মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন লোহাগাড়া সদরের রশিদার পাড়ার মরহুম ছৈয়দুর রহমানের সন্তান। চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছেন। তিনি আমার দেশ, যুগান্তর, সংবাদসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় লোহাগাড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতি পত্রিকায় তুলে ধরতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ২ মার্চ যুগান্তর পত্রিকায় ‘লোহাগাড়ায় হবু বরের গায়ে হলুদের দিন কাটল হাজতে’ শিরোনামে তার একটি নিউজ ছাপানো হয়। এ কারণে এই ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিমকে জামায়াতের মামলার আসামি করে চার্জশিট দেয়। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে নিউজ করার কারণে তাকে আগের এই মামলায় আটক করে আদালতে চালান দেয়া হয়।

ঐ মামলায় জামিনে বের হবার কিছুদিন পর ৫ জুন ২০১৯ থেকে ২৭ জুলাই ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত তিনি তার ক্যান্সারাক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য মায়ের সাথে ভারতে চেন্নাই এ্যাপোলো হাসপাতালে ছিলেন। অপরদিকে ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখ লোহাগাড়ার পার্শ্ববর্তী বান্দরবান থানার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে আলমগীর সিকদার নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খুন হন। এ ঘটনায় জড়িত দুইজন উপজাতী চাকমা এ ঘটনায় স্থানীয়দের হাতে আটক হন।

পরে এই মামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীনকেও আসামি করা হয়। সেই থেকে সাংবাদিক সেলিম মিথ্যা মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে ফেরারি জীবন যাপন করছে। তার পরিবারের দাবি লোহাগাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রশাসনের দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তারা কৌশলে তাকে এই মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। তারা তাকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।