গুমাইবিলে বাম্পার ফলনেও শ্রমিকমূল্যে হতাশ কৃষক
০১ মে ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৪, ১২:১১ এএম
বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন দেশের ২য় বৃহৎতম গুমাইবিলের কৃষকরা। গরমেও রাঙ্গুনিয়ার কৃষকদের মধ্যে নেই কোন ক্লান্তি।
জানা যায়, এবারে কৃষি অফিস গুমাই বিলের বম্পার ফলনের নিশ্চিত দিচ্ছেন। ওদিকে আবার কৃষকদের অভিযোগ আধাপাকা ধানগুলি রোদের তাপদহে অধিকাংশ জমিতে প্রায় চিটা ধরেছে। ওই সমস্যায় কৃষকদের সাথে কৃষি অফিসের দেখা নাই। তবে ফলন সম্ভবনাময় হলেও কৃষকের মুখে নেই কোন হাসি। গুমাইবিলে পাকা সোনালি ধান দুলছে। গরমের ভেতর কৃষক তাদের ধান কাটা চলমান রেখেছেন। তবে কৃষকরা শ্রমিকের মজুরি নিয়ে বেশ চিন্তিত রয়েছে। রফিক নামের একজন কৃষক জানান, আড়াই একর জমিনে চাষবাদ করেছি। শ্রমিকের বেতন এখন ১ হাজার থেকে ১২শ’। জমি থেকে ওই ধান আনা সম্ভব হবে না। আবার গুমাইবিলে বাম্পার ফলন হবে বলেছেন জনৈক গবেষক ও পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার। তবে গুমাইবিলসহ রাঙ্গুনিয়ায় বিভিন্ন বিলে বিপুল পরিমাণ একটি অংশের জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে।
অনাবাদি থাকা বিষয়ে ওখানকার কৃষক জানান, কৃষি অফিসের অসহযোগিতা, পরামর্শ, নিয়মিত কৃষকদের সাথে যোগাযোগ না থাকার কারণে আবাদী জমিগুলো অনাবাদী থেকে যাচ্ছে।
কৃষকরা আরো জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের দায়িত্বরতরা সরকারি কাজকে যদি কর্তব্য মনে করতো ওইসব জমিগুলো কখনো অনাবাদী হয়ে থাকতো না। কৃষক নুরু জানান, এবারের বোরো চাষাবাদে যা খরচ হয়েছে, শ্রমিক মজুরী দেওয়ার পর মনে হয় গোলায় তেমন ধান তোলা সম্ভব হয়ে উঠবে না। পানি, বিদ্যুৎ সার সময় মতোন পেলেও ঠিক সময়ে কীটনাশক ছিটানোতে ত্রুটি থাকায় গুমাইয়ের কিছু কিছু অংশে ওসময়ে পোকার আক্রমণে ধানে এখন ছিটা দেখা যাচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, এবারে রাঙ্গুনিয়ার কৃষকরা চাষাবাদ করেছেন ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। গুমাইবিলসহ সব বিলে জমিতে ধান কাটা শুরু করেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষক আব্দুল জব্বার ২০ খানি জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ফরিদ নামের একজন কৃষক ১০ হেক্টর জমিতে ব্রিধান ৮৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। তারা বলেন, এবারে মধ্যেখান সময়ে কিছুটা মাজরা পোকার আক্রমণটা ছিল। তবে একজন উপ সহকারী সহযোগিতায় আক্রমণ থেকে রক্ষা পাই। কৃষক আলী চাচা জানান, বাপ-দাদার পৈতৃক পেশা কৃষি কাজ, এখন তা করে চলি। পূর্বে শত শত কৃষক অন্য পেশায় চলে যাওয়া ওরা আবার কৃষিকাজে চলে আসছেন। আরেকজন উপ সহকারী দাবি করেন, এবারের বোরে ধানে চিটা দেখা যাচ্ছেনা। বোরো আবাদ ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুবই খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এবার বোরো চাষবাদে সবকিছু কৃষকের অনুকুলে ছিল। ভালো ফলন হয়েছে। অনেক কৃষক আগাম বোরো ধান চাষাবাদ করায় তারা এখন পাকা ধান কাটছেন। কৃষকদের জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য চলমান আছেন অফিসের কৃষি উপ-সহকারীরা। রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় একাধিক অভিজ্ঞ কৃষকরা জানান, কৃষি গবেষণা, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, গবেষণার অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং স্থানীয়ভাবে কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং কৃষিতে যান্ত্রিককরণ করতে পারলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র বদলে যাবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি
মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয়
ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম
মোদি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতে নির্বাচনের চেষ্টা করছেন : কেজরিওয়াল
রাজনীতিবিদের সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে হইচই
‘কারা আগে যাবে’ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত তরুণ
সমীকরণ মেলানোর রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা শেষে চেন্নাইকে বিদায় করে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু
ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে
প্রোটিন উদ্ভাবনে নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিচ্ছে ইউএসএসইসি-এর পিচ-টু-ফর্ক
স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন সমঝোতা
বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন
বিএনপি ভোট বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : শামসুজ্জামান দুদু
ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার
যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা
সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
পানির সংকট
নীতি ও দুর্নীতির লড়াই
শিক্ষা ব্যবস্থার ভয়াল দশা
মামলাজট কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে