ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

সৈয়দপুরে পাটের চেয়ে পাটকাঠির চাহিদা বেশি

Daily Inqilab নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে

০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বর্তমানে পাটের চেয়ে পাটকাঠির চাহিদাই বেশি। বাজারে পাট উঠলেও কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। কিন্তু শহর ও গ্রামে পাটকাঠির চাহিদা বেড়েই চলেছে। এক মুঠো পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। ফেরি করে বিক্রি করছেন একশ্রেণির বিক্রেতারা।

চলতি বছর নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাটের বাম্পার ফলন হলেও জাগ দেয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের পাট চাষিরা। অনেক কষ্টে তারা পাট ঘরে তোলেন। কিন্তু বাজারে দাম নেই সেই পাটের।
হাট-বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে। একই মানের পাট গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে। সেই হিসাবে এবারে পাট চাষিরা প্রতি মণে ১ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন।

উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের পাটচাষি ফজলার রহমান বলেন, পাটের আবাদ করে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এছাড়া পাটের মৌসুমে পানি সমস্যা আমাদের কাছে অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। তাই পাট আবাদ কমিয়ে দিয়েছি। যেটুকু আবাদ করছি, সেটি জ্বালানির জন্য পাটকাঠির দরকারে। চুলা ধরাতে গেলে এই পাটকাঠি খুবই প্রয়োজন।

পাটের দাম খুব একটা ভালো না পেলেও পাটকাঠির দাম দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। গ্রামে রান্নার কাজে ব্যবহৃত একসময়ের অন্যতম প্রধান জ্বালানি ছিল পাটখড়ি। জ্বালানি ছাড়াও গৃহস্থালির নানা কাজে এটি ব্যবহার করত সাধারণ মানুষ। গ্রামাঞ্চলে ঘরের বেড়া, চালা নির্মাণে পাটখড়ি ব্যবহার হয়। মাটির চুলায় রান্নায় জ্বালানি খড়ির সঙ্গে এই পাটখড়ি থাকে। রান্নার জ্বালানি হিসেবে গ্রামের পাশাপাশি শহরের রয়েছে পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, আগে শুধু পাটকাঠি রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন পাটকাঠি দিয়ে ঘরও নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া এগুলো দিয়ে পার্টিক্যাল বোর্ড ও পাটকাঠি পুড়িয়ে এর ছাই দিয়ে কম্পিউটারের প্রিন্টিং মেশিনের কালি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। চালকলগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি। অন্যদিকে পাটখড়ি পুড়িয়ে তার ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে। ফলে চাহিদাও বেড়েছে পাটকাঠির।


বিভাগ : অভ্যন্তরীণ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা