মাটির ঘরে যেন এসির আরাম!
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
প্রকৃতিতে এখন চলছে শরৎকাল। তবুও গ্রীষ্মের দাবদাহের মতোই গরমে অতিষ্ঠ গারো পাহাড়ের মানুষ। এমনই পরিস্থিতিতে মাটির ঘর যেন গরিব মানুষের জন্য আশির্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা সপ্তাহব্যাপী চলমান তাপদাহেও মাটির ঘরের ভেতরে বিরাজ করে এসির মতো ঠা-া অনুভূতি।
এক সময় গারো পাহাড়ের প্রতিটি গ্রামেই মাটির ঘর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন মাটির ঘর প্রায় বিলুপ্তির পথে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সারা দেশের মতো শেরপুর গারো পাহাড় থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ-শ্যামল ছায়াঘেরা শান্তির নীড় ওই মাটির ঘর। যা এখনো প্রবীণদের কাছে গরিবের এসি নামে সুপরিচিত। স্থানীয় প্রবীন ডা. আব্দুল বারী ও আলহাজ শরীফ উদ্দিন সরকার এবং আলহাজ সরোয়াদী দুদু মন্ডলের মতে, ওই সব মাটির ঘরের কদর কমিয়ে দিয়েছে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব মাটির ঘর ঠা-া থাকায় এক সময় এটাকে গরিবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরও বলা হতো। এ ঘর গরম ও শীত দুই সময়েই ছিল আরামদায়ক। তাই অনেক গ্রামেই বিত্তশালীরা দোতলা মাটির ঘরও নির্মাণ করে তাতে স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতেন। ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকায় অনেক গ্রামে এখনো রয়েছে কিছু কিছু মাটির ঘর।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে উপজেলার নওকুচি গ্রামের শ্রী ধীরেন্দ্র কোঁচের বাড়িতে দেখা মিলেছে মাটির ঘর। এ সময় মাটির ঘরের মালিক ধীরেন্দ্র কোঁচ জানান, ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি তীব্র গরম ও কনকনে শীতেও আদর্শ বসবাস উপযোগী তাদের এই মাটির ঘর। এ ঘর শুধু মাটির ঘরই নয়। তার ধান চাল রাখার জন্য মাটির তৈরি গোলা ঘরও বটে। মাটির ঘরের কারিগর উপজেলার প্রতাবনগর গ্রামের আশ্রাব আলী জানান, ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির বাড়ি শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে কালের বিবর্তনে ইটের দালানকোটা আর বড় বড় অট্টালিকার কাছে হার মেনেছে ওই মাটির ঘরগুলো।
তিনি জানান, পাহাড়ি অঞ্চলের অনেক বাড়িতে এখনো মাটির ঘর রয়েছে। অর্থ সঙ্কটে আজো তারা ইটের ঘর তৈরি করতে পারেনি। শ্রী ধীরেন্দ্র কোঁচ, ছেলের তৈরি করা মাটির ঘরেই এখনো তীব্র গরমে আরামেই বসবাস করছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল আলম রাসেল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান সময়ে কালের বিবর্তনে ইটের দালানকোটা আর বড় বড় অট্টালিকার কাছে হার মেনেছে ওই মাটির ঘরগুলো।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স