ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

নীতি ও দুর্নীতির লড়াই

Daily Inqilab এম এ কবীর

১৯ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৯ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম

মাত্র ১ শতাংশ মানুষ ধারণ করছে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদরাজি। বিশ্বের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩০০ ট্রিলিয়ন ডলার, যার সুষম বণ্টন হচ্ছে না। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান ডি সিল্ভা মন্তব্য করেছেন, বিশ্বের ধনী লোকদের খাদ্য অপচয়ের মূল্য সুইজারল্যান্ডের এক বছরের জিডিপির সমতুল্য। সংস্থাটির হিসেবে বছরজুড়ে বিশ্বে ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়। এভাবে এ পৃথিবীতে কারও শরীরে মেদ জমছে, কারও শরীর অপুষ্টিতে ভুগছে। মূলত: দুর্নীতি থেকে সৃষ্টি হয় অপব্যয়,অপচয় ও অসাম্য। দুর্নীতির নেশা মানুষকে স্বার্থকেন্দ্রীকতায় বন্দি করে ফেলছে, ‘বৈধ অবৈধ পথে সম্পদ অর্জন করে, জীবনকে ভোগ করো।’ অদম্য লোভ মানুষের সুস্থ চিন্তা ও মূল্যবোধের শিকড় উপড়ে ফেলছে এবং বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সাম্যের ডিনামিক্স ধ্বংস করছে। বিশ্বায়ন ও আধুনিকায়নের ঢেউয়ে সম্পদ আহরণ আর সম্পদ ভোগের যে উন্মাদনা চলছে, তাতে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মতো প্রলোভনের চাপে মানুষ ডুবে যাচ্ছে দুর্নীতির অতলস্পর্শী গহ্বরে। অসততা ও সততার দ্বান্দ্বিকতায় সমাজে অসততা বিজয়ী হচ্ছে এবং মানুষে মানুষে বিভক্তির রেখা টেনে দিচ্ছে।
দূর্নীতির নেপথ্যে অনেকাংশে রয়েছে সামাজিক ও পারিবারিক চাপ। যতই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বলা হোক, সংসারের নিয়ন্ত্রণ নারীর হাতে। স্ত্রীর ছকেই সংসার আবর্তিত হয়। বিশ্বের শাসন, প্রশাসন ও অনুশাসনে পুরুষ অগ্রভাগে থাকলেও অন্তরালে থাকে নারী। নারী চেতনে বা অবচেতনে কিংবা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় স্বামীর দুর্নীতিলব্ধ অর্থের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। দুদকের অনেক মামলায় দেখা গেছে, স্বামীর অসৎ উপার্জন সঞ্চিত হয়েছে স্ত্রীর ব্যাংক হিসেবে। দুদকের ১১টি মামলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অভিযুক্তরা তাদের স্ত্রীদের ব্যাংক হিসেবে জমা রেখেছেন ২৯ কোটি টাকা। যে নারী স্বামীর জীবনের নাড়ি-নক্ষত্রের হিসেব রাখতে চায়, তাকে অবশ্যই স্বামীর দুর্নীতির হিসেবও জানতে হবে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মীরজাফরের স্ত্রী মুন্নী বেগম কর্তৃক ওয়ারেন হেস্টিংসকে ঘুষ প্রদানের ঘটনা প্রমাণ করে, দুর্নীতিতে নারীদের কেউ কেউ অসাধারণ দক্ষ।
ফিলিপিন্সের সাবেক রাষ্ট্রপতি মার্কোসের স্ত্রী ইমেলদার ৪ হাজার জোড়া জুতো ব্যবহারের কাহিনী ইতিহাসের পাতায় আছে। এভাবে বিন্দু থেকে সিন্ধু এবং স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলে পরিণত হয় মানুষের দুর্নীতি। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের পতনের জন্য তার স্ত্রীর ‘বিলাসী জীবন’কে দায়ী করা হয়। ইতিহাস বলছে, রাষ্ট্র শাসনের চাপে ক্লান্ত শাসকরা স্ত্রীর কাছে সঁপে দেন অনেক কিছু। এ নির্ভরতায় দুর্নীতি হয়ে ওঠে অনিবার্য। যে নারী স্বামীর সততায় প্রেরণা জোগায়, সন্তানকে আদরে ও শাসনে বন্দি রাখে, সে নারী কেন অসৎ উপার্জনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয় না?
চোখ ধাঁধানো অ্যাপার্টমেন্ট, শ্বেতপাথরের বেডরুম, জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে, বিএমডব্লিউ’র চাকচিক্য, বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে ভূরিভোজ, ডায়মন্ডের আংটি, ওয়্যারড্রোব ভরা অজ¯্র স্যুট, টাই, শাড়ি এবং অবকাশ কাটাতে ইউরোপ, অ্যামেরিকা, সিঙ্গাপুর, কানাডায় ভ্রমণ ¯্রফে অর্থের অপচয়। যাদের মননে ও মগজে গ্রথিত দুর্নীতি, এমন একশ্রেণীর অবিবেচক অভিভাবক অবৈধ ব্যবসা, অনৈতিক মুনাফা এবং ঘুষের টাকা সন্তানদের রক্তমজ্জায় মিশিয়ে দিচ্ছে। এমনকি বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর অভিভাবকের আয় এবং গাড়ি-বাড়ির তথ্য চেয়ে সন্তানকে পদস্খলনের পথে টেনে নিচ্ছে। ফলে দুর্নীতির প্রতি আকর্ষণ প্রথমে বৃক্ষের শেকড়, তারপর কান্ড এবং সর্বশেষ ডালপালায় প্রসারিত হয়ে জীবন দুর্নীতির সঙ্গে অভিযোজিত হয়ে যাচ্ছে। সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, সন্তানকে স্বপ্নের ডাক্তারি পড়াতে কিছু বিবেকহীন অভিভাবক প্রশ্ন ফাঁস চক্রের দ্বারস্থ হয়ে ১১ লাখ টাকা করে পরিশোধ করেছেন, অথচ এ অর্থ সমাজের দরিদ্রদের অর্থকষ্ট মোচনে ব্যয় করা অনেক মানবিক ও যৌক্তিক হতো।
মানুষের মৃত্যুর পর অবৈধ সম্পদ (আবর্জনা!) সন্তানদের ধমনিতে সঞ্চালিত হয় বংশপরম্পরায়। এ নিয়ে মৃতের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব-সংঘাত, পারিবারিক বিরোধ। সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছে অনেক দুর্নীতিবাজের উত্তরাধিকার, এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির চেয়ে নিজের শ্রমে ও মেধায় অর্জিত সম্পদের মূল্য অনেক বেশি। দুর্নীতিলব্ধ অর্থের ওপর নির্ভরতায় সন্তানের মেধা, প্রতিভা ও সততার স্ফূরণ ঘটে না। ভারতের ডন স¤্রাট দাউদ ইব্রাহিমের অপরিমেয় সম্পদ বর্জন করেছেন তার একমাত্র সন্তান মঈন নওয়াজ। অথচ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার কষ্টার্জিত উপার্জন তার মৃত্যুর অর্ধশত বছর পরও মানুষের কল্যাণে ব্যয়িত হচ্ছে। মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সৎ। জন্মগত বা জিনগতভাবে কেউ অসৎ হয় না, কিন্তু পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসনের অভাবে প্রাকৃতিক এ শৃংখল ভেঙে যায়।
অর্থকষ্টে থেকেও সততার পথ বেয়ে সাফল্যের শিখরে আরোহণ করেছেন পৃথিবীর খ্যাতিমান ব্যক্তিরা। বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন বাড়ির পাশে সবজির চাষ করে আয় করতেন ৩০০ ডলার, যার অর্ধেক মায়ের হাতে তুলে দিতেন, বাকি অর্ধেক দিয়ে গবেষণা করতেন। ট্রেনেও তিনি সংবাদপত্র বিক্রি করতেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম পড়াশোনার ব্যয় মেটাতে না পেরে নিরামিষভোজী হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ছিলেন বাদাম বিক্রেতা, আব্রাহাম লিংকন ছিলেন পোস্টমাস্টার, জর্জ ওয়াশিংটন ছিলেন সার্ভেয়ার।
দুর্নীতিবাজদের শুধু ধরে ধরে একটি সমাজকে পরিশুদ্ধ করা কঠিন। আপিনে শৈশবে ও কৈশোরে ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি গিয়ে সবুজ শেওলার আস্তরণে ঢাকা পুকুরে যখন ভাঙা কলসির টুকরা ছুড়ে মারতেন, তখন সবুজ আস্তরণটি অপসৃত হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে আবারও ঢেকে যেত। এ দৃষ্টান্ত এজন্য যে, শুধু আইন প্রয়োগ করে দুর্নীতি নির্মূলযোগ্য নয়। সততা ও মূল্যবোধের বীজ রোপিত হয় পারিবারিক শিক্ষায় এবং উজ্জীবিত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুশাসনে। পরিবারের পিতা-মাতার নৈতিকতা-অনৈতিকতা চর্চা সন্তান সৎ বা অসৎ হওয়ার পেছনে গভীর ছাপ রেখে যায়। যে সন্তান বাবার হাত ধরে বড় হয়েছে, তার সামনে বাবাকে যখন দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করা হয়, তখন মিডিয়ায় তার ফলাও প্রচার হয়। সামাজিক নিন্দা ও মামলার জালে বন্দি হয়ে পরিবারের মর্যাদা ধুলোয় উড়ে যায়, দুর্নীতির গোপন সব তথ্য একে একে উন্মোচন হয়ে যায়। দুর্নীতি ধরা পড়া মানে গ্লানির অনলে একটি পরিবার পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া। স্বস্তির নিদ্রা,খাবারে রুচি ও জীবনের স্থিতি হারিয়ে যায়। অপমানের গ্লানিতে আত্মহননের পথ বেছে নেয় কেউ কেউ। সুতরাং দুর্নীতিলব্ধ অর্থের ভোগের পথটি নিষ্কণ্টক নয়।
সন্তানরা যদি বাবা-মা’কে স্পষ্ট করে বলতে পারে- ‘তোমার অনৈতিক অর্থ আমরা ভোগ করব না, আমি ঘুষখোরের সন্তান হতে চাই না, দেখতে চাই না তুমি অসৎ’। কিন্তু বাবামায়ের কাছেও সন্তানদের অন্যায্য দাবি করা যাবে না। যে খাবারটুকু খেলে পুষ্টি ও চাহিদা মিটবে, ততটুকু খেতে হবে। যে গাড়িতে চড়লে চাহিদা পূরণ হবে, তার চেয়ে বেশি বিলাসী গাড়ির আবদার করা যাবে না। কষ্টসহিষ্ণু হতে হবে, জীবনকে আড়ম্বরমুক্ত রাখতে হবে, মিতব্যয়িতা ও পরিমিতিবোধ ধারণ করতে হবে। রাস্তায় রিকশাওয়ালাদের, পথশিশুদের এবং গ্রামে-শহরে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের জীবন উপলব্ধি করলে অপ্রাপ্তির বেদনা থাকবে না। ঘাম ঝরিয়ে ঘণ্টা মেপে শ্রমিকরা আয় করে, অথচ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে আমরা সময় নষ্ট করছি। একান্ত অবসরে মহান ¯্রষ্টা কর্তৃক মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যে জ্ঞানের অভাবে মানুষ শুদ্ধ জীবনচর্চার পথ হারায়,অনৈতিকতায় সীমা লংঘন করে।
এ জীবন ঘাত-প্রতিঘাতের। এ পৃথিবী পাঠশালা, প্রতি মুহূর্ত বইয়ের পাতা। জীবনের সূর্য অস্তগামী হওয়ার আগেই প্রয়োজন জীবনের সংশোধন ও পরিশোধন। অশ্রু, শ্রম ও মেধার বিনিময়ে যে উপার্জন, সেটিই সৎ উপার্জন। মেধাবী মাথা ও চৌকস হাতই মানুষের শক্তি। পৃথিবীতে সামাজিক মর্যাদা যত উঁচুই হোক, মৃত্যুর মহাসড়কে আমরা সবাই সাধারণ অভিযাত্রী। মৃত্যুর নির্মম আঘাতে যেদিন জীবন স্তব্ধ হবে, সেদিন দুর্নীতির সঙ্গে বন্ধনও ছিন্ন হবে, ‘ঞযব ষধংঃ ঔধপশবঃ যধং হড় ঢ়ড়পশবঃ.’ মৃত্যু মানে মাটির সমাধিতে মিশে যাওয়া নয়, হিসেবের খাতা নিয়ে মহাশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়া। সততার শক্তিতে সমাজ জাগ্রত হোক, সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার নির্দেশিত এটিই সরল পথ। মানুষ বহু দিন থেকেই অনেক কিছুর জন্যই বুভুক্ষু। বিশেষ করে, কোনো সুসংবাদ পেতে উন্মুখ উতলা হয়ে থাকে তারা। অনেকটা চাতকের মতো। বারবার দৃষ্টিশক্তি ক্লান্ত হয়। কিন্তু দৃশ্যপটে কোনো প্রতিচ্ছবি আসে না। যেসব সংবাদ অহরহ দেখি শুনি, সেগুলো কেবলই মানুষের মনকে কাঁদায়, চিন্তাকে স্থবির করে দেয়, হতবুদ্ধি হয়ে যায় মানুষ।
লেখক : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার