আড়িয়াল খাঁর ভাঙন আতঙ্কে তিন শতাধিক পরিবার
১৫ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩৬ পিএম | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়তে থাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে আড়িয়াল খাঁ নদে। এছাড়াও অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন বাড়ার জন্য দায়ী বলে মনে করেন নদ পাড়ের বাসিন্দারা। মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের চরঘুনসি এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের মুখে রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এছাড়াও এর আশপাশের প্রায় এক হাজার পরিবারের লোকজনের মধ্যেও ভাঙনের ভয় ও আতঙ্ক রয়েছে। নদপাড়ের অসংখ্য পরিবার গত কয়েক বছরে একাধিক বার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। ভাঙনের ফলে অনেক পরিবার তিন দফায় ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে তাদের ঘর সরানোর আর জায়গা নেই। এবার ভাঙলে তাদের রাস্তায় থাকতে হবে। এছাড়াও চরঘুনসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও হুমকির মধ্যে রয়েছে। তাই এখানকার মানুষ ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি তুলেছেন। একই সঙ্গে এই এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান।
স্থানীয় ইউনুস মুন্সী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ৭-৮ বছর ধরে নদে এই এলাকা ভাঙছে। ভাঙনের কারণে আমরা তিনবার ঘরবাড়ি সরিয়েছি, আমাদের ফসলি জমিও সব নদের মধ্যে। এখনো নদ ভাঙছে। এবার ভাঙনের মুখে পরলে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না। এখানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিলে অসংখ্য পরিবারের ঘর-বাড়ি বেঁচে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, এখানে নদে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। এ কারণেই ভাঙন বেড়েছে। জরুরিভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। স্থানীয়রা আরও জানান, ১০ বছর ধরে এখানে আমরা বসবাস করছি। অনেকেই রাতের আঁধারে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলে। এতে করে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে বার বার বললেও ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা বন্ধ হয়নি। তাই সবার কাছে দাবি, এখানে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা বন্ধ করা হোক। নদের পাড়ে প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস। সবাই হুমকির মধ্যে আছে। যেকোনো সময় নদের বুকে চলে যেতে পারে আমাদের ঘর-বাড়ি। তখন আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে।
শিরখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং আমাদের এমপি মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। এমপি ওই এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি ভাঙন রোধে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।
মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সানাউল কাদের খান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। তাছাড়া এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এটা করতে বড় অঙ্কের খরচ হবে। তাই আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবো। সেটা অনুমোদন পেলে আমরা ওইখানে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে পারবো। সেটা সময়ের ব্যাপার। তাই প্রাথমিকভাবে জরুরি বরাদ্দ পেলে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন বলেন, আমরা খুব দ্রæত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধসহ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তাসকিনের শিকার রোহিত
কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার হলো ধামরাইয়ে
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যার বিচার দাবিতে চাটমোহরে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন
বায়তুল মোকাররমের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে যা বললেন খতিব রুহুল আমীন
গোদাগাড়ী সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক, সাবেক এমপি লুৎফুন নেসা হোসেন মারা গেছেন।
দেড়শর আগেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
ঝিনাইদহে ৮ মামলায় পুলিশের ৪৩ কর্মকর্তা আসামী
পাহাড়িদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ
গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা নিয়ে অভিনেত্রী মেহজাবীনের পোস্ট
গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে ৫ সাংবাদিক নাশকতার মামলায় আসামি
ঢাবিতে বর্বরোচিত গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জলের জানাজা শেষে পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন
তারাকান্দায় প্রাইভেটকার ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত-২
রাঙামাটিতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকড
দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক সহ আটক-১
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ পেলেন ড. এস এম হাসান তালুকদার
৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
২০ কোটি সহায়তা দিয়ে এখনও বিএনপির ত্রাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে : ডা. জাহিদ
বায়তুল মোকাররমে তুমুল হট্টোগোল-মারামারি (ভিডিওসহ)