লোডশেডিংয়ে রোগীদের চরম ভোগান্তি

চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটর নষ্ট

লোডশেডিংয়ে রোগীদের চরম ভোগান্তি

০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম

লোডশেডিংয়ে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনেরা পড়েছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। যদিও আইপিএসের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেটি দিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি লাইট জ্বালানো হচ্ছে। এদিকে জেনারেটর ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েক গুণ। বিকল হয়ে পড়ে আছে জেনারেটর। জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন গত শনিবার রাতে চিলমারীতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে দেখা যায়, স্বজনরা রোগীদের একটু স্বস্তি দিতে হাতপাখা, কাপড় নাড়িয়ে বাতাস করতে দেখা গেছে। হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর অকেজো থাকায় এমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানা যায়। উপজেলার পুটিমারী থেকে আসা হাসপাতালে ভর্তি রোগী মাজেদা (৩৫) বলেন, ‘বার বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এতে সুস্থ হওয়ার জায়গায় আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। গরমে খুব খারাপ লাগছে।

এছাড়াও রোগীর স্বজন হেনা বেগম বলেন, নাতনি কে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি তিনদিন হলো। এই তিনদিনে বিদ্যুৎ চলে গেলে খুব ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ছোট বাচ্চা তো গরম সহ্য করতে পারে না একটু কারেন্ট গেলেই ঘামতে শুরু করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আমি আসার আগে থেকেই জেনারেট বিকল অবস্থায়। জেনারেটর চালক সংকট কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানান- খুব দ্রুত জেনারেটর সারানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

চিলমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি। তবে দিনের মধ্যে এতো পরিমাণ লোডশেডিং হয়নি।

বিভাগ : অভ্যন্তরীণ