কলারোয়ায় সাবেক দুই উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি ভবনের ভাড়ার লাখ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২০২১ সালে আগস্টের মাসিক সভায় কলারোয়া অফিসার কোয়ার্টারের ভগ্ন ও জরাজীর্ণ তিনটি ভবন কনডেম ঘোষণার প্রস্তাব পাশ করা হয়। এরমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কোয়ার্টার ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কাজ করা হয়। এরপর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস গত ৫/০৮/২০২২ ইং থেকে ০১/১০/২০২৩ ইং পর্যন্ত কলারোয়ায় দায়িত্ব পালনকালে এই সরকারি ভবনে বসবাস করেন। এই কোয়ার্টারে অবস্থান কাল ১৪ মাসের ভাড়ার প্রায় ২ লাক্ষাধিক টাকা পরিশোধ না করে কলারোয়া ত্যাগ করেন।

এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় গত ০১/১০/২০২৩ ইং থেকে ০৫/০৬/২০২৪ ইং পর্যন্ত কলারোয়ায় দায়িত্ব পালন কালে একই ভবনে বসবাস করেন। কিন্তু তিনি প্রায় ৫ মাসের ভাড়া বাবদ প্রায় ৭৪ হাজার টাকা ভাড়া পরিশোধ না করে কলারোয়া ত্যাগ করেন। এছাড়া কনডেম ঘোষিত আরো তিনটি সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে ১০টি পরিবার ১৫ বছর ধরে বিনা ভাড়ায় বসবাস করে আসছে। কিন্তু কনডেম ঘোষণার সুত্র ধরে এই তিনটি স্টাফ কোয়াটার থেকে কোন ভাড়া আদায় করা হয়নি। এভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। কোয়ার্টার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির সম্পাদক উপজেলা প্রকৌশলী সুদীপ্ত কর বলেন, অতীতে কিভাবে সরকারি ভবনে বসবাস করতে দেয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে অবিলম্বে এসব ভবনে বসবাসকারীদের ভাড়া পরিশোধের নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কোয়ার্টার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসফিকা হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করছেন।