি : বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা, সহ সভাপতি মুফতি মাওলানা আখতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতিদ্বয় মুফতি মাওলানা মাসউদ আহমদ ও প্রিন্সিপাল মাওলানা মতিউর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের আড়ালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাহী আদেশে মাদরাসা বোর্ডের অধীন সব মাদরাসাকে চৈত্র-সংক্রান্তি পালনের যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, চৈত্র-সংক্রান্তির মূল উৎস হলো চড়ক পূজা। যা হিন্দু ধর্মের ১২ মাসে ১৩ পূজার অংশ বিশেষ। বাংলা নববর্ষ উদযাপন আমাদের দেশের সব মানুষের অধিকার ও ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে মুসলমানরা যেভাবে নববর্ষ পালন করেছে সেভাবে করবে। বাংলা ভাষা ও বাংলা নববর্ষ আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে সরকারের অভ্যন্তরে ঘাপটি মারা ভারতীয় এজেন্ট ও বিদেশি সংস্কৃতির ধারক বাহকরা কোন সাহসে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের চৈত্র-সংক্রান্তি তথা চড়ক পূজা করতে নির্বাহী আদেশ জারি করেছে। এই আদেশ মানতে তারা বাধ্য নয়। তাই অবিলম্বে এ ধরনের শিরকি আদেশ প্রত্যাহারের আমরা দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ভিনদেশি চরদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

শেরপুর ভোগাই নদীতে অভিযান, ২০ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও ১ লাখ টাকা জরিমানা

বিএনপি নেতাদের গোশত ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি, ছাত্রদল আহবায়ককে শোকজ

অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পূর্ণ-নির্মাণের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা

মোংলায় বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু

ব্যাংকের ভেতরেই প্রতারক চক্রের ফাঁদে নারী!

শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একমত চীন ও মালয়েশিয়া

হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চ গঠন, রোববার থেকে চলবে বিচারকাজ

কালীগঞ্জে পৌরসভাকে পরিস্কার রাখতে প্লাসটিকের ডাস্টবিন স্থাপন

‘আগামী মাসে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া’

তামাকের প্যাকেট দেখিয়ে পাকিস্তানী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিদ্ধস্তের খবর দিলো ভারতীয় মিডিয়া!

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা : আরাভ খানের যাবজ্জীবন

সদরপুরে স্বর্ণেরবার দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতার

‘বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই, দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলমান থাকবে’

সালথায় ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক

নগরীতে পানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি

অবৈধ ভাবে ভারতের অনুপ্রবেশকালে দুই যুবক বকশীগঞ্জ সীমান্ত থেকে আটক !

কর্ণফুলীতে ৫ টাকা বেড়েছে ঘাট ভাড়া; বিপাকে পড়েছেন এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা

৫০ লাখ ডলারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ, বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু

রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সাসপেন্ড ও ৫ শিক্ষককে জরিমানা