ব্যবহারে আসছে না নাঙ্গলকোটের গোত্রশাল দিঘি
১৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:২০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:০৮ পিএম
নাঙ্গলকোট পৌর সদরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ১০ একর জায়গা জুড়ে স্থান দখল করে আছে অপরূপ সৌন্দর্যের গোত্রশাল দিঘী। শতাব্দীকাল পূর্বে জনৈক সমাজ হিতোষী এলাকার খাবার পানির সুব্যবস্থায় দিঘীটি খনন করে স্থানীয় জনগনের চাহিদা পূরণ করেন।
ইতোমধ্যে বৃটিশরা ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ১৮৩৩ সালে চালুর সময় দিঘীটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ, তথা দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়ে। পশ্চিমাংশ ব্যাক্তি মালিকানায চলে গেলেও পূর্বাংশ সরকারি খাস খতিয়ানের তালিকাভুক্ত। এ নিয়ে চলছে গত ৫২ বছর ধরে মালিকানা গ্রহনের নানা ফন্দিফিকির কিন্তু কেউ সফল হয়নি। ব্যর্থ দুর্বৃত্ত দখলদার সুবিধা ভোগি চক্র একেবারে দমেনি। তারা এরই মধ্যে নানা কৌশল খাটিয়ে জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলসড়কটি হুমকির মুখে ফেলে বালি উত্তোলন করে ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতে থাকে। গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে উঠে আসলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা রহিত হয়।
যুগযুগ ধরে দিঘীটি অনাবাদিভাবে পড়ে থাকায় দীর্ঘকাল ধরে স্থানীয় জনগন এর কোন সুবিধা ও সৌন্দর্য রুপ উপভোগ করতে পারছেনা। বিশাল খোলা পূর্ব পাড়টি গোরস্থান হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে। উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে বসতি গড়ে উঠলেও পশ্চিম পাড়ে রেল সড়ক ও বিনোদন প্রত্যাশী পাবলিক যাতায়াত কাজে ব্যবহ্রত হয়ে আসছে। এ দিঘীকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনের দাবি বরাবরই স্থানিয় জনগনের। কিন্তু হীনমন্য কিছু উন্নয়ন বিরোধীদের কারণে শুরু করা যাচ্ছিলনা।
পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের প্রথম মেয়াদে গোত্রশাল দিঘীর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি)-এর আওতায় একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও পারা যায়নি বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়াতায় ১০ তলা বিশিষ্ট সিটি সেন্টার ও গোত্রশাল দিঘীকে সাজানোর পরিকল্পনা গৃহিত হয়েছে। দিঘীর সংস্কার কাজ শেষ করে ব্যাবসায়িক কেন্দ্রের পাশাপাশি বিনোাদন কেন্দ্র হিসেবেও নগর বাসির কাছে গুরুত্ব পাবে।
দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র এবং সিটি সেন্টার স্থাপনে পৌরসভার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সেন্টার ফর সোসাল সার্ভিসেসসহ বেশ কিছু নাগরিক ও সংগঠন। নাঙ্গলকোটবাসীর বিনোদনের কোনো কেন্দ্র না থাকায় এটিই এখন একমাত্র ভরসা। দিঘির চার পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে বিশ্রামের জায়গা করে দিলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ সেখানে সময় কাটানোর সুযোগ পাবে।
উপভোগ করবে স্বচ্চ পানির জলাধার। রাতে আলোকায়নের ব্যবস্থায় ফোয়ারার সৌন্দর্য উপভোগে আসবে বিনোদন প্রত্যাশীরা। শিগগিরই এসব কাজ শেষ হলে বদলে যাবে নাঙ্গলকোট পৌর সদর এলাকার চিত্র। এখানে শুধু মার্কেট কিংবা কেনাকাটা করতে নয় পরিবার নিয়ে ঘুরতে পারবে এমন ব্যাবস্থাই থাকছে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কান্নায় রয়েছে যেসব উপকারিতা
জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংগঠন ‘ইউএনআরডাব্লিউএ' এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইসরাইল
দিনাজপুরের খানসামায় ১১ বছর আগের চাঁদাবাজি ও বিএনপি'র কার্যালয় ভাংচুরের মামলা
চাঁদপুরে ডিম ছাড়ার পর ইলিশের গবেষণা
নিষেধাজ্ঞা শেষ পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত জেলেরা
বগুড়ায় ২০ টাকায় পঁচা পেয়াজ কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি, কেজিতে লাভ ৬০ টাকা
আন্দোলনে বিরোধীতা ও ছাত্রলীগের পক্ষ নেয়ায় জবি শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা
ইরানের স্যাটেলাইট ‘কোসর ও হুদহুদ’ উৎক্ষেপন করবে রাশিয়া
মৃত্যুর আগে ৭২ ঘন্টা কিছুই খাননি হামাস নেতা সিনওয়ার
যানজটমুক্ত কক্সবাজার শহর গড়তে জেলা পুলিশ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ড্রাইভারদের
ইসিকে সরকারের ৯ সতর্কতা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার বাংলা ব্যালট পেপার সংযুক্ত
কী কারণে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকে ৫৮৯ জনের চাকরিচ্যুতি
গর্ভবতী না হয়েও মাতৃত্বকালীন ভাতা নিচ্ছেন নারী ইউপি সদস্য
মন্দিরে ‘এসি’র পানি ‘চরণামৃত’ ভেবে পান করছেন ভক্তরা!
সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিল সরকার
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ, যা বলছেন নেটিজেনরা
'মিডিয়ায় মাফিয়া তাপসের উত্থান এবং হেরেমখান বৃত্তান্ত'
স্কুল-কলেজে নতুন ফি নির্ধারণ করল সরকার
ট্রাম্পকে সমর্থন জানালেন মার্কিন পডকাস্টার জো রোগান