হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের বয়কটের ডাক দিয়েছে
০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
ভারতের উত্তর প্রদেশের গুরুগ্রামে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বয়কটের ডাক দিয়েছে। ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর এবার সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবেও মুসলিমদের বিধ্বস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে হিন্দুত্ববাদীরা। সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল গুরুগ্রাম অঞ্চলে। তবে ওই বিধিনিষেধকে তোয়াক্কা না করেই গতকাল রোববার গুরুগ্রামের আশেপাশে বেশ কিছু গ্রাম থেকে সেক্টর ৫৭-এ জড়ো হয়েছিল অনেকে। এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ডাকেই সেখানে জমায়েত হয় তারা। এই সেক্টর ৫৭-এই কয়েক দিন আগে একটি মসজিদে হামলা হয়েছিল। তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। মসজিদ লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল গুলি। তাতে মৃত্যু হয়েছিল এক ইমামের। আর সেই সেক্টর ৫৭-এ এসেই মুসলিমদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বয়কটের ডাক দিলো হিন্দুত্ববাদীরা। এদিকে সেক্টর ৫৭-এর মহাপঞ্চায়েত থেকে হিন্দুত্ববাদীরা দাবি করে, মসজিদে হামলার জন্য যেসব ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা নাকি নির্দোষ। তাদের মুক্তির দাবি তোলা হয়। এমনকি হুঁশিয়ারি দেয়া হয়, সাত দিনে সেই ধৃতদের ছাড়া না হলে গুরুগ্রামে চাক্কা জাম করে দেয়া হবে। এই আবহে ওয়াজিরাবাদের সাবেক পঞ্চায়েত প্রধান সুবে সিং বোহরা বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে তা আমাদের দেখাতে হবে। মসজিদের পাশে যারা থাকে, তারা ধৃতদের পরিবারকে হেনস্থা করে যাচ্ছে ক্রমাগত। এটা চলতে দেয়া যায় না। এদিকে বজরং দল সদস্য কুলভূষণ ভরদ্বাজও দাবি করেন, গুরুগ্রামের ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা নাকি সহিংসতকার সাথে জড়িত নয়। তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে বলেন, গুরুগ্রামে হাজার হাজার মুসলিম আছে যারা বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত। কেউ ক্যাব চালায়, কেউ চুল কাটে, কেউ সবজি বিক্রি করে। তবে আমরা নিশ্চিত করব যাতে তাদেরকে কোনো রকম সাহায্য না করা হয়। এই শহরে মুসলিমদের কাজ করতে দেয়া হবে না। আমি আবেদন জানাচ্ছি যাতে কোনো মুসলিমকে এই শহরে ঘর ভাড়া না দেয়া হয়। সেদিন সন্ধ্যার দিকে গুরুগ্রাম সোহনা হাইওয়েতে সহিসংতা ছড়াতে থাকে। একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ধর্মস্থানেও হামলা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও চলে ইট বৃষ্টি। সহিসংতায় দুই হোমগার্ডসহ অন্তত তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। মৃত হোমগার্ডদের নাম- নীরজ এবং গুরুসেবক। ঘটনায় জখম আরো অন্তত ২০০ জন। পরে অন্যত্র সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে সেক্টর ৫৭-এর মসজিদে হামলা হয়েছিল। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল মসজিটিতে। সেখানে চালানো হয়েছিল গুলি। তাতে মৃত্যু হয়েছিল এক ইমামের। জখম হয়েছিলেন আরো তিনজন। হিন্দুস্তান টাইমস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ