বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের আদমদীঘিতে এক সতন্ত্রপ্রার্খীর ৫ কর্মীর ওপর অপর স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মী বাহিনী হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ মিলেছে। অভিযোগে জানা গেছে, স্বতন্ত্রপ্রার্থী (আদমদীঘি উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি) কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অজয় কুমার সরকারের কর্মী আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম তার সহযোগীদের নিয়ে গত বুধবার রাতে উপজেলা সদর ইউনিয়নের কুসুম্বি গ্রাম এলাকায় গণসংযোগ করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শামসুল ইসলাম উপজেলা সদরের পশ্চিম বাজার ব্রিজ এলাকার মোড়ে তার ৪/৫ সহযোগী নিয়ে চা খাচ্ছিলেন। এসময় আরেক স্বতন্ত্রপ্রার্থী (উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক) ট্রাক প্রতীকের খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাঁধনের অন্যতম কর্মী উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ৫০ জনের অধিক কর্মী বাহিনী নিয়ে সেখানে হাজির হয় এবং কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী শ্রমিক লীগ নেতা শামসুল ইসলামের ওপর চড়াও হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি দেয়ার এক পর্যায়ে তাকে ও সহযোগীদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারপিট করতে থাকে। তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও তিনি ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাতে যায়। কিন্তু প্রতিপক্ষে ভয়ে ভর্তি হাসপাতাল থেকে চলে এসে আত্মগোপনে থেকে প্রাইভেট চিকিৎসকের চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন হামলা ও মারপিটের শিকার শামসুল ইসলাম ও কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী অজয় কুমার সরকার। এ বিষয়ে শুক্রবার হামলা ও মারপিটের শিকার শ্রমিক লীগ নেতা শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এ প্রসঙ্গে আদমদীঘি থানার ওসি রাকেশ চক্রবর্তী বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মতর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা হবে। সুপারিশ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।