মধ্যরাতে ইবি মেডিক্যালে ভাঙচুর
১১ জুলাই ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
মধ্যরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইবি আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকি কাব্য গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম।
এ ঘটনায় গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া ও প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শন করেন।
সূত্রে জানা যায়, ভাঙচুরের দেড় ঘণ্টা আগে বুকের ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে যান রেজওয়ান সিদ্দিকি কাব্য। তাৎক্ষনিক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর আবার মেডিকেল সেন্টারের অ্যামবুলেন্স নিয়ে চিকিৎসা নিতে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে যেতে চান কাব্য। অ্যামবুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় কাব্য ক্ষীপ্ত হয়ে মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায় ও অ্যামবুলেন্স চালকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং তাকে মারধর করে। এরপর চালকের সাথে জোর করে অ্যামবুলেন্স নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে তাকে বাঁধা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম ও সিকিউরিটি অফিসার আব্দুস সালাম সেলিম। এসময় কাব্যের সাথে থাকা আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সালমান অহিদ ও আতিক আবরান ভয়ে পেয়ে সেখান থেকে চলে যান। এদিকে ড. শফিক ও সিকিউরিটি অফিসার আব্দুস সালাম সেলিমের সাথেও কথাকাটাকাটি শুরু করেন কাব্য। একপর্যায়ে রাত প্রায় ১২টার দিকে অ্যামবুলেন্স নিয়ে কাব্যকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। এরআগে মাদক সংশ্লিষ্টতা এবং দেশিয় অস্ত্রসহ মহড়া দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছিলেন এবং জেলেও গিয়েছিলেন রেজওয়ান সিদ্দিকি কাব্য। এছাড়া কাব্যকে বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবন করে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুর রহমান মিল্টন বলেন, বুকের ব্যথার জন্য চিকিৎসা নিতে আসে কাব্য এসময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে আবার কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অ্যামবুলেন্স চায় কাব্য। অ্যামবুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় মেডিকেল সেন্টারে সে ভাঙচুর চালায়।
এ বিষয়ে সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, কাব্য ডাক্তারের কাছে জোর করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি নেয়। পরে অ্যামবুলেন্স নিয়ে যাওয়ার সময় আমি ডায়না চত্বরে বাঁধা দিলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এসময় প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার মহোদয় এসেছিলেন। আমি মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান