চীনের সাথে স্নায়ুযুদ্ধ নেই : বাইডেন
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
ভিয়েতনামের সাথে নতুন ঐতিহাসিক চুক্তি সই করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাব প্রতিরোধ করার কোনো চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে শেষ মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর দেশটিতে গিয়ে যে চুক্তি করেছেন বাইডেন, তা তাদেরকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ঘনিষ্ঠ করবে। দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া দি কমপ্রেহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ চুক্তিটি এশিয়ায় চীনা প্রভাব প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাইডেনের জন্য এই চুক্তি বিরাট এক সাফল্য। কারণ চীনের সবচেয়ে পুরনো এবং কট্টর বন্ধু ভিয়েতনামের সাথে এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হলো। হ্যাননে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, আমেরিকান পদক্ষেপ চীনকে বিচ্ছিন্ন করা বা থামিয়ে দেয়ার কোনো কিছু নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়। তিনি বলেন, চীন অর্থনৈতিকভাবে সফল হোক, তা আমি চাই। তবে আমি চাই, তারা নিয়মের মধ্যে থেকে সফল হোক। এই চুক্তিটি চীনকে বেশক্ষুব্ধ করতে পারে। চুক্তিটির শিরোনাম প্রতীকী হলেও এর অর্থ হতে পারে যে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করা। এর আগে জি-২০ সম্মেলনের মধ্যেই বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। যদিও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল না। আচমকাই আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন দুই ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ রাষ্ট্রের প্রধান। যদিও সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত তাদের বৈঠকের বিষয়টি গোপন ছিল। প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলন শুরুর আগে বাইডেন জানিয়েছিলেন চীনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী নন তিনি। গত বছর বালিতে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনে চীন ও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বৈঠক হয়েছিল। বাইডেন-জিন পিংয়ের সেই বৈঠকের পরে কেটে গিয়েছে দশ মাস। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্কে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমেরিকার আকাশে গুপ্তচর বেলুন পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরেও বারবার অসন্তুষ্ট হয়েছে বেজিং। তাই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন। তবে জি-২০ সম্মেলন চলাকালীন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত থেকে ভিয়েতনামে সফরে গিয়েছেন বাইডেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘চীনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যেও কথা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। তবে আমাদের আলোচনার মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব ছিল না।’ যদিও এই বৈঠক নিয়ে চীনের তরফে কিছু বলা হয়নি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জি-৭ সম্মেলনের পরেই চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতে বার্তা দিয়েছিলেন বাইডেন। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস