শ্রীনগরে গরমের তীব্রতার সাথে বেড়েছে লোডশেডিং। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জনগন। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গরম বাড়ার পর থেকেই লোডশেডিং বাড়তে শুরু করে। গ্রীস্মকাল শুরু হওয়ার পর থেকেই নিয়ম করে বিদ্যুৎ থাকছে না। এ অবস্থায় শ্রীনগরে সর্বত্রই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাতে তিন-চারবার করে বিদ্যুৎ যায় এবং প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না। দিনের বেলায়ও একই অবস্থা বিরাজ করে। এ কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য ব্যক্তিরা। হাসপাতালের রোগীরাও চরম কষ্ট পাচ্ছেন। স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হয়েছে গত শনিবার থেকে, খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে শ্রেণিকক্ষে শিখন কার্যক্রমে ঠিক মতো মনোনিবেশ করতে পারছেন না। এলাকার অভিজ্ঞজন মনে করছেন বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে বাড়িতে এবং প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখায় চরম বিঘ্ন ঘটছে।

আরিফ হোসেন নামে শ্রীনগরে এক বাসিন্দা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাতে ঠিক মত ঘুমানো যাচ্ছে না। সন্ধ্যা রাতেও বিদ্যুৎ থাকে না। আবার মধ্য রাতে চলে যায় ফলে নির্ঘুম রাতে ছটফট করতে হচ্ছে প্রতিদিন। এ জন্য উপজেলায় ঘুমহীনতা ও গরম জনিত রোগ ব্যাধি বেড়েই চলছে। দিনেও নিয়ম করে লোডশেডিং হয়। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এ অবস্থায় সরকারের কাছে দাবি, জনগণের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হোক।

বিদ্যুৎ ঠিক মতো না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। হাসপাতালগুলোর অবস্থা আরো খারাপ, উপজেলার কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীদের অবস্থায় শোচনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। প্রচণ্ড গরমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়ছে। রোগীরাও একই তথ্য জানিয়েছেন।

শ্রীনগর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মদন গোপাল সাহা’র কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- গরম যখন বেশি পরে তখন লোডশিডিংও বেশি হয় আর গরম কম পরলে লোডশিডিং কম হয়।

তিনি আরো জানান- শ্রীনগরে বিদ্যুতের চাহিদা ৫৫ মেগাওয়াটের বেশি। আমরা সরবরাহ পাই ৪০/৪২ মেগাওয়াটের মতো। যা দিয়ে চাহিদার শতভাগ সরবরাহ করা যায় না। সরবরাহ আরো একটু বাড়ানো গেলে সমস্যা অনেক কমে আসবে।