বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পটভূমিতে এবারের বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
এবারের বিজয় দিবস এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের বিজয় দিবসের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস আমি দেখেছি। রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আমি গিয়েছি এবং ভারতীয় সৈন্যদের সাথে কথাও বলেছি। তখন তো শুধু আমি নই, সমগ্র দেশবাসী জানত যে, আজ অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। তার আগে, গায়ের জোরে হলেও পাকিস্তান আর্মি পূর্ব পাকিস্তানকে, তার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তান সম্পূর্ণভাবে পাক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন হয় এবং ১৬ ডিসেম্বরকেই সকলে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু কিছুদিন পর দেখা গেল, সরকারের একটি ঘোষণা। ঐ ঘোষণায় বলা হলো যে, ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা দিবস নয়। ১৬ ডিসেম্বর হলো বিজয় দিবস। স্বাধীনতা দিবস হলো ২৬ মার্চ।
২৬ মার্চ কীভাবে স্বাধীনতা দিবস হয়? বলা হলো যে, শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চের মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘোষণা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কারণ, ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় শেখ মুজিব পাকিস্তান বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। তারপর তাকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, যে ব্যক্তি ২৫ মার্চ রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন, তিনি রাত ১২টার পর কীভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? কে শুনেছে তার এই স্বাধীনতার ঘোষণা? এসব নিয়ে প্রচুর লেখালেখি ও বিতর্ক রয়েছে। আমরা ওই সব বিতর্ক এই মুহূর্তে বিবেচনায় আনছি না।
এব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এবং তারও পরে পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার তার ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ পুস্তকে বলেন, ‘২৫ মার্চ সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যখন ঢাকা ছেড়ে চলে যান, তখন একটা চরম সংকটপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সবাই ভাবতে থাকেন, এখন আমাদের কী করণীয়। এ সময় তাজউদ্দীন আহমদসহ আরও কিছু নেতা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে সমবেত ছিলেন। সেখানে এক ফাঁকে তাজউদ্দীন আহমদ একটি টেপ-রেকর্ডার এবং স্বাধীনতা ঘোষণার একটা খসড়া বঙ্গবন্ধুকে দেন এবং তাকে তা পড়তে বলেন। কিন্তু তিনি তা পড়েননি। এ ঘটনা স্বয়ং তাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিক ও লেখক মঈদুল হাসানকে বলেছিলেন।’
একই কথা বলেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন আহমেদ। এ ব্যাপারে তার লেখা গ্রন্থ ‘তাজউদ্দীন আহমেদ- নেতা ও পিতা’য় যা লিখেছেন সেটিকে দেশবাসী কীভাবে অস্বীকার করবেন? তিনি লিখেছেন যে, ২৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে তাজউদ্দীন আহমদ একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে শেখ মুজিবের বাসায় যান। শেখ মুজিব তাকে দেখার সাথে সাথে বলেন যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তান আর্মি ক্র্যাকডাউন করবে। তুমি এখানে কেন? এখনি চলে যাও। তাজউদ্দীন বলেন, আমি একটি টেপ রেকর্ডার এনেছি। আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দুই চারটি কথা বলেন। কিন্তু শেখ মুজিব সেটি করতে সরাসরি অস্বীকার করেন। বলেন, আমি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নিজেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রমাণ করার সুযোগ তাদেরকে দেবো না।
॥দুই॥
এই পটভূমিতে তিনি কীভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন? আমি ১৯৭২ সালের সংবিধান অত্যন্ত মনোযোগের সাথে খুঁটিনাটি পড়লাম। কোথাও শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার উল্লেখ নাই। তখন শেখ মুজিব নিজেই ক্ষমতায় ছিলেন।
শেখ মুজিব ৩ বছর ৮ মাস ক্ষমতায় ছিলেন। তার আমলে সাংবিধানিকভাবে তাকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়নি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন। এই ৫ বছরেও তার পিতা কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা এবং তাকে জাতির পিতা ঘোষণা করার কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায় নাই। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থাৎ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এই স্বাধীনতার ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর সংশ্লিষ্ট অংশ নিচে অবিকল উদ্ধৃত করা হলো।
ষষ্ঠ তফসিল, [১৫০ (২) অনুচ্ছেদ], জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা (অনূদিত), ‘ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। -শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ ১৯৭১’।
এই ঘোষণা সম্পর্কে এ কে খন্দকার লিখেছেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রকাশ্যে কাউকে কিছু বলেননি বলেই আমি জানি। অনেকে বলেন, বঙ্গবন্ধু ২৫ মার্চ রাতে এক হাবিলদারের মারফত চিরকুট পাঠিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবার বলা হয়, বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য সংবাদ পাঠিয়েছিলেন। কোথাও কোথাও এমনও উল্লেখিত হয়েছে যে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের বেতারযন্ত্রে বা ডাক ও তার বিভাগের টেলিগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি প্রচার করেন। এগুলোর কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ আমি কোথাও পাইনি। আর যা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয় তার বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পাইনি।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘কোন যুক্তিতে বঙ্গবন্ধু চিরকুট পাঠাবেন, যেখানে প্রকাশ্যে স্বাধীনতা ঘোষণায় তার কোনো বাধাই ছিল না? বলতে গেলে মার্চ মাসের শুরু থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই দেশ চলেছে। ২৩ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় দিবসেও সারাদেশে দু-চারটা সরকারি ভবন ছাড়া কোথাও পাকিস্তানি পতাকা ওড়েনি, বরং সবাই স্বাধীন বাংলার পতাকা অথবা কালো পতাকা উড়িয়েছে। এ ধরনের অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু কেন গোপনে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে যাবেন? স্বাধীনতা ঘোষণা করতে চাইলে তিনি তো জনগণের পাশে থেকেই তা করতে পারতেন। তার মতো সাহসী এবং ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় নেতার স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে রাতের অন্ধকারের প্রয়োজন হয় না। আমরা যত দিন যুদ্ধ করেছি, তত দিন পর্যন্ত এই চিরকুট পাঠানোর কথা শোনা যায়নি। বরং আমরা সবাই আলোচনা করতাম যে বঙ্গবন্ধু কেন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গেলেন না, দিলে কী ক্ষতি হতো ইত্যাদি।’
॥তিন॥
বিএনপির অবস্থান হলো এই যে, শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার দল আওয়ামী লীগ কোনোদিনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি, চেয়েছিলেন অখ- পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে।
বিএনপির মতে, ২৫ মার্চ ক্র্যাকডাউনের পর জনগণ যখন দিশেহারা, যখন সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ তীব্র হতাশা এবং আতঙ্কে নিমজ্জিত ছিলেন তখন ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সেদিনের মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা হতাশায় নিমজ্জিত জাতিকে উজ্জীবিত করে এবং তারা স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এই দুই বক্তব্যের গোলকধাঁধায় পড়ে জনগণ খাবি খাচ্ছেন। এজন্য তাদের কাছে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা দরকার। একথা ঠিক যে, ২৬ মার্চ মেজর জিয়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই ঘোষণা মানুষকে বিপুলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। কিন্তু একথা সত্য যে, মেজর জিয়াউর রহমান ঐ ঘোষণায় বলেছিলেন যে, তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের তরফ থেকে এই ঘোষণা দিচ্ছেন।
॥চার॥
যাই হোক, ১৬ ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস এবং ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে বিগত ৫৩ বছর ধরে উদযাপন করা হচ্ছে। দেখতে দেখতে বাংলাদেশ ৫৫ বছরে পা দিলো। কিন্তু ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ওয়াদা করা হয় যে, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিধা নিশ্চত করণার্থে’ জনগণের কাছে মুজিবনগর সরকার ওয়াদা করেন। এটিই চৎড়পষধসধঃরড়হ ড়ভ ওহফবঢ়বহফবহপব (১ংঃ চৎড়পষধসধঃরড়হ) বা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। কিন্তু ৫৪ বছর পরেও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মোতাবেক জনগণের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিধা সুনিশ্চিত হয়নি। তাই গত ৫ আগস্ট সম্পন্ন হয়েছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থান। ড. ইউনূসসহ বিপ্লবের নায়করা এই বিপ্লব বা অভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আগেই বলেছি যে, এবারের বিজয় দিবসের পেক্ষাপট ভিন্ন। এক বছর আগে ছিল এক নিকৃষ্ট, দানবীয় স্বৈরাচার এবং চোরতন্ত্র (ক্লেপ্টোক্র্যাসি)। সেই দস্যুদের রাজত্ব ঝাড়ে বংশে উৎখাত হয়েছে। গণবিপ্লব ড. ইউনূসকে বসিয়েছে ক্ষমতায়। ছাত্র নেতৃবৃন্দের ওয়াদা, ফার্স্ট রিপাবলিক জনগণের মর্যাদা ও অধিকার সুনিশ্চিত করতে পারেনি। তাদের এই বিপ্লব শুধুমাত্র এক সরকারকে হটিয়ে আরেকটি সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। তাদের ওয়াদা, দ্বিতীয় রিপাবলিকের ঘোষণা, যে ঘোষণার বলে জনগণের অভিপ্রায়কে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তারা সাধ্যমত চেষ্টা করবেন।
এমন একটি পটভূমিতে এবার অর্থাৎ ২০২৪ সালে বিজয় দিবস এসেছে। পরিবর্তিত পটভূমিতে ‘জয় বাংলা’ এখন আর জাতীয় শ্লোগান নয়। সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় দিয়েছেন। শেখ মুজিবকে গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ লক্ষ জনগণ জাতির পিতা হিসেবে মানেননি। তার মূর্তি ঢাকা শুরু করে সারাদেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ১৫ আগস্টকে আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় শোক দিবস এবং সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল। সেটিও বাতিল করা হয়েছে। এসবই বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
একতাই পারবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নেই আশানুরূপ সাড়া
শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন
ভোলায় আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকের উপর হামলা
ভাবনার দিক দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যবধান ঘটে গেছে
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিমানের মাসিক বিক্রয় ৯০০ কোটি টাকা ছাড়ালো
ফরিদপুরের বাড়িতে এসে পৌঁছেছে মামা-ভাগ্নের লাশ
সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন টেটা বৃদ্ধ, আহত ১০
হাসিনাকে কি বাংলাদেশে নির্বাসিত করা হবে?
জকিগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের সেবা সহজীকরণ অনুষ্ঠান
লাকসামে বিএনপির আজিম-কালাম গ্রুপ মুখোমুখি: ককটেল বিস্ফোরণ, অস্ত্রের মহড়া
ভুয়া পেইজে ঢাবি প্রশাসনসহ অনেকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, এডমিন ঢাবি ছাত্রদল নেতা
ইটনায় বিএনপির স্বাধীনতার বিজয় উৎসবে নেতাকর্মী ও জনতার ঢল এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি ৯০ শতাংশ ভোট পাবে: ফজলুর রহমান
ব্যান্ড সঙ্গীত ও বাইকপ্রেমীদের জন্য সুজুকি ও আর্টসেলের নতুন মিউজিক ভিডিও
বিএনপি সকল ধর্ম -বর্ণ-গোত্রের দল : প্রিন্স
বিয়ের করার সময় যে সমস্ত খেয়াল রাখা প্রসঙ্গে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
`আগামী নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে'