সৈয়দপুরে সৌরবিদ্যুতে চলছে সেচ
০৩ জুলাই ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বৃষ্টির পানির পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ও সোলার বিদ্যুৎ দিয়ে পাম্প চালানোর কারণে সামান্য খরচে চাষিরা সেচ সুবিধা পাওয়ায় ক্রমেই পাতকুয়া সেচ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বৃহত্তর রংপুর জেলায় এ ধরনের সেচ প্রকল্পে কাজ শুরু করে। এই প্রকল্পের আওতায় নীলফামারী জেলায় মোট ছয়টি পাতকুয়া সেচের ব্যবহার শুরু হলেও আরও দু’টির কাজ চলমান আছে।
শুকনো মৌসুমে জেলার যেসব এলাকায় স্বল্প পানিতে শাক সবজি আবাদ হয় সেসব এলাকার চাষিরা ভালো সুবিধা পাচ্ছেন এই সেচ দিয়ে। আগে যেখানে ঘণ্টায় সেচে খরচ হতো ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এখন সেই পরিমাণ সেচে খরচ হচ্ছে মাত্র ৪০ থেকে ৬০ টাকা। সবজি প্রধান ও পানির স্তর নেমে যাওয়া এলাকায় মূলত বসানো হয়েছে এসব পাতকুয়া।
প্রতিটি পাতকুয়ার গভীরতা ১২০ ফুট। ৬০ থেকে ৯০ ফুটের মধ্যে বসানো হয়েছে পাম্প। এই পাতকুয়ায় ভূগর্ভস্থ ও বৃষ্টির পানি জমা হয়। ছাতা বা ফুল সাদৃশ্য শেডের উপরিভাগে বসানে হয়েছে সোলার প্যানেল। ফলে পাম্প চলাতে বিদ্যুৎ বা ডিজেলের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। যে জমিতে পাতকুয়া বসানো হয়েছে সেই জমির মালিকই দেখাশোনা ও সেচের টাকা আদায় করেন।
একেকটি পাতকুয়া তৈরিতে খরচ হচ্ছে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা। চারদিকে সবুজের সমারোহ, মাঝে যেন একটি বড় আকারের ফুটন্ত ফুল। কাছ থেকে দেখলে মনে হবে ছাতা আকৃতির শেড। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার জন্যই পাতকুয়া সেচ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এই ছাতা বা ফুল সাদৃশ্য শেডটি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান সরদার বলেন, এক সময় সবজি চাষে সেচের জন্য শ্যালো পাম্প ও বিদ্যুতের ওপর কৃষকদের নির্ভর করতে হতো। এতে উৎপাদন খরচ যেমন বাড়ত তেমনি সময়মতো সেচ দিতে না পারায় উৎপাদনও কম হতো। পাতকুয়া সেচ সম্পূর্ণ চিত্র পাল্টে দিয়েছে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম বলেন, সম্পূর্ণ প্রকল্পের অর্থায়নে পাতকুয়া সেচ যন্ত্রটি তৈরি করে কৃষকের মধ্যে দেয়া হচ্ছে যাতে কৃষকেরা সহজে এবং সামান্য খরচে চাহিদামতো পানি পেতে পারে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন
বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা