এক নজরে বিশ্বনবী (সাঃ) এর জীবনী
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৮ এএম
সিরাত কেন পড়বো ? মানুষ স্বভাবগতভাবেই বড্ড অনুকরণপ্রিয়। জন্মলগ্ন থেকেই শিশু অনুকরণ করে তার পিতা মাতাকে। একটু বড় হলে অনুকরণ করে তার খেলার সাথী বা বন্ধু বান্ধবকে। আরো বড় হলে জীবন চলার পথে অনুকরণ করে পছন্দের কোন মানুষকে। এই অনুকরণ-অনুসরণ, একটি মানুষ জন্মলগ্ন থেকেই তার স্বভাব বহন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো, সত্যিকারার্থে এমন মানুষ আছে কি? যিনি মানুষের জন্য অনুকরণীয়-অনুসরণীয় হতে পারেন। হ্যাঁ, আছেন। তি নি হলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, আর নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত। (সূরা ২৪ আন-নূর, আয়াত ৫৬)। হাদীস শরীফে ইরশাদ রয়েছে, হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, তোমাদের মাঝে কেহ (পূর্ণ) ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সমস্ত মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় না হব। (বোখারী শরীফ)।
পারিভাষিক অর্থে সিরাত অর্থ জীবনী বা ইরড়মৎধঢ়যু। তবে সীরাত বলতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জীবনীই বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জীবনে যা কিছু ঘটেছে, তার সাথে সম্পৃক্ত, সরাসরি বা পরোক্ষভাবে তার সকল দিক, চারিত্রিক দিক, পারিবারিক জীবন, সামরিক জীবন, এককথায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সকল দিক সীরাতের অন্তর্ভুক্ত। সীরাতের অধ্যয়ন একটি উত্তম আমল বা সাওয়াবের কাজ, সিরাত পাঠ মুমিনের ঈমানকে মজবুত করে, সিরাত অধ্যয়ন কোরআন বোঝার জন্য সহায়ক, সিরাত অধ্যয়ন হাদীস বোঝার জন্যও সহায়ক, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জীবন মুমিনদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ বা নমুনা। তাই সিরাত পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বিশ^নবীর (সাঃ) জন্ম: সায়্যিদুনা ওয়া সায়্যিদুল মুরসালীনা ওয়ানা নবিয়্যীন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর পবিত্র জন্ম হয় রবিউল আউয়াল মাস, সোমবার, আম্মুল ফিল (হস্তি বর্ষ) মোতাবেক ৫৭১ ঈসায়ী সনে। তাঁর জন্মের কয়েক মাস আগে পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। নিজের দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাঁর না রাখেন ‘মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব’। মমতাময়ী মা হযরত আমেনার পক্ষ থেকে তাঁর নাম রাখা হয় ‘আহমদ’। নিজ মাতা এবং আবু লাহাবের আযাদকৃত বাঁদী সুওয়াইবাহ (রাঃ) কিছুদিন তাঁকে দুগ্ধ পান করান। এরপর কুরাইশ বংশের ঐতিহ্য অনুযায়ী হযরত হালিমা সাদিয়া (রাঃ) - কে দুগ্ধপান ও লালনের জন্য দেওয়া হয়।
চার বছর বয়সে শক্কে সদর: তথা বক্ষ বির্দীর্ণ করার ঘটনা সংঘটিত হয়। ঐতিহাসিকদের মতে, শক্কে সদরের ঘটনা চারবার সংঘটিত হয়েছে। ১. শৈশবে হযরত হালিমা সাদিয়ার কাছে থাকা অবস্থায়। ২. দশবছর বয়সে (ফাতাহুল বারী ১৩/৪৮১)। ৩. নবুওয়াতপ্রাপ্তির সময় (মুসনাদে আবীদাউদ আততায়ালাসী ২১৫)। ৪. মে’রাজের সময় (বুখারী শরীফ হা ৩৪৯)। আরেক মতে পঞ্চমবার শক্কে সদরের কথাও উল্লেখ আছে, যা সহীহ মতানুসারে সাব্যস্ত নয়। (সীরাতে মুস্তফা ১/৭৫) রাসূল (সাঃ) প্রায় ছয় বছর হযরত হালিমা সাদিয়ার হাতে লালিত হন।
৬ বছর বয়সে মাতার বিয়োগ: রাসূল (সাঃ)- এর মাতা হযরত আমেনার ইন্তেকাল হয়। আবওয়া নামক স্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। (শরহুল মাওয়াহেব লিয যারকানী ১/১৬০)।
৭ বছর বয়স: থেকে তিনি দাদা আব্দুল মুত্তালিবের তত্ত্বাবধানে লালিত হন।
৮ বছর বয়সে: দাদা ইন্তেকাল হয়। এর পর থেকে চাচা আবু তালেবের হাতে লালিত হন। (তবকাতে ইবনে সাআদ ১/৭৪)।
১২ বছর বয়সে সিরিয়া গমন: চাচার সাথে সিরিয়ার ব্যবসায়িক সফরের সঙ্গী হন। এই সফরে বুহাইরা রাহের তাঁর নবুওয়াতের ভবিষ্যদ্বাণী করেন। (আল খাসায়েসুল কুবরা ১/৮৪)। মতান্তরে ১৪/১৫/২০ বছর বয়সেঃ আরবে ফুজার যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আপন কোন কোন চাচার পীড়াপীড়িতে রাসূল (সাঃ) অংশ নেন। কিন্তু কেতালে অংশগ্রহণ করেননি। (রাওজুল আনফ ১/১২০)।
১৬ বছর বয়সে সামাজিক সংগঠন: মক্কাবাসীর (পাঁচ বংশীয় চুক্তি) হিলফুল ফুজুল নামের চুক্তিতে অংশগ্রহন করেন।
২৫ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধন: রাসূল (সাঃ) হযরত খাদিজা (রাঃ) - এর ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে সিরিয়ার দ্বিতীয় সফর করেন। এই সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের কিছুদিন পর তাঁর সততা ও নিষ্ঠা এবং ব্যবসায়িক মুনাফা অবলোকন করে হযরত খাদিজা (রাঃ) রাসূল (সাঃ) - এর কাছে বিয়ের প্রস্তাব পেশ করেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। (তবকাতে ইবনে সাআদ ১/৮৩)। তৃতীয়বার সংস্কারের সময় হাজরে আসওয়াদকে নিজ হাতে স্থাপন করেন এবং এর মাধ্যমে পরস্পর যুদ্ধান্দেহী আরব গোত্রগুলোর মধ্যে ভালোবাসা ও সম্প্রতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হন। (সীরাতে ইবনে হেশাম ১/২৫)। ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত নিজের এমন নজির বিহীন সততা, নিষ্ঠা, কর্মতৎপরতা ও কীর্তি স্থাপন করেন, যার কারণে আপন-পর-সকলের মুখে তাঁর সততা ও নিষ্ঠার কথা উচ্চারিত হতে থাকে।
৪০ বছর বয়সে নবুয়ওত লাভ: তিনি বেশির ভাগ সময় হেরাগুহাতেই ব্যয় করেছেন। এখানেই তাঁকে নবুওয়াতের তাজ পরানো হয়।
নবুওয়াতের প্রথম বছর: তাঁর ওপর সূরায়ে আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (শরহুল মাওয়াহিব ১/২০৭) ঐতাহাসিকদের ঐক্যমত হলো নবুওয়াত দান করা হয়েছে রবিবার। কিন্তু মাসের ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের ভিন্ন মত রয়েছে। ইবনে আব্দুল বার (রহ.)- এর মতে ৮ রবিউল আউয়াল তাঁকে নবুওয়াতের তাজ পরানো হয়। এই মতানুযায়ী নবুওয়াতপ্রাপ্তির সময় তাঁর বয়স ছিল ৪০ বছর। কিন্তু ইবনে ইসহাকের মত হলো তাঁকে ১৭ রমযান নবুওয়াত দানে ভূষিত করা হয়। এই মতানুযায়ী তখন তাঁর বয়স হয় চল্লিশ বছর ছয় মাস। হযরত ইবনে হাজার আসকলানী (রহ.) এই মতকেই প্রধান্য দিয়েছেন। (ফতহুল বারী ১২/৩১৩)।
নবুওয়াতের দ্বিতীয় বছর: রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গোপনে তাবলীগে দ্বীনের কাজ শুরু করেন। এই বছরই হযরত খাদিজা ৯রাঃ), হযরত ওয়ারাকা ইবনে নাওফল (রাঃ), হযরত আলী (রাঃ), হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ), হযরত আফীফ কিন্দী (রাঃ), হযরত তলহা (রাঃ), হযরত সা’আদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাঃ), হযরত খালেদ ইবনে সাঈদ (রাঃ), হযরত উসমান ইবনে আফফান (রাঃ), হযরত আম্মার (রাঃ), হযরত সুহাইব (রাঃ), হযরত আমর ইবনে আ’বাসা (রাঃ) এবং হযরত যায়েদ ইবনে হারেসা (রাঃ) ঈমান আনায়ন করেন। এ সকল মহান ব্যক্তিসহ আরো কয়েকজন সাহাবীকে সাবেকীনে আওয়ালীন তথা সর্ব প্রথম সাহাবী বলা হয়।
নবুওয়াতের তৃতীয় বছর: রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর লালিত সন্তান হযরত যায়েদ ইবনে হারেসার পুত্র হযরত উসামার জন্ম হয়।
নবুওয়াতের চতুর্থ বছর প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার: আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর প্রতি প্রকাশ্য দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ আসে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রকাশ্য দাওয়াত দিতে আরম্ভ করলে আরব গোত্র বিশেষ করে কুরাইশরা প্রকাশ্য দুশমনী ও বৈরিতায় মেতে ওঠে।
নবুওয়াতের পঞ্চম বছর সাহাবাদের হাবশা হিজরত: হযরত জাফর ইবনে আবী তালেব (রাঃ) ইসলাম গ্রহন করেন। এই বছরই হাবশার প্রতি প্রথম ও দ্বিতীয় হিজরত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম হিজরতে ১১ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী অংশগ্রহন করেন। (ফতহুল বারী ১/১৮০) দ্বিতীয় হিজরতে ৮৬ জন পুরুষ এবং ১৬ জন নারী অংশগ্রহন করেন। (সীরাতে ইবনে হিশাম ১/১১১) এই বছরই আবু জেহেলের হাতে হযরত সুমায়্যা (রাঃ) শহীদ হন। ইসলামের জন্য নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম শহীদ।
নবুওয়াতের ষষ্ঠ বছর উমরের ইসলাম গ্রহণ: হযরত হামজা (রাঃ) এবং হযরত উমর (রাঃ) ইসলাম গ্রহন করেন। তাঁদেরকে নিয়ে মসজিদে হারামে প্রকাশ্যে নামায আদায় করা হয়। (শরহুল মাওয়াহেব ১/২৭৬)
নবুওয়াতের সপ্তম বছর বয়কট (অবরুদ্ধ জীবন): মুকাত’আয়ে কুরাইশের তথা স্যোসাল বয়কটের ঘটনা ঘটে। রাসূল (সাঃ)- এর সাথে বনু হাশেম এবংব নু মুত্তালিবকে শু’আবে আবী তালেবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ অবস্থাতেই রাসূল (সাঃ)-এর চাচাত ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)- এর জন্ম হয়। (রওজুল আনফ ১/২৩২)
নবুওয়াতের অষ্টম বছর চন্দ্র দ্বিখন্ডীত করন: মুশরিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শক্কে কমর তথা চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার অকল্পনীয় মুজিযা প্রকাশ পায়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩/১১৮)
নবুওয়াতের দশম বছর বয়কট হতে মুক্তি: মুকাতাআ সমাপ্ত হয়। (তবকাতে ইবনে সাআদ ১/১৩৯) এ বছরই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর চাচা আবু তালেব ইন্তেকাল করেন। তাঁর ইন্তেকালের প্রায় ৩ থেকে ৫ দিন পর হযরত খাদিজা (রাঃ)- এর ইন্তেকাল হয়। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই বছরকে আম্মুল হুজন তথা পেরেশানির বছর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। (শরহুল মাওয়াহেব ১/২৯১) এ বছরই হযরত সাওদা বিনতে যুমআর সাথে রাসূল (সাঃ)- এর শাদি মোবারক অনুষ্ঠিত হয়। এই বছর হযরত আয়েশা (রাঃ) ও তাঁর আকদে নেকাহ আসেন। কিন্তু রুখসতী হয়নি। এই বছর তায়েফের হৃদয়বিদারক ঘটনাও ঘটে। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)।
নবুওয়াতের একাদশ বছর মদিনায় ইসলাম: মদীনা থেকে আগত হাজীদের মধ্যে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর দাওয়াতে প্রায় ৬ জন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহন করেন। এর মাধ্যমে আনসারদের ইসলাম দীক্ষিত হওয়ার ধারা আরম্ভ হয়। ( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩/১৪৮)
নবুওয়াতের দ্বাদশ বছর মেরাজ: রাসূল (সাঃ)- এর ঐতিহাসিক মে’রাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উম্মতের ওপর ৫ ওয়াক্ত নামায ফরজ হয়। এ বছরই বাইআতে উকবায়ে উলা সংঘঠিত হয়। এতে ১২ জন ইসলাম গ্রহন করেন। (শরহুল মুওয়াহেব ১/৩১৬)।
নবুওয়াতের ত্রয়োদশ বছর মদিনায় হিজরত: বাইআতে উকবায়ে ছানিয়া অনুষ্ঠিত হয়। যাতে ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী ইসলাম গ্রহন করেন। এ বছরই মুসলমানরা মদীনা হিজরতের অনুমতি পান। এ বছরই কুরাইশরা (নাউজু বিল্লাহ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে হত্যার সিন্ধান্ত নেয়। হযরত জিবরাঈল (আঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে কুরাইশদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগত করে বলেন, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে এখান থেকে হিজরতের অনুমতি প্রদান করেছেন। অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত আবু বকর (রাঃ)- কে সঙ্গে নিয়ে মদীনায় হিজরত করেন।
রাসূল (সাঃ)- এর মাদানী জিন্দেগী: হিজরতের পরের সময়কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর মাদানী যিন্দেগী বলা হয়। যা ছিল অত্যন্ত গৌরবদীপ্ত সময়। এ সময়গুলোতে রাসূল (সাঃ)- এর অক্লান্ত মেহনত, চেষ্টা কুশেশ এবং আতেœাৎসর্গের মাধ্যমে ইসলামের বিজয়কেতন হস্তগত হয়।
হিজরী প্রথম বর্ষ: রাসূল (সাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ)- এর সাথে তিন দিন সওর গুহায় আতœগোপন করার পর ১ রবিউল আউয়াল মদীনার দিকে হিজরত করেন। ইসলামের প্রথম মসজিদ মসজিদে কুবা প্রতিষ্ঠা করেন। মদীনার ইহুদি এবং প্রতিবেশী গোত্রগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা ও সম্প্রীতির চুক্তিনামা লেখানো হয়। এ বছর হযরত সালমান ফারেসী (রাঃ) ইসলাম গ্রহন করেন। মসজিদে নববীও প্রতিষ্ঠা করেন এই বছর। আযান ও ইকামতও এ বছর আরম্ভ হয়। আনসার এবং মুহাজেরদের মধ্যে এমন ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি হয়, যার উপমা দুনিয়ায় বিরল। এই বছর শাওয়াল মাসে হযরত আয়েশা (রাঃ)- এর রুখসতী হয়। (চলবে)
লেখক: ইসলামি গবেষক, কলামিষ্ট ও দাঈ, শিক্ষা সচিব, কাশফুল উলুম ছোরিয়া মাদরাসা কমপ্লেক্স, নেছারিবাদ, সিংড়া, নাটোর।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কুষ্টিয়া চিনিকলসহ দেশের ৬ চিনিকল চালু হওয়ায় ভারতের দম্ভ খতম!
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়
কালীগঞ্জে ভাইরাল চিতাবাঘ হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার বন বিভাগ ও প্রশাসনে তোলপাড়