শেরপুর উত্তরে রাসেল ভাইপার আতঙ্ক
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
শেরপুর জেলা ( উত্তর) গারো পাহাড়ি অঞ্চলের ধান ক্ষেতে হঠাৎ করে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার পাওয়া যাচ্ছে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও সদর উপজেলার বেশ কয়েক স্থানে দেখা মিলেছে রাসেল ভাইপার বিষধর সাপের! এর মধ্যে ধান ক্ষেতে ৪টি ও কলা বাগানে ৩টি বিষধর সাপ মেরে ফেলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষ প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম ও নেই। ফলে মুমুর্ষ রোগীদের পাঠানো হয় ময়মনসিংহে। জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার গড়পাড়ায় কলা বাগানে ২টি ও শহরের মীরগঞ্জের কলা বাগানে ১টি, ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের ধান ক্ষেতে ২টি এবং পৌর শহরের নারায়ণপুরের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এলাকার ধানক্ষেতে ২টি সাপ স্থানীয় লোকজন মেরে ফেলার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার শ্রীবরদী উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক হাবেল মিয়া কলা বাগান পরিষ্কারের সময় দেখতে পান বিরাট আকারের ২টি বিষধর সাপ। সাথে সাথে তারা সাপ মেরে ফেলেন। তিনি জানান, এই সাপকে তারা স্থানীয় ভাষায় চনদ্রবোরা নামে চেনেন। ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী আনিস মিয়া বলেন, তার গ্রামের পার্শ্ববর্তী এক দেড় কিলোমিটার দূরেই পাহাড়ি অঞ্চল। আমরা আমাদের ধান কেটে মাটিতে বিছিয়ে রেখেছিলাম শুকানোর জন্য। ধান আটি বাধার সময় ধানের নিচে কয়েকটি রাসেল ভাইপার সাপ দেখতে পাই। আমরা দৌড়ে পালালেও কৃষি শ্রমিকরা ২টি সাপ মেরে ফেলে। এ নিয়ে বিরাট আতঙ্কে আছি। স্থানীয় ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, আমরা পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করি। অনেক সময় সাপের কামড়ে আক্রান্ত হতে হয়। কিন্তু উপজেলা তো দূরের কথা জেলা সদর হাসপাতালেও কোন চিকিৎসা নেই। সাপে কামড়ালে ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়। যা আমাদের জন্য সীমাহিন দুর্ভাগ্যের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ( উদ্ভিদ সংরক্ষণ) হুমায়ুন কবির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, যেহেতু সাপের সংখ্যা বেড়েছে, সেজন্য কৃষকদের সচেতনতার পাশাপাশি জিন্স কাপড় ও জুতা পরে ধান কাটার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও কাছাকাছি লাঠি রেখে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে শেরপুর সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্রাচার্যে ইনকিলাবকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর জন্য অ্যান্টিভেনম সরবরাহের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে বেশ কিছু অ্যান্টিবেনম ছিলো। এতোদিন রোগী না থাকায় তা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তবে নতুন করে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এখনো পাইনি। বেশি সঙ্কটাপন্ন রোগীদের ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আনলিমিটেড মেয়াদে ডাটা ও বছর মেয়াদে বান্ডেল অফার নিয়ে বাজারে এলো টেলিটকের জেন জি (Gen-Z) প্যাকেজ
জাস্টিন ট্রুডোর সাথে বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস
চীন-সুইস অবাধ বাণিজ্য চুক্তির আপগ্রেড আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে কেন এত আগ্রহ?
সেপ্টেম্বরের ২৪ দিনেই ডেঙ্গু রোগী আট মাসের চেয়ে বেশি
যশোর শহরে এক দোকানীকে মারপিট ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি : থানায় অভিযোগ
ভারতীয় সাংবাদিকদের জোরপূর্বক ড. ইউনূসের লিফটে ঢোকার চেষ্টা...
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
ফলে গেল মাস্কের ভবিষ্যদ্বাণী, অলিম্পিকে রুপাজয়ী শুটার এখন ‘ভিলেন’
যশোরে নিখোঁজ সবিতা রানীর লাশ সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ
এক রকেটে আটটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠালো চীন
আবু সাঈদের মৃত্যুর কারণ মাথার আঘাত নয়- ডা. রজিবুল
সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন গ্রেপ্তার
বাংলাদেশকে সেমিতে তুলল ভারত
গেইলের ছক্কার রেকর্ড ভাঙলেন পুরান, হুমকিতে রিজওয়ানের রেকর্ডও
পাকিস্তান দলে ফিরলেন ৩৭ বছর বয়সী নোমান
বদলে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ভেন্যু
লিগ কাপে সিটি ও চেলসির জয়
আনচেলত্তির মাইলফলক ম্যাচ জয়ে রাঙাল রিয়াল
৩০ পেরোনোর আগেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন জিদানপুত্র