আপন আপন দ্যুতিতে প্রোজ্বল তিনটি সাল
০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম
ওপরের হেডলাইন থেকেই বোঝা যায় যে আমাদের জাতীয় জীবনে এই তিনটি সালই আপন আপন দ্যূতিতে প্রোজ্জ্বল। প্রথমে ১৯৪৭ সাল। গত শতাব্দীর এই সালের ১৪ এবং ১৫ আগস্ট আসমুদ্র হিমাচল ভারতবর্ষ কেটে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। একটি ভাগ পাকিস্তান। আরেকটি ভাগ ভারত। এই দিবসটি মহিমান্বিত এই কারণে যে পৃথিবীতে অনেক দেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও সেসব ভূখন্ড অস্তিত্বশীল ছিল, কিন্তু শাসক ছিল বিদেশী। ব্রিটিশরাও ২০০ বছর আগে ভারতবর্ষে আসে। তখনও ভারতবর্ষ বলে একটি ভূখন্ড ছিল এবং আজও আছে। ১৯৪৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে যে ভারতবর্ষ ছিল সেই ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দুই ভাগে বিভক্ত হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টের আগে হাজার বছর খোঁজ করলেও পাকিস্তান নামক কোনো রাষ্ট্রের খোঁজ পাওয়া যাবে না। ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ শাসক এবং ভারতবর্ষের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ অর্থাৎ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রাম করে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র কায়েম করে।
পাকিস্তান কায়েমের সময় পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিন্তান উভয় অঞ্চলের প্রত্যাশা ছিল মহান ও পবিত্র ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী একটি ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন। সেই রাষ্ট্রে ইসলামী বিধান অনুযায়ী আশরাফ এবং আতরাফ থাকবে না। থাকবে না কোনো শ্রেণী বৈষম্য। থাকবে না কোনো আঞ্চলিক বৈষম্য। কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয় এই যে, পাকিস্তান রাষ্ট্রের ২৪ বছরের জীবনে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও প্রশাসনিক সব দিক দিয়ে বঞ্চিত করা হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রদেশ ছিল ৫ টি। এগুলো হলো পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান, সিন্ধ,ু পাখতুনখোয়া (সাবেক সীমান্ত প্রদেশ) এবং পূর্ব বাংলা। এই ৫ টি প্রদেশের মধ্যে ১৯৪৬ সালে পূর্ব বাংলার জনসংখ্যা শুধুমাত্র ৫টি প্রদেশের মধ্যেই সর্বাধিক ছিল না, বরং পশ্চিম পাকিস্তানের ৪ টি প্রদেশের সম্মিলিত জনসংখ্যার চেয়েও বেশি ছিল। স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় পূর্ব বাংলার যে ন্যায্য অধিকার ছিল সেটি থেকে তাকে অব্যাহতভাবে বঞ্চিত করা হয়।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান কায়েম হওয়ার পর ১৯৭০ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সমগ্র পাকিস্তান ভিত্তিক কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৭০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে সারা পাকিস্তান ভিত্তিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ১৬৭ টি আসনে বিজয় লাভ করেন। এই বিজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে শুধুমাত্র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাই লাভ করেনি, বরং সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। স্বাভাবিকভাবেই সারা পাকিস্তানে ফেডারেল সরকার গঠনের অধিকার শাসনতান্ত্রিকভাবে (পাকিস্তান আমলে সংবিধানের পরিবর্তে শাসনতন্ত্র শব্দটি লেখা হতো) লাভ করে আওয়ামী লীগ। সমগ্র নির্বাচনী প্রচারণায় শেখ মুজিবুর রহমান তার ৬ দফা প্রস্তাব জনগণের মাঝে প্রচার করেন। শেখ মুজিবের নিরঙ্কুশ বিজয়ের অর্থ হলো জনগণ ৬ দফার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান বিশেষ করে ঐ অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ৬ দফা হুবহু মেনে নিতে পারেননি। তার দাবি ছিল, ৬ দফা আংশিক সংশোধন করলে শেখ মুজিবকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি মেনে নেবেন। কিন্তু শেখ মুজিব ৬ দফার ব্যাপারে ছিলেন অনঢ়। তিনি বলেছিলেন, ৬ দফা থেকে দাঁড়ি কমাও তিনি পরিবর্তন করবেন না।
দুই
ঢাকায় ১৪ই মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত একটানা আলোচনার পরেও তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান এবং জেড এ ভুট্টো ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হন। অতঃপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর মিলিটারি ক্র্যাকডাউন। ফলাফল, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পরাজয় এবং মুক্তি বাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সম্মিলিত বিজয়। এই সম্মিলিত বিজয়ের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে আসা তথা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রধান কারণ ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অবহেলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের অবসান। এদিক দিয়ে দেখতে গেলে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট যে আকাঙ্খা নিয়ে ভারতবর্ষের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল ভারত বিভাগ করে স্বাধীন হয়েছিল সেই আকাঙ্খা পূরণ হয়নি। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণেরও সেই একই আকাঙ্খাই ছিল। অর্থাৎ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে একটি বৈষম্যবিহীন ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে।
শেখ মুজিব ৩ বছর ৮ মাস একক কর্তৃত্ব নিয়ে দেশ শাসন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, ভারতীয় প্রভূত্বের কারণে রাজনৈতিকভাবে দেশ স্বাধীন হয়নি, অর্থনৈতিকভাবেও জনগণ মুক্তি পায়নি। জনগণের মাঝে বিভিন্ন শ্রেণী বৈষম্য দিনের পর দিন প্রকট হয়ে ওঠে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট কোটি কোটি সাধারণ মানুষের যে অভিপ্রায় ও চাহিদা ছিল সেই একই অভিপ্রায় ও চাহিদা নিয়ে তারা বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। তবে পাকিস্তানের জন্মগ্রহণ ও বাংলাদেশের জন্মগ্রহণের মধ্যে তফাৎ ছিল এই যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারত বিভক্ত হয়েছে। আর একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আরো একটি বড় বৈশিষ্ট হলো এই যে, বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্বাধীনতা লাভ করার ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়েছিল।
এরপর ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হলো। এরমধ্যে শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনকে নিকৃষ্ট কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী শাসন হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। এই নিকৃষ্ট স্বৈরাচারের একমাত্র মিল পাওয়া যায় উত্তর কোরিয়ায়। সাড়ে ১৫ বছরের শাসন মানসিকভাবে বিকৃত এক রক্ত পিপাসু স্বৈরিনীর বিপুল রক্ত পানের কলঙ্কে চিহ্নিত। বাংলাদেশের মানুষের কপালে আরো একটি কলঙ্ক তিলক হলো স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারতীয় প্রভূত্বের অধীনে একটি উপনিবেশ এবং করদ রাজ্যের কলঙ্ক তিলক।
তিন
শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, কুশাসন এবং মধ্যযুগীয় বর্বর শাসনের বিবরণ এই একটি মাত্র নিবন্ধে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের জনগণের সামনে এই সাড়ে ১৫ বছরে সবচেয়ে বড় দুশাসন ছিল লক্ষ কোটি টাকা পাচার, লক্ষ কোটি টাকা ঋণ খেলাপ, লক্ষ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুন্ঠন, হাতে গোনা ৮ থেকে ১০ জন অলিগার্কের হাতে রাষ্ট্রের ৯০ শতাংশ সম্পদ কেন্দ্রীভূত করা এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার নাগরিককে বলপূর্বক আয়না ঘর সহ বিভিন্ন টর্চার সেলে বন্দি রাখা এবং অনেককে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের শিকার করা।
সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন করেছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। প্রতিটি সভা বা মিছিলে বলা হতো, আপনারা শান্তিপূর্ণ থাকবেন, সহিংস হবেন না। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কি কোনোদিন বাশার আল আসাদ, হোসনী মোবারক, হিটলার প্রমূখকে অপসারণ করা গেছে? যায়নি। ১৫ বছরের ব্যর্থ আন্দোলনের ফলে দাঁড়ায় দুই রকম। (১) জনগণ সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং ভেবেছিলেন যে শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন তাকে কেউ সরাতে পারবে না। (২) একই সাথে জনগণের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আক্রোশ সৃষ্টি হতে এবং বাড়তে থাকে। সারা বাংলাদেশের জনগণ হয়ে ওঠে বিক্ষোভের বারুদাগার।
চার
তাই দেখা যায়, গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র সমাজ চাকরি বাকরির ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু করেন শেখ হাসিনা বিএনপি বা অন্যান্যদের মতো যেভাবে অতীতে ডান্ডা মেরে বিএনপি নেতাদের ঠান্ডা করেছেন সেই একই জুলুমের স্টীম রোলার ছাত্রদের ক্ষেত্রে বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। ঐ যে বলেছি, বিক্ষোভের বারুদাগার, এখানেও হয়েছে তাই। শেখ হাসিনা যতই রক্ত ঝরাতে থাকেন, ততই আরো রক্ত দিতে ছাত্রদের সাথে সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষ যোগদান করেন এবং পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির উদ্যত সঙ্গীনের সামনে বুক পেতে দেন। সমগ্র বিশে^র স্তম্ভিত চেতনার ওপর এ যেন এক বিদ্যুৎ প্রহার। বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল সাড়ে ১৫ বছরে ঘুরে দাঁড়ায়নি। কিন্তু ছাত্রদের নেতৃত্বে সমগ্র সমাজ হাসিনার দানবীয় শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
অবশেষে দেড় হাজার তাজা প্রাণের বিনিময়ে, ২৬ হাজার মানুষের আহত হওয়ার বিনিময়ে, অর্থাৎ বিরাট রক্ত ¯্রােতের মাধ্যমে লক্ষ কোটি জনগণ রাস্তায় নেমে শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় রক্ত লাল সূর্য। এবারও ঐ লক্ষ কোটি জনগণের আকাঙ্খা এবং অভিপ্রায় এক। যে আকাঙ্খা তারা ধারণ করেছিলেন ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সেই একই আকাঙ্খা তারা ধারণ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু আবার ব্যর্থ হয়ে সেই একই আকাঙ্খা ধারণ করে তারা জীবন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য জ্ঞান করে সৃষ্টি করেছে এমন একটি বিপ্লব যা ফরাসি বিপ্লব, রুশ বিপ্লব, চীনা বিপ্লব, মার্কিন বিপ্লবসহ আলোড়ন সৃষ্টিকারী সব বিপ্লবকে ছাড়িয়ে গেছে।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে প্রত্যেকটি খুনের বিচার হতে হবে
চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
বিশ্বনাথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুইট গ্রেফতার
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা শীর্ষক জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নতুন কমিটির উদ্দেশ্যে সাবেক সভাপতি তিন টাকার কমিটি রুখে দেয়া কঠিন কিছু হবে না
মির্জাপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
উদ্বোধনের ৪দিন পরও সেচ পানি মিলেনি মেঘনা - ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কৃষকের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বিশ্বনাথে সাংবাদিককে খুন-গুমের হুমকি
সুবর্ণচরে অনুমোদনহীন কীটনাশক ও ভেজাল সার খালে ফেলে নষ্ট করলো প্রশাসন
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে মেটাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
ঈশ্বরদীর ৩ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়
‘বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের উৎসব অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে’
সিংগাইরে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশের পরিচয় মিলেছে
শাহরাস্তিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক
শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের সহ ১৬৬ জনের বিরুদ্ধে ফের হত্যা মামলা বগুড়ায়
ছাগলনাইয়ায় ছাত্র শিবিরের প্রকাশনা সামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রয় উৎসব
ছাগলনাইয়ায় 'মুফতি মাহমুদুর রহমান আল্ খিদমা ফাউন্ডেশন' এর আত্মপ্রকাশ
কচুয়ায় ফুলকপির ভালো ফলনেও লাভের মুখ দেখছে না কৃষকরা