মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশ ও আওয়ামী-লীগের নেতা কর্মীদের হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানিকগঞ্জের এম এ সাত্তার খান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি আলহাজ এম এ ছাত্তার খান। গত ৪ জুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে শিবালয় উপজেলায় পুলিশের গুলিতে সরকারি মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া মানিকগঞ্জ জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মিছিলে আওয়ামী-লীগ ও পুলিশের হামালায় সরকারি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মো. আমিনুর বিশ্বাস ও হাসনা-হেনাসহ শতাধিক শিক্ষার্থী গুলিবৃদ্ধ ও লাঠিচার্জে গুরুত্বর আহত হয়ে পরেন।

আহত আমিনুর বিশ^াস শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পারাগ্রামের মজিবুর রহমানের ছোট ছেলে। এছাড়া মহিলা আওয়ামী-লীগের নেত্রীদের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতারি কুঁপে আহত হাসনা-হেনার বাড়ি সদর উপজেলার বড়বারাহিরচর গ্রামের ইকবাল হোসেনর মেয়ে। গুরুত্বর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের সন্তান সাত্তার গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি মানবতার ফেরিওয়ালা আলহাজ এম এ সাত্তার খান।

এ বিষয়ে এম এ ছাত্তার খান ফাউন্ডেশন পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বিশ^াস মিলন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ ও আওয়ামী-লীগের যৌথ হামলায় মানিকগঞ্জ জেলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহতর ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসার জন্য খান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত আহত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে। আগামীতেও আহত ছাত্রদের সুচিকিৎসার জন্য আমাদের সাহায্য অব্যাহত থাকবে।