ডাকাত ও সন্ত্রাসী বুলবুল হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও এলাকার লোকজন। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আবদুল হাফেজ নামের এক ভুক্তভোগী পরিবার। গত বৃহস্পতিবার বিকালে পটিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের মাস্টার্সে (এমএসসি) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের পিতা আবদুল হাফেজ ও তার পরিবারের সদস্যগণ। আসাদের পিতা লিখিত অভিযোগে জানান, পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও এলাকার বুলবুল হোসেন পটিয়া ও কর্ণফুলী থানার অপরাধীর তালিকাভুক্ত একজন সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ। তার বিরুদ্ধে পটিয়া ও কর্ণফুলী থানায় হত্যা ডাকাতি, অস্ত্র, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি মামলাসহ ৬টির অধিক মামলা রয়েছে। গত ১২ এপ্রিল ঈদের পরদিন ডাকাত বুলবুল হোসেন কোলাগাঁও এলাকার কোলারটেক নামক স্থানে আসাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি থেকে নামিয়ে তার অনুসারী মো. হাসান ও আবু হামিদসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন মিলে আসাদকে লোহার রড ও হকি স্টিক দিয়ে গুরুতর জখম করে। রাস্তায় তাকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আসাদকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আসাদের পিতা আবদুল হাফেজ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ৩জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। আসাদুজ্জামান আসাদ কোলাগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তার পিতা আবদুল হাফেজ জানান, ঘটনার ১২ দিন গত হলেও পুলিশ বুলবুলসহ একজন আসামিও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ডাকাত বলে ফেসবুকে স্ট্যার্টাস দেয়ায় আসাদকে বুলবুল হত্যার চেষ্টা চালায়। বুলবুল র‌্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করছে। এতে সে আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের র‌্যাব দিয়ে তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। অবিলম্বে কুখ্যাত ডাকাত সন্ত্রাসী বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে আসাদসহ এলাকার লোকজনের মধ্যে স্বস্থি ফিরে আনার জন্য আবদুল হাফেজ পুলিশসহ প্রশাসনের উর্ধ্বত্বন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।