৪৬০০০ বছর পরে ঘুম ভাঙল ‘ওদের’, এবার?
০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
কুম্ভকর্ণ ওদের কাছে শিশু! ১০-২০ বা ২০০-৩০০ বছর নয়, একটানা ৪৬০০০ বছর ধরে ঘুমিয়ে চলেছিল ‘ওরা’। অবশেষে তাদের ঘুম ভেঙেছে। এক বিন্দু পানি পেতেই নড়েচড়ে প্রাণের অস্তিতের জানান দিয়েছে তারা। গবেষক-বিজ্ঞানীরাও হতবাক এই আবিষ্কারে। ওরা আর কেউ নয়, এক ধরনের গোলকৃমি। ৪৬ হাজার বছর পরে ঘুম ভেঙেছে ওদের। সম্প্রতিই পিএলওএস জেনেটিকসের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রেই উল্লেখ করা হয়েছে এই আবিষ্কারের কথা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই গোলকৃমি পাওয়া গিয়েছে সাইবেরিয়ান পার্মাফ্রস্টে। বিগত ৪৬ হাজার বছর ধরে বরফের নীচে ঘুমন্ত ছিল গোলকৃমি।
মানবসভ্যতা বলেই যখন কিছু ছিল না, তখন অস্তিত্ব ছিল ওদের। আজও ওরা বেঁচে আছে। শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। প্রশ্ন উঠছে, কোনও প্রাণীর জীবনকাল কি ৪৬ হাজার বছর হতে পারে? কোনও প্রাণী ৪৬ হাজার বছর ধরে ঘুমিয়েও থাকতে পারে? রুশ ও জার্মানির বিজ্ঞানীরা বলছেন, হ্যাঁ পারে। আর তারই প্রমাণ ওই গোলকৃমি। বিগত ৪৬ হাজার বছর ধরে তারা জীবিত ও মৃতের মাঝামাঝি এক অবস্থা, যা ক্রিপ্টোবায়োসিস নামে পরিচিত, সেই অবস্থায় ছিল। ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট অব মলিকিউলার সেল বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকসের বিজ্ঞানী তেমুরাস কুর্জচালিয়া জানিয়েছেন, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩১.২ ফুট গভীরে চাপা পড়েছিল। সাইবেরিয়ান পার্মাফ্রস্ট, এটা হল মাটির নীচে এক চিরহিমায়িত অঞ্চল। সারাবছর তাপমাত্রা এইখানে শূন্যের অনেক নীচে থাকে। পাঁচ বছর আগে একদল রুশ বিজ্ঞানী এই পার্মাফ্রস্টে সুপ্ত অবস্থায় বেশকিছু গোলকৃমির খোঁজ পান। গবেষণাগারে নিয়ে এসে দেখা যায়, স্রেফ পানি দিতেই জেগে ওঠে গোলকৃমিরা।
আরও গবেষণার জন্য ১০০টি গোলকৃমিকে জার্মানির কোলনের ল্যাবে পাঠানো হয়। মাটির যে স্তরে কৃমিগুলি ছিল, জার্মানিতে সেই মাটির রেডিওকার্বন পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, গত ৪৬ হাজার বছর ধরে ওই মাটির কোনও পরিবর্তন হয়নি। তা ছিল সম্পূর্ণ হিমায়িত অবস্থায়। এরপরই বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে আসেন যে ওই কৃমিগুলিও ওখানে সুপ্ত অবস্থাতেই ৪৬ হাজার বছর কাটিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থাকে তারা বলছেন ক্রিপ্টোবায়োসিস। যা কিনা জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি একটা অবস্থা। যেখানে প্রবল ঠা-া কিংবা প্রবল গরমে পানি ও অক্সিজেন ছাড়াই কোনও জীব বেঁচে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন কৃমিগুলির শরীর বিশেষ একধরনের কার্বোহাইড্রেট তৈরি করে। যা কিনা তাদের এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে। গোলকৃমিদের মেটাবলিক রেট এতটাই কমে গিয়েছিল যে তা নির্ণয়ের পর্যায়েও পড়ে না।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ