লোডশেডিং বিড়ম্বনায় গারো পাহাড় অঞ্চলবাসী
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১১ পিএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
ভাদ্রের তীব্র গরমের মধ্যে আবারও শুরু হয়েছে লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা। ঘন ঘন লোডশেডিং বিড়ম্বনায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শেরপুর জেলা উত্তর গারো পাহাড়বাসী। দুপুর, সন্ধ্যা কিংবা গভীর রাতে প্রচন্ড গরমের মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে পড়ে দুর্বিষহ জনজীবন। একদিকে গরম, অন্যদিক লোডশেডিংয়ে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন শেরপুর জেলা (উত্তর) গারোপাহাড় ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। লোডশেডিং চলছে পিডিপি ও পল্লী বিদ্যুতের উভয় লাইনেই। চলমান ভাদ্র মাসের প্রচন্ড গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ। ঘরের মধ্যেও যেন গরমে দম বন্ধ হয়ে আসছে। তীব্র গরম পেরিয়ে কর্মজীবীরা কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরে স্বস্তি খুঁজলেও বিদ্যুতের লুকোচুরির কারণে গরমে যেন কুপোকাত হয়ে পড়ছে। দিন-রাতজুড়ে বিদ্যুৎ একবার গেলে আর ঘণ্টার নিচে আসছেনা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চাকজীবী দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, কদিন আগে বৃষ্টি হলেও আবারও ব্যাপক গরম পড়া শুরু করেছে। এর মধ্যে দিন-রাতজুড়ে কয়েক দফায় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। সকাল ৯টায় অফিসে যেতে হয়। বাসায় ফিরে আসি রাতে। রাতে দু’চার বার বিদ্যুৎ যাবেই। গরমে অস্থির হয়ে উঠি। প্রচন্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ ছাড়া থাকা দায় হয়ে পড়েছে। অস্থির গরমে ফ্যান চালিয়েও ঘরে থাকা যায় না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে অস্থির গরমে মনে হয় আজাব যেন শুরু হলো। অটোচালক ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্দভাট পাড়া গ্রামের রুস্তম আলী ইনকিলাবকে জানান, বাইরে সূর্যের অনেক তাপ। রোদে সারা শরীর পুড়ে যায়। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এবং বিকেলে ৫টার পর থেকে গরম কিছুটা কম থাকে। সকাল ১০টার পর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাইরে প্রচন্ড গরম থাকে। গরমে মনে হয়, জীবন বের হয়ে যাচ্ছে। শরীরে ঘামের পড়ে দরদর করে। গাড়ি চালাতে অনেক কষ্ট হয়। দুপুরে খাবার সময় বাড়িতে গিয়ে দেখি কারেন্ট নেই! একবার গেলে আর আসার নাম নেই। কারেন্ট চলে গেলে বাচ্চা-কাচ্চা ঘেমে একাকার হয়ে যায়।
গান্দিগাঁও গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান ইনকিলাবকে জানান, বর্তমানে এতো গরম যেন গায়ে আগুন লেগে যাচ্ছে। গরমের সাথে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই গরমে বাইরে যেমন বের হওয়া যাচ্ছে না। তেমনি ঘরেও অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের অসুস্থ গৃহিনী মিসেস হিরা সাত্তার জানান, বর্তমানে যে গরমপড়া ধরেছে, তা সহ্য করতে পারছি না। দিনে রাতে বর্তমানে ৪/৫ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, গেলে ঘণ্টার নিচে আসার নাম নেই। বাইরেও বাতাস নেই, যে বাতাসে গিয়ে বসে থাকবো। গরমে জীবন বের হয়ে আসে। কোথাও স্বস্তি নেই।
ঝিনাইগাতী বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী ইনকিলাবকে বলেন, লোডশেডিং চলছে সীমিত আকরে। এ ব্যাপারে আমরা কিছু করতে পারছিনা। অথ্যাৎ যতটুকু চাহিদা তারমধ্যে সীমিত আকারে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করে লোডশেডিং কমানো যায় কিনা তা চেষ্টা করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার