হরিয়ানায় জুমাও পড়তে পারলেন না মুসল্লিরা
০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
ভারতের দাঙ্গা কবলিত হরিয়ানায় একটি হিন্দু সংগঠনের মিছিলে হামলার অভিযোগ তুলে প্রায় আড়াই শ কুঁড়েঘরের একটি বস্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। বস্তিটিতে অবৈধ বাংলাদেশিরা থাকত বলে দাবি করেছে পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এদিকে, গুরুগ্রামের মসজিদ ও উন্মুক্তস্থানে গতকাল জুমার নামাজ পড়তে পারেননি না মুসল্লিরা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কা থেকে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ আদায়ের আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় মুসলিম কাউন্সিল।
হরিয়ানার রাজ্য প্রশাসন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কবলিত নুহ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তারাউ নামে একটি এলাকায় বুলডোজার নিয়ে বস্তি উচ্ছেদ করে পুলিশ। তাদের দাবি, যেখান থেকে বস্তি উচ্ছেদ করা হয়েছে তা সরকারি জমি এবং সেখানে আসাম থেকে আসা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা বসবাস করত। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার ওই বস্তিটি উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। এর আগে, দাঙ্গার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন- অভিবাসীরাই দাঙ্গার পেছনের মূল ইন্ধনদাতা। স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, আগে আসামে বসবাস করা একদল অবৈধ অভিবাসী হরিয়ানার আরবান অথোরিটির ওই জায়গা দখল করে বসতি স্থাপন করেছিল। জায়গাটি নুহ জেলার তারাউ শহরের মোহাম্মদপুর রোডে অবস্থিত। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দেওয়া হিসাব অনুসারে, সেখানে প্রায় এক একর সরকারি জায়গার ওপর আড়াই শতাধিক কুড়ে তৈরি করে বিগত চার বছর ধরে থাকছিলেন কয়েক শ মানুষ। বস্তিটি উচ্ছেদের সময় সেখানে ব্যাপক পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
গত সোমবার হরিয়ানার মুসলিম অধ্যুষিত নূহ বিভাগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) একটি মিছিলকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেঁধে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যারমধ্যে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম এবং হোমগার্ড পুলিশের দুইজন সদস্য রয়েছেন। নূহ বিভাগের সেই দাঙ্গা গুরুগ্রামসহ হরিয়ানার অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার মনু মানেশর নামে এক কথিত উগ্রবাদী গোরক্ষক নূহতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মিছিল করার আহ্বান জানান। হিন্দুরা এ মিছিল শুরু করলে মুসলিমরা এতে বাধা দেন। তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এরপর এদিন রাতে হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর হামলা চালানো শুরু করে। তারা মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে। এরপর রাতের বেলা হিন্দুদের হামলায় মসজিদের এক তরুণ ইমাম নিহত হন। তাকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। হরিয়ানার এ দাঙ্গা যেন রাজধানী দিল্লিতে না পৌঁছায় সেজন্য সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি, টিওআই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান