মাদারীপুরের শকুনি লেক সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি
০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম
মাদারীপুরে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় শহরের শকুনি লেকের চারপাশে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা ও ঘুরতে পারছেন পর্যটকরা। এমন উদ্যোগে চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং রোধ পাবে বলে আশা ভ্রমণপিপাসুদের। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধু লেকেই নয়, পর্যায়ক্রমে পুরো শহরকে আনা হবে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের শকুনি লেক জেলার একমাত্র বিনোদন ও ভ্রমণের স্থান। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প থেকে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লেকের সৌন্দর্য বর্ধন করে মাদারীপুর পৌরসভা। নির্মাণ করা হয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শহীদ কানন, স্বাধীনতা অঙ্গন, শান্তি ঘাটলাসহ মাদারীপুর ঘড়ি নামে একটি সুউচ্চ টাওয়ার। এসব দেখতে ঈদ, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, কিংবা বিভিন্ন উৎসবে হাজারো মানুষের ঢল নামে। পর্যটকের নিরাপত্তায় লেকের চারদিকে বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা। বিনোদন পেতে আসা শিশু, কিশোর, নারী কিংবা বৃদ্ধদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। কখন চুরি, ছিনতাই কিংবা ইভটিজিংয়ের মুখোমুখি হতে হয় অনেকেই। এখন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছেন দর্শনার্থীরা। শরীয়তপুর থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী কেয়া বলেন, পুরো লেকজুড়ে বসানো ক্যামেরা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সবার ভালো লাগছে, আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি। মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ির দর্শনার্থী পুতুল আক্তার বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ফলে অনেক অপরাধ কম হবে। সবাই নিজেদের মতো করে ঘুরতে পারছি। রাতের বেলা এখন আর ভয় কাজ করে না।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আসা দেলোয়ার হোসেন সজিব বলেন, পুরো পরিবার নিয়ে লেকে ঘুরতে এসেছি। নিরাপত্তার স্বার্থে এই ক্যামেরা বসানো সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। মাদারীপুর পৌরসভার সচিব খন্দকার আবু আহম্মদ ফিরোজ ইলিয়াস বলেন, ১৮৫৪ সালে ওই জায়গা থেকে মাটি খননের পর মাদারীপুর শহরের উৎপত্তি হয়। পরে জায়গাটির নাম দেয়া হয় শকুনি লেক। জেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। প্রতিদিন গড়ে লেকে ঘুরতে আসেন ১৫-২০ হাজার দর্শনার্থী। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ জানান, শুধু শকুনি লেকেই নয়, পুরো শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলে কমবে অপরাধমূলক কর্মকা-। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, এরইমধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুরো শহরে ক্যামেরা বসানোর কাজ চলমান। যা সরাসরি পৌর কর্তৃপক্ষ মনিটরিং করছে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন