‘কুরআন সুন্নাহভিত্তিক সংবিধান হলে দেশে অন্যায়-অপরাধ হতো না’

Daily Inqilab ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা

২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ এএম

হাফেজ মাওলানা আমীর হামজা বলেছেন, সবাই একত্রিত না হতে পারলে এই দেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে দেশের সকল মানুষকে কুরআন সুন্নাহর আলোকে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। গত সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরে স্টোডিয়াম মাঠে স্থানীয় আইডিয়াল মাদরাসার আয়োজনে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফেজ মাওলানা আমীর হামজা বলেন, এ দেশের সংবিধান কুরআন হাদিস অনুযায়ী চললে কোন প্রকার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, সুদ, ঘুষ হতো না। অন্তত এই দেশে এক চোর গেলে, আরেক চোর বসার সুযোগ পেত না। কুরআনের আলোকে দেশ চললে সবাই ভালো হয়ে যেত।
তিনি বলেন, সূরা ফুরকানে ৭৭ নম্বর আয়াতের মধ্যে ৭৩টি ধারা আছে। দলমত নির্বিশেষে এই ৭৩টি ধারা সংবিধান দেয়া হোক। এ ধারাকে আমরা সংবিধানে দেখতে চাই।
গত সরকারের আমলে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে আমীর হামজার ওপর জুলুম নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে আমাকে বিনা অপরাধে তিনটি বছর বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ওরা আমার জীবনকে শেষ করে দিয়েছে। জালিম সরকার পতনের পরে আমি জেল থেকে বের হয়েছি। বিগত সরকারের আমলে তাদের বিপক্ষে জেলহাজতে ভরে রাখত।
তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে অধ্যাপক ইমারত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইলিয়াস মোল্যা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার মেহমান মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাহফুজ প্রমুখ।
তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে আইডিয়াল মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

 

 


বিভাগ : অভ্যন্তরীণ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

আলাভেসকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমালো বার্সা

আলাভেসকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমালো বার্সা

সউদী যুবরাজের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোলানির সাক্ষাৎ

সউদী যুবরাজের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোলানির সাক্ষাৎ

ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব মন্ত্রীরা

ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব মন্ত্রীরা

নববর্ষের ছুটিতে নিজ শহরে বীরোচিত অভ্যর্থনা ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতাকে

নববর্ষের ছুটিতে নিজ শহরে বীরোচিত অভ্যর্থনা ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতাকে

ট্রাম্পের নির্দেশে আইএসের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় বিমান হামলা শীর্ষ পরিকল্পনাকারী নিহত

ট্রাম্পের নির্দেশে আইএসের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় বিমান হামলা শীর্ষ পরিকল্পনাকারী নিহত

সংঘাত নিরসন আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন জেলেনস্কি

সংঘাত নিরসন আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন জেলেনস্কি

সরে গেলো নৌকা

সরে গেলো নৌকা

জানুয়ারিতে টার্কস্ট্রিম দিয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস রফতানি রেকর্ড উচ্চতায়

জানুয়ারিতে টার্কস্ট্রিম দিয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস রফতানি রেকর্ড উচ্চতায়

ভারতের ৭৮ বিলিয়ন ডলার বাড়লো প্রতিরক্ষা বাজেট

ভারতের ৭৮ বিলিয়ন ডলার বাড়লো প্রতিরক্ষা বাজেট

ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের দ্বী-বার্ষিক সম্মেলনে রেজাউল করিম

ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের দ্বী-বার্ষিক সম্মেলনে রেজাউল করিম

স্বামীর টাকা তাকে না বলে স্ত্রীর বাবা-মাকে দিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে।

স্বামীর টাকা তাকে না বলে স্ত্রীর বাবা-মাকে দিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে।

মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’  ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

বান্দরবানের লামায় ৭ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ

বান্দরবানের লামায় ৭ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ

মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

নবাব সলিমুল্লাহ্'র ১১০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নবাব সলিমুল্লাহ্'র ১১০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আফ্রিদিকে মনে করালেন অভিষেক

৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আফ্রিদিকে মনে করালেন অভিষেক

ভারত সীমান্তের সেই বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যাবেন জামায়াত আমির

ভারত সীমান্তের সেই বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যাবেন জামায়াত আমির

তৌহিদের সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন

তৌহিদের সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন

গণতন্ত্রের আপসহীন সংগ্রামী বেগম খালেদা জিয়া

গণতন্ত্রের আপসহীন সংগ্রামী বেগম খালেদা জিয়া

পাঠ্যপুস্তক ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুগামী হতে হবে

পাঠ্যপুস্তক ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুগামী হতে হবে