ক্রুজ মিসাইল দিলেই সায় দেবে না জার্মানি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

রাশিয়ার আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক অভিযান চাইছে ইউক্রেন। তবে সেই আবেদন খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দিতে অনেক সময় নিচ্ছে একাধিক দেশ। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্য পেতে বিলম্ব ঘটছে বলে ইউক্রেন দাবি করছে। এবার অতীতের সংশয় ঝেড়ে ফেলে সে দেশকে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, মার্কিন প্রশাসন দ্রুত সেই ছাড়পত্র দিতে চলেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে এটিএসিএমস এবং জিএমএলআরএস নামের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা শত্রুপক্ষের ব্যাপক ক্ষতি করতে সক্ষম। প্রথমটি ৩০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে এবং দ্বিতীয়টি ৭২ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে পারে। লক্ষ্যবস্তুর উপর ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা রাখে এই দুই মিসাইল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সম্ভবত দুটির মধ্যে একটি, অথবা দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই ইউক্রেনের হাতে তুলে দিতে পারে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমেরিকার পাঠানো ক্লাস্টার বোমা কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বেশ সাফল্য পেয়েছে। শুধু আমেরিকা নয়, জার্মানির কাছ থেকেও আরও উন্নত অস্ত্র চাইছে ইউক্রেন। মার্কিন প্রশাসনের দেখাদেখি জার্মানিও সেই ডাকে সাড়া দেবে বলে সে দেশ আশা করছে। তবে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিউস বলেছেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে এটিএসিএমএস মিসাইল দিলেই বার্লিন টাউরুস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তার মতে, যুদ্ধের ক্ষেত্রে কোনো ‘স্বয়ংক্রিয়’ সিদ্ধান্ত থাকতে পারে না। তার মতে, জার্মানি বিষয়টি এখনো খতিয়ে দেখছে। রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার