আবারো ডাকাতিয়ায় ভাঙন
১২ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪৯ পিএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে। চলতি বর্ষায় শহরের রঘুনাথপুরে ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় ১শ’ মিটার এলাকায়। বর্তমানে ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
২০১৭ সাল থেকে ধীরে ধীরে ডাকাতিয়ার ভাঙন কবলে বিলীন হচ্ছে শহরের পুরানবাজার, রঘুনাথপুর এলাকা। ইতোমধ্যে প্রায় ৬শ’ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনরোধে এবারো আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে স্থানীয়রা আশ্বাস নয়, চান স্থায়ী প্রতিকার।
সম্প্রতি রঘুনাথপুরে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১শ’ মিটার জায়গা তলিয়ে গেছে। এছাড়া ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে অনেক বসতভিটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বেড়িবাঁধ। ভাঙনরোধে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে বালিভর্তি ব্যাগ নদীতীরে ফেলছেন।
স্থানীয়রা জানান, ডাকাতিয়া নদীর উত্তরপাড়ে অসংখ্য ডুবোচর ছাড়াও কয়েকটি ছোটচর রয়েছে। ফলে নদীর দক্ষিণ পাড়ে জোয়ার-ভাটার তীব্র স্রোতে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর উত্তর পাড়ের চরগুলো ড্রেজিং করতে গিয়েও কাজ সম্পন্ন না করে ফিরে গিয়েছেন। কি কারণে ড্রেসিং কাজ সম্পূর্ণ না করে কর্তৃপক্ষ ফিরে গেছে তা নদীর দক্ষিণ পাড়ের মানুষ জানেন না।
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার পৌর ৫নং ওয়ার্ডস্থ রঘুনাথপুর বাজার সংলগ্ন শেখ বাড়ি, খান বাড়ি, পন্ডিত বাড়ি, সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প (গুচ্ছগ্রাম) কাজী বাড়ি, গাজি বাড়ি, মডেল লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকা, বালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকা ঢালীরঘাট, পাটওয়ারী বাড়ি, বাগাদি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ও শহরের ১১নং ওয়ার্ড গুনরাজদি এলাকা তীব্র ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এছাড়াও প্রায় অর্ধশত পরিবারের বসতঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন এলাকায় জরিপ করেন।
রঘুনাথপুর ও ঢালীরঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন, টেলু খান, আবুল বেপারী ও দুদু মেম্বার জানান, প্রতিবছরই আমাদের ফসলি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে ডাকাতিয়া নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এ পর্যন্ত নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে যথাযথ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। নদী ভাঙন রোধে এখনই যথাযথ কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে বেড়িবাঁধ সড়কসহ কয়েকটি এলাকা বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই নদী ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছি। নদীর তীরে ভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ চেয়েছি। আশা করি বরাদ্দ পেলে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ সদরদপ্তর
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ গ্রেপ্তার ৩
কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা
সাকিব-লিটনের ব্যাটে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা
মণিপুর সংঘাত ইস্যুতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার
বাংলাদেশ বেতারে উর্দু সার্ভিস চালু করতে পর্যালোচনা সভা
তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা
অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ
তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড
ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার