এখনও অপুর নির্দেশেই চলছে শুটিং ফেডারেশন!
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে রূপ নেয় তখনই পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। জুলাই বিপ্লবের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে আত্মগোপনে চলে যান প্রায় সব আওয়ামী লীগ দোসর। এ ধারায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনেরও অনেকে বর্তমানে রয়েছেন আত্মগোপনে। এ তালিকায় আছে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু’র নাম। যিনি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জ্বালানী, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ছোট ভাই। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর সেই ইন্তেখাবুল হামিদ অপুও চলে যান আত্মগোপনে। তবে জানা গেছে, জনরোষ থেকে বাঁচতে অপু দেশ ছাড়লেও তার প্রেতাত্মা ঠিকই বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনে। অভিযোগ আছে, আত্মগোপনে থাকা অপুর নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর ফেডারেশনের বর্তমান কর্তারা। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে দেশের শুটিং অঙ্গনে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ছিলেন সাবেক জ্বালানী, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় থেকে অপু শুটিং ফেডারেশনে রামরাজত্ব কায়েম করেছিলেন। সংগঠকদের ভয় দেখানোসহ অবৈধ অস্ত্র বিক্রি, পছন্দের শুটারদের বিদেশে নিয়ে যাওয়া এবং ফেডারেশনের কার্যালয়কে নিজের ব্যক্তিগত অফিস বানিয়ে রেখেছিলেন অপু। বলা যায় শুটিং ফেডারেশনকে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিপরায়ণ করে তুলেছিলেন তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগেই দেশ ছাড়েন অপু। কিন্তু তার নির্দেশনা অনুযায়ী গণঅভ্যুত্থানের পরদিনই ৬ আগস্ট হাজার হাজার শহীদদের বলিদানকে কলুষিত করতে কৌশলে শতাধিক শুটারদের এনে ক্যাম্প চালু করেন ফেডারেশনের বর্তমান কর্তারা। এরপর থেকে শুটিংকে নিজের কব্জায় রাখতে বিদেশে বসেই নানা কৌশল ও নির্দেশনা দিতে থাকেন অপু। অভিযোগ রয়েছে, অপুর ডানহাত খ্যাত লে. কর্ণেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সোহেলকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ১৮ সেপ্টেম্বর লোক দেখানো এক সভার মাধ্যমে সিনিয়র সহ-সভাপতি আ ন ইসতিয়াক আহমেদ বাবুলকে সভাপতি করা হয়। যাতে ফেডারেশনে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন অপু। ২০০৮ সালে কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেওয়া বাবলু ফেডারেশনের শতকোটি টাকার জমি (রাজউক বরাদ্দ) নন্দনের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
অপুর অন্যতম দোসর মোস্তাক ওয়াইজ। বিগত আট বছরে দলের সঙ্গে বিদেশে যাওয়াসহ সকল রকম সুবিধাভোগীদের অন্যতম একজন। চলচ্চিত্র জগতের প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ’র স্ত্রী সামিরার দ্বিতীয় স্বামী এই মোস্তাক ওয়াইজ। সালমান শাহ’র মৃত্যুর জন্য অনেকাংশে তাকেই দায়ী করেন ভক্তরা। অভিযোগ রয়েছে, স্ত্রী সামিরার বন্ধু ও ফেডারেশনের মহাসচিব অপুর সহযোগিতায় নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রথমে জিএম এবং পরে কমিটির পদে জায়গা করে নেন মোস্তাক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সংগঠক গতকাল বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর ক্যাম্প চালু রেখে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের বলিদানকে উপেক্ষা করেছেন শুটিংয়ের কর্মকর্তারা। অপু ও সামিরার বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে ফেডারেশনে চট করে ঢুকে এখন তাদের দোসরে পরিণত হয়েছেন মোস্তাক ওয়াইজ। যিনি শুটিং খেলা সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ! বলতে গেলে গত ৮ বছরে যাচ্ছেতাই ভাবে চালানো হয়েছে ফেডারেশনকে। দেশের শুটিং খেলাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। শুটিং ফেডারেশনে এখনও চলছে অপু-সোহেল-মোস্তাক-বাবলু গংদের রাজত্ব।’
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়
‘হাই অ্যালার্টে’ লন্ডন, মার্কিন দূতাবাসের সামনে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ