কুতুবদিয়া ঘিরে জমছে পলিমাটি

Daily Inqilab শফিউল আলম

০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ এএম | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ এএম

সাগর কোলে জেগে উঠছে বিস্তীর্ণ ভ‚মি : পার্বত্যাঞ্চলের খরস্রোতা সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী প্রতিনিয়ত বয়ে আনছে পলিমাটি-বালু-পাথরকণা
বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব উপক‚ল। সমুদ্র সৈকত ও উপক‚লের তটরেখা ৭১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর কিনারেই এখানে-সেখানে প্রকৃতির আপন নিয়মে সৃষ্টি হচ্ছে ছোট ছোট চরভ‚মি, দ্বীপাঞ্চল এবং ডুবোচর। তটরেখা বরাবর উপক‚লভাগে বাংলাদেশের ভ‚খÐের প্রায় অর্ধেক আয়তনের সমান জাগছে আরেক নতুন বাংলাদেশ। চর ও দ্বীপ ভ‚মি জেগে ওঠার প্রক্রিয়া দিন দিন স্পষ্টই দৃশ্যমান হচ্ছে। এর ফলে ‘অমুক সাল নাগাদ বাংলাদেশের দশ ভাগের এক ভাগ ভ‚খÐ সমুদ্রে তলিয়ে যাবে’ মর্মে বিদেশি ‘বিশেষজ্ঞদের থিউরি’ এবং এনজিওদের বুলি অসাড়, অবাস্তব প্রমাণিত হতে চলেছে। কেননা সামুদ্রিক জোয়ারের আঘাতে উপক‚ল-দ্বীপাঞ্চলে যতটা ভ‚মি ভাঙছে, তার তুলনায় বেশি পরিমাণে ছোট ছোট চর, দ্বীপ নিয়ে নতুন পলল ভ‚মি মাথা উঁচু করে জেগে উঠছে। এর ফলে সমুদ্রের স্রোত ক্রমেই পিছু (দক্ষিণে) হটছে। ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে দেশের আকার-আয়তন। প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মের ধারাবাহিকতায় তা ঘটছে।
সংশ্লিষ্ট গবেষকদের ধারণা, দেশের চর ও দ্বীপাঞ্চলে নতুন উত্থিত পলিমাটির ভ‚মি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মূল ভ‚খÐের দশ ভাগের এক ভাগ ছাড়িয়ে গেছে। তাছাড়া পুরোপুরি জেগে ওঠার অপেক্ষায় বা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরো কয়েকগুণ বেশি চর ও দ্বীপভ‚মি। যেগুলো ডুবোচর আকারে ক্রমান্বয়ে বিকাশ লাভ করছে। সংযুক্ত হতে চলেছে মূল উপক‚লের ভ‚মির সঙ্গে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, ভোলা, খুলনা জেলায় সৃজিত হচ্ছে দ্বীপ ও চরের নয়া ভ‚মি। ইতোমধ্যে সেখানে অন্তত ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের নতুন চর ও দ্বীপ ভ‚মি জেগেছে। সমুদ্র উপক‚লবর্তী এসব নতুন চর ও দ্বীপ ভ‚মিতে খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বলে জানান বিশেষজ্ঞ মহল। এখানকার হরেক প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদরাশি আহরণ বা উত্তোলনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।
নতুন জেগে ওঠা ভ‚মি টেকসই হয়ে উঠছে। সেই চর-দ্বীপ ভ‚মিতে চাষাবাদ, কৃষি-খামার, মহিষসহ গবাদি পশুপাখি পালন, সবজি, বাদাম ও সরিষা চাষ, মৎস্য খামার, সামুদ্রিক মাছ শিকার করে বিক্রি ইত্যাদি জীবন-জীবিকার নতুন নতুন উপায় ও অবলম্বন বের করছে স্থানীয় অগণিত মানুষ। বিশাল সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ছোট ছোট অনেকগুলো দ্বীপ, উপদ্বীপ, চর ভ‚মি। উজান থেকে এসে দেশের অভ্যন্তর দিয়ে প্রবহমান শত শত নদ-নদী, শাখা-নদীর বিধৌত পলিমাটি এবং জোয়ার-ভাটার সাথে বয়ে আসা পলি-বালু জমতে জমতে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন চর ও দ্বীপ ভ‚মি। পাহাড়ি খরস্রোতা নদী, খাল, ছরা, ঝিরি-ঝরণা দিয়ে বয়ে আসা বালুমাটি, পাথরকণা ক্রমাগত জমা হয়ে নয়া চরভ‚মি ও দ্বীপ কিংবা ডুবোচর সৃজিত হচ্ছে।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল, কক্সবাজার উপক‚লের বিভিন্ন চর-দ্বীপাঞ্চলকে কেন্দ্র করে ক্রমেই ছোট ছোট চর কিংবা ডুবোচর সৃজনের পালা চলছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্বীপ জনপদ হচ্ছে বঙ্গোপসাগর বক্ষে কুতুবদিয়া। এ দ্বীপের প্রধানত তিন পাশে ধীরে ধীরে জাগছে ছোট ছোট ডুবোচর। এই অঞ্চলের প্রাচীন দ্বীপ জনপদ কুতুবদিয়ার জনসাধারণের মাঝে জাগছে নতুন আশা। সমুদ্র উপক‚লবর্তী অংশের তলদেশে (অফশোর) তেল-গ্যাসসহ মূল্যবান খনিজ সম্পদ, মৎস্য, লবণ, ঝিনুক-মুক্তা-কড়ি, কৃষি-খামার মিলিয়ে হরেক ধরনের প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের ধারক কুতুবদিয়া। দ্বীপটি জাতীয় অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনাময়। কুতুবদিয়া দ্বীপকে ঘিরে ডুবোচর জাগার সাথে সাথে নবতর সম্ভাবনায় আশার আলোকদিশা দেখছেন এলাকার জনগণ।
কুতুবদিয়া দ্বীপের কৃতিসন্তান পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন জানান, প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে সমুদ্রগর্ভ থেকে জেগে ওঠে কুতুবদিয়া দ্বীপ। সমুদ্রতলে কঠিন শিলাপাথরের ওপর এর ভিত্তি ও গঠন। ফলে এ দ্বীপ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা নেই। বরং শংখ (সাঙ্গু) ও মাতামুহুরী উভয় পাহাড়ি খর¯্রােতা নদীর প্রবাহের সাথে সাথে ক্রমাগত ও ব্যাপক হারে আসছে পলিমাটি-বালু, পাথরকণা। সেই পলি-বালু নিয়মিত সামুদ্রিক জোয়ারের সাথে জমছে দ্বীপটির তিন পাশে। পলি-বালুর স্তর থেকে ইতোমধ্যে ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে।
অতীতে শংখ (সাঙ্গু) ও মাতামুহুরী দুই নদীর তীব্র স্রোতের ধাক্কায় কুতুবদিয়ায় ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বর্তমানে নদীর খরস্রোত আর নেই। নদীর চ্যানেলে ও গতিপথে চর ও ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলাসমূহের বিশেষ করে পার্বত্য বান্দরবানের সুউচ্চ পাহাড়-পর্বত পেরিয়ে শংখ (সাঙ্গু) ও মাতামুহুরী নদী মোহনার দিকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে পলিমাটি-বালু ও পাথরকণা। এরফলে উত্তর-দক্ষিণ লম্বা কুতুবদিয়া দ্বীপের পূর্ব পাশে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা এবং কক্সবাজারের চকরিয়া-মহেশখালী বরাবর কুতুবদিয়া চ্যানেলে ক্রমাগত জমছে পলিমাটি, বালু, পাথরকণা। সেই পলিমাটি দ্বীপের আশপাশে থিতু বা স্থির হচ্ছে।
এছাড়া কুতুবদিয়া দ্বীপের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে এবং বাঁশখালী-চকরিয়া-পেকুয়ার কাছাকাছিও পলিমাটি, বালুমাটি জমছে। সেসব জায়গায় এখানে-সেখানে ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। ভাটার সময় ডুবোচরগুলো জাগছে এবং দৃশ্যমান হচ্ছে। আবার জোয়ার হলে ডুবে যায়। গত কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে, এসব ডুবোচর বিলীন কিংবা হ্রাস হচ্ছে না। এলাকার জেলেরা ভাটার সময় ডুবোচরে দাঁড়িয়ে জাল পরিস্কার করে।
দ্বীপের ইতিহাসক্রম থেকে জানা যায়, প্রায় ৩ থেকে ৪শ’ বছর পূর্বে কুতুবদিয়া দ্বীপের আয়তন ছিল ১৫৬ বর্গ কিলোমিটার। অবিরাম ভাঙনের কারণে কালক্রমে দ্বীপটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ১৮৮০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত কুতুবদিয়ার আয়তন ছিল ৯৪ বর্গ কি.মি., ১৯০০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ৮২ কি.মি., ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত ৭৬ কি.মি., ১৯৬০ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ৭২ কি.মি.। বর্তমানে প্রায় ৬০ কি.মি. ঠেকেছে। স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াসের আঘাত সরাসরি এসে পড়ছে দ্বীপটিতে।
কুতুবদিয়ায় মানুষের পদচারণা শুরু হয় অষ্টম খ্রিস্টাব্দে আরব বণিকদের মাধ্যমে। পরে ১২শ’ খ্রিস্টাব্দে মগ দস্যুরা দ্বীপে ঘাঁটি বানায়। ১৩শ’ সালে আরব থেকে আগত পীর আউলিয়া হযরত শাহ সৈয়দ কুতুবউদ্দিন (রহ.) সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে এসে এ দ্বীপকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলেন। তার নামানুসারে হয় কুতুবুদ্দিনের ডিয়া বা দ্বীপ। প্রাচীনকালে দ্বীপের পশ্চিমাংশে উঁচু বালুকাময় পাহাড় গড়ে ওঠে।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন বলেন, কুতুবদিয়ার আশপাশে ডুবোচর জাগিয়ে দ্বীপটিকে প্রসারিত করতে সহায়ক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। দ্বীপের চারপাশে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সবুজবেষ্টনি গড়ে তোলা, আঁড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে ঝাউবীথি, বনায়নসহ বেড়িবাঁধে নিবিড়ভাবে করই, খেজুর, নারিকেল, ইপিল-ইপিল, বাঁশসহ দেশজ গাছ লাগাতে হবে।
দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের সুরক্ষার এ দ্বীপটি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ¡াস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে দেয়াল হিসেবে কাজ করছে। তাছাড়া প্রধান সমুদ্রবন্দর তথা দেশের প্রবেশদ্বার কুতুবদিয়া এবং তার ঐতিহাসিক বাতিঘর। কুতুবদিয়া আয়তনে ছোট্ট ভ‚খÐ হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ ভৌগোলিক এবং কৌশলগত গুরুত্ব বহন করছে এই দ্বীপটি।

 

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

আবেদ আলীর বাড়ি-ফ্ল্যাট-জমি জব্দ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত : আইসিসিবি সভাপতি
পহেলা বৈশাখ পান্তা-ইলিশ খাওয়া আমাদের সংস্কৃতি না -প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরাইল নৃশংসতার সর্বোচ্চ সীমাও অতিক্রম করেছে : কর্নেল অলি
আরও
X

আরও পড়ুন

কুমিল্লার সাবেক এমপি শফিউদ্দিন শামীমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

কুমিল্লার সাবেক এমপি শফিউদ্দিন শামীমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ইসরাইল নৃশংসতার সর্বোচ্চ সীমাও অতিক্রম করেছে : কর্নেল অলি

ইসরাইল নৃশংসতার সর্বোচ্চ সীমাও অতিক্রম করেছে : কর্নেল অলি

আবেদ আলীর বাড়ি-ফ্ল্যাট-জমি জব্দ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

আবেদ আলীর বাড়ি-ফ্ল্যাট-জমি জব্দ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

পুরান ঢাকায় আগুনে একজনের মৃত্যু

পুরান ঢাকায় আগুনে একজনের মৃত্যু

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত : আইসিসিবি সভাপতি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত : আইসিসিবি সভাপতি

আরব আমিরাত ও তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

আরব আমিরাত ও তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

পহেলা বৈশাখ পান্তা-ইলিশ খাওয়া আমাদের সংস্কৃতি না -প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ পান্তা-ইলিশ খাওয়া আমাদের সংস্কৃতি না -প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈঠক

আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈঠক

ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা জারি

ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা জারি

ইসরাইল নৃশংসতার সর্বোচ্চ সীমাও অতিক্রম করেছে : কর্নেল অলি

ইসরাইল নৃশংসতার সর্বোচ্চ সীমাও অতিক্রম করেছে : কর্নেল অলি

গণজাগরণ মঞ্চের নেপথ্যের নায়কদের সচিব করার প্রস্তাব

গণজাগরণ মঞ্চের নেপথ্যের নায়কদের সচিব করার প্রস্তাব

ওয়াকফ বিল ইস্যুতে সারজিস :  মোদিকে ছুড়ে ফেলার বিকল্প নেই

ওয়াকফ বিল ইস্যুতে সারজিস :  মোদিকে ছুড়ে ফেলার বিকল্প নেই

উদ্যোক্তাদের জন্য ৮০০-৯০০ কোটি টাকার তহবিল আসছে

উদ্যোক্তাদের জন্য ৮০০-৯০০ কোটি টাকার তহবিল আসছে

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা-মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা-মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

গাজার পক্ষে ড. ইউনূসের বিবৃতি

গাজার পক্ষে ড. ইউনূসের বিবৃতি

শুল্ক ৩ মাস স্থগিত চেয়ে ট্রাম্পকে চিঠি দিলেন ড. ইউনূস

শুল্ক ৩ মাস স্থগিত চেয়ে ট্রাম্পকে চিঠি দিলেন ড. ইউনূস

জনসমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

জনসমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

নিরাশা নয়, আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশা মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন-১

নিরাশা নয়, আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশা মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন-১

বিক্ষোভে উত্তাল সারাদেশ

বিক্ষোভে উত্তাল সারাদেশ

টঙ্গীতে পোশাক শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

টঙ্গীতে পোশাক শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা