সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-৭
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ এএম

হুমায়ুনের আমলে শিল্পকলার বিকাশ ঘটে বিশেষভাবে। আকবরের শিল্পবোধ পারস্যরীতির দ্বারা শাসিত ছিলো। খাজা আব্দুস সামাদ এবং মীর সৈয়দ আলীর প্রভাব এতে ভূমিকা রাখে। সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল এবং ভারতের বাইরে থেকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিল্পী সংগ্রহকে আকবর গুরুত্ব দিতেন। রাজকীয় গ্রন্থাগারে তিনি অসংখ্য চিত্রিত ফারসী পান্ডুলিপি সংরক্ষণ করেন। তার দরবারে হিন্দু চিত্রকরদের সংখ্যাধিক্য ছিলো। তারা স্বাধীনভাবে ভারতীয় রাজপুতরীতিতে চিত্রাঙ্কন করতেন। আকবরের আমলে একটি চিত্রে একাধিক ধারার চিত্রশিল্পী নিয়োজিত হতেন। ফলে বিভিন্ন চিত্রধারার শিল্পীদের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অভিব্যক্তিতে বৈষম্য দেখা দেয়।
জাহাঙ্গীরের আমলে চিত্রকলা বৈপ্লবিক রূপান্তর নিয়ে হাজির হয়। অসংখ্য চিত্র নির্মাণে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করেন। যুদ্ধাভিযানেও চিত্রকরদের সাথে নিয়ে যেতেন। পাÐুলিপিতে মিনিয়েচার অঙ্কনের চেয়ে জীবন্ত চাক্ষুষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একক ও বিচ্ছিন্ন চিত্র অঙ্কনে শিল্পীরা মনোযোগী হন। প্রতিকৃতি অঙ্কনের রীতি বিস্তৃত হয়।
ইন্দো-পারস্যরীতির শাসন থেকে বের হয়ে মুঘল চিত্রকলা নিজের পরিসর নির্মাণ করে। এর পেছনে কাজ করেছিলো জাহাঙ্গীরের শিল্পানুরাগ, শৈল্পিক চেতনা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। জাহাঙ্গীরের দূরদর্শিতা, শিল্পানুভ‚তি এবং সংবেদনশীল মন ছিল। তার আমলে অবিরাম ও উন্নতমানের শিল্পচর্চার উপযুক্ত পরিবেশ পান শিল্পীরা ।
মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করে স্বীয় শিল্পানুভ‚তির উন্মোচনে সতত সচেষ্ট থাকেন জাহাঙ্গীর। একটি সুপ্রতিষ্ঠিত এবং অত্যুৎকৃষ্ট চিত্রশালা ছিলো আকবরের। সেই ভিত্তিভ‚মি জাহাঙ্গীরকে দিয়েছিলো পরের ধাপের দিশা।
গ্যারেট সংগ্রহের ‘জাফরনামা’য় (১৪৬৭ খ্রিস্টাব্দ) জাহাঙ্গীরের স্বহস্ত লিখিত একটি নোট রয়েছে; ‘আল্লাহ মহান! মওলানা শির আলী লিখিত ‘জাফরনামা’ গ্রন্থখানিতে আট জোড়া (প্রকৃতপক্ষে ছয় জোড়া অর্থাৎ বারোটি) চিত্র রয়েছে এবং এগুলো অপ্রতিদ্ব›দ্বী রীতিকৌশল ওস্তাদ বিহযাদ প্রথম যুগে অঙ্কন করেন। আমার স্বর্গপ্রাপ্ত পিতার গ্রন্থাগার হতে আমার সিংহাসনারোহণের প্রথম বছরে (১০১৪ হিজরি/১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ) এটি আমার গ্রন্থাগারে প্রদান করা হয়েছে। স্বাক্ষরকারী নূর-উদ্-দ্বীন মুহম্মদ জাহাঙ্গীর শাহ আকবর।’
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশায় কারণে এক ঘন্টা পর ফেরি চলাচল শুরু

ভারত ও বাংলাদেশের বর্ণনায় বিস্তর ফারাক, কে কি বলছে?

স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল

জাজিরায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী আব্দুল কুদ্দুস গ্রেফতার

৩ বিভাগ ও ৬ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

হোসেনপুরে জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ

বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

ট্রাম্পের শুল্কারোপের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

স্যোশাল মিডিয়ায় নজর কেড়েছে আথিয়া, কি বার্তা দিলেন রাহুলের প্রতি?

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান প্রধান উপদেষ্টা

ফিলিস্তিনি শিশু অধিকার দিবসে গাজার শিশুদের করুণ চিত্র, বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ

টানা ৮ দিন বন্ধ থাকার পর হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

শরীয়তপুরে জাজিরায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৭

ভারতে ওয়াকফ সংশোধন বিলের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে লেবার পার্টির বিক্ষোভ ৩টায়

দুই দিনে মার্কিন শেয়ারবাজার থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার উধাও

উৎসবের পর প্রথম কার্যদিবস : পতনে শুরু শেয়ারবাজার

লেবানন-সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে ইসরাইল: আরব লীগ

পিলখানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী, সড়কে যানজট