অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে উপকূলে ড্রোন-ক্যামেরা বসাচ্ছে ফ্রান্স

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যমুখী অভিবাসন স্রোত ঠেকাতে উপকূলে নজরদারি বাড়াতে ড্রোন ও ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। বেশ কয়েক মাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সোমবার থেকে আগামী তিন মাসের জন্য উত্তর ফ্রান্স উপকূলে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় মেরিটাইম প্রিফেকট। উত্তর ফ্রান্সের কালেসহ বিভিন্ন উপকূল থেকে যুক্তরাজ্যের দিকে যাত্রা করে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। এ স্রোত থামানোর চলমান লড়াইকে শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ফরাসি উপকূলে উদ্ধার অভিযানের জন্য কর্তৃপক্ষের ছয়টি উদ্ধার জাহাজ সক্রিয় রয়েছে। প্রিফেকট আরও জানায়, সোমবার থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য ড্রোন, টহল হেলিকপ্টার, একটি টহল বিমান ও ৭৬টি ক্যামেরা একযোগে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফিক্সড-উইং ড্রোনগুলো ফরাসি নৌবাহিনীর মালিকানাধীন। এই ড্রোন সিস্টেমের মূল মিশন হবে উদ্ধার ও নজরদারি বিষয়ক আঞ্চলিক ফরাসি দপ্তরকে (ক্রস) সহায়তা করা। ড্রোনগুলো ঝুঁকিতে থাকা নৌকাগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা ও অভিবাসী নৌকার উপস্থিতি সম্পর্কে সন্দেহ দূর করার কাজে ব্যবহার হবে। নতুন এসব নজরদারি ড্রোন ও ক্যামেরার মাধ্যমে ফরাসি সীমান্ত পুলিশ, ডিপার্টমেন্টাল পাবলিক সিকিউরিটি ডিরেক্টরেট ও পুলিশের জেন্ডারমেরি শাখা উত্তর ফ্রান্সের শহুরে এলাকার বাইরে ও ভেতরের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। এর সাহায্যে মানবপাচার ও সীমান্তের অনিয়মিত পারাপারের বিরুদ্ধে লড়াই ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে উদ্ধার করার গতি বাড়াতে চায় ফ্রান্স সরকার। ইনফোমাইগ্রেন্টস।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার