আশাশুনির মাঠে মাঠে সরিষার সমারোহ
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
আশাশুনির সবুজে ঘেরা গাও গ্রামের চিরচেনা রূপ হলুদ আর হলুদ-সবুজে একাকার হয়ে অপরূপ সৌন্ধর্যে পরিণত হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহে উজ্জীবিত হয়ে সাড়ে ৩ সহস্রাধিক কৃষক এবছর সরিষা আবাদ করায় এই অপরূপ পরিবেশের উদ্ভব হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ সরিষার ফলন পাবে বলে আশায় বুক বেধেছেন কৃষকরা।
আমন ফসল উঠার পর এলাকার কৃষকদের বড় অংশ বোরো ধান আবাদের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। বীজ তলা, জমি তৈরিতে ২ মাসের অধিক সময় পতিত থাকে এসব জমি।
পতিত জমিতে বোরো আবাদের আগে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে সরিষা আবাদের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা ও প্রণোদনার আওতায় এনে সহযোগিতার মাধ্যমে সরিষা চাষের পরিমাণ বৃদ্ধিতে কার্যক্রম হাতে নেয় কৃষি বিভাগ। ফলে ডাঙ্গার জমিতে সরিষা আবাদের পাশাপাশি ধান চাষের বিলান জমিতে দুই ফসলের মাঝের পতিত সময়ে সরিষা আবাদের লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে আসে কৃষি বিভাগ। ফলশ্রুতিতে এলাকার মাঠের পর মাঠ এখন সরিষার ফুলে হলুদ রঙের সুদৃশ্য অবতারনা বিরাজ করছে।
নওয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মনিরুল গাজী জানান, তিনি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পারেন আমন ধান কাটার পূর্বেই ধান ক্ষেতের মধ্যে সরিষা ছড়িয়ে দিলে সরিষা আবাদ করা যায়। পরবর্তী বোরো ফসল আবাদের পূর্বেই সরিষা উঠে যাবে। তাদের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবছর সরিষা আবাদ করেছি। আমার ক্ষেতে এখন সরিষার সুন্দর ফসল হয়েছে। কম খরচে পড়ে থাকা জমিতে অতিরিক্ত ফসল তুলতে পেরে অনেক লাভবান হতে পারবো। তিনি বলেন, আমার মত বহু কৃষক এবছর সরিষা আবাদ করেছে। আমাদের বিলে এখন সরিষার হলুদ ফুলে সুন্দর দৃশ্য ফুটে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, আমরা এবছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৯০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নির্দেশনা প্রদান করি।
আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৯১০ হেক্টর জমি সরিষা আবাদের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে ৩৫০ হেক্টর রিলে ফসল উৎপাদনের আওতার জমি রয়েছে। আবাদকৃত সরিষার মধ্যে বারি ১৪ ও ১৭, বিনা ৯ ও টরি ৭ জাতের সরিষা রয়েছে। উপজেলায় ১৭০০ জন প্রণোদনা কৃষকসহ মোট ৩৬০০ জন কৃষক সরিষা আবাদ করেছেন। এবছর সরিষার আবাদও ভাল দেখা যাচ্ছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে হেক্টর প্রতি ১.২ মেঃটন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাশা করছি। সে অনুযায়ী এবছর আশাশুনিতে ৯১০ মে.টন থেকে ১০৯২ মে.টন সরিষা উৎপাদন হতে পারে। বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতি মে.টন সরিষার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা হওয়ায় এবছর ৮ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার সরিষা উৎপাদিত হবে ইনশাল্লাহ।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আনলিমিটেড মেয়াদে ডাটা ও বছর মেয়াদে বান্ডেল অফার নিয়ে বাজারে এলো টেলিটকের জেন জি (Gen-Z) প্যাকেজ
জাস্টিন ট্রুডোর সাথে বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস
চীন-সুইস অবাধ বাণিজ্য চুক্তির আপগ্রেড আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে কেন এত আগ্রহ?
সেপ্টেম্বরের ২৪ দিনেই ডেঙ্গু রোগী আট মাসের চেয়ে বেশি
যশোর শহরে এক দোকানীকে মারপিট ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি : থানায় অভিযোগ
ভারতীয় সাংবাদিকদের জোরপূর্বক ড. ইউনূসের লিফটে ঢোকার চেষ্টা...
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
ফলে গেল মাস্কের ভবিষ্যদ্বাণী, অলিম্পিকে রুপাজয়ী শুটার এখন ‘ভিলেন’
যশোরে নিখোঁজ সবিতা রানীর লাশ সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ
এক রকেটে আটটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠালো চীন
আবু সাঈদের মৃত্যুর কারণ মাথার আঘাত নয়- ডা. রজিবুল
সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন গ্রেপ্তার
বাংলাদেশকে সেমিতে তুলল ভারত
গেইলের ছক্কার রেকর্ড ভাঙলেন পুরান, হুমকিতে রিজওয়ানের রেকর্ডও
পাকিস্তান দলে ফিরলেন ৩৭ বছর বয়সী নোমান
বদলে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ভেন্যু
লিগ কাপে সিটি ও চেলসির জয়
আনচেলত্তির মাইলফলক ম্যাচ জয়ে রাঙাল রিয়াল
৩০ পেরোনোর আগেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন জিদানপুত্র