টাঙ্গাইলের সখিপুর সাব-রেজিস্টারের বিরুদ্ধে নানা অজুহাতে প্রতি দলিলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঘুস নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সখিপুর দলিল লেখক, ভেন্ডার সমিতির সাবেক সভাপতি মীর গোলাম হোসেন বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে মৌখিক, লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়ার পরও কোন প্রতিকার পায়নি। বরং সখিপুর সাব-রেজিস্টার মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় উল্টো তাদের নামে সখিপুর থানায় জিডি করেছেন। মীর গোলাম হোসেন বলেন, সাব-রেজিস্টার এজলাসে না বসে খাস কামরায় বসে তার নিয়োগকৃত লোকদের মাধ্যমে দলিল প্রতি চাহিদা মতো টাকা নেওয়ার পর সন্ধ্যায় দলিল সম্পাদন করে থাকেন। চাহিদা মতো টাকা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য দাতা-গ্রহিতাদের দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করেও জমি রেজিস্ট্রি করে থাকেন সাব-রেজিস্টার মো. শহিদুল ইসলাম। এমনকি আমার ছেলে আলী আশরাফ দলিল লেখক হওয়ার পরও তার জমি ক্রয়ে সে নিজে গ্রহীতা হওয়ার পরও এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং আমি ঘুষ না দেয়ায় আমার একটি জমি রেজিস্ট্রি করেনি সাব-রেজিস্টার মো. শহিদুল ইসলাম। দলিল প্রতি নকল নবিশদের সেরেস্তায় দিতে হয় এক হাজার পাঁচশ’ টাকা, আর সাব-রেজিস্টারকে দিতে হয় ৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা। দলিল লেখকদের লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য সাব-রেজিস্টারের সুপারিশ লাগে সেই সুবাধে সম্প্রতি দলিল লেখক ভেন্ডার সমিতি নির্বাচনে তিনি খাস কামরায় ভোটারদের ডেকে নিয়ে যাদের পক্ষে ভোট চেয়েছেন তারা বিজয়ী হয়েছে। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে তার স্ত্রী পুলিশের বড় অফিসার নাশকতার মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে সখিপুর সাব-রেজিস্টার মো. শহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।