ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

কানাডায় গাঁজা বৈধ করার প্রভাব

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবর গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধ করেছিল কানাডা। উদ্দেশ্য ছিল, মাদক সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার উন্নতি এবং মাদক কেনাবেচা সংক্রান্ত অপরাধ ও শাস্তি কমানো। সেটি সম্ভব হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল। এতে দেখা যাচ্ছে গাঁজার ব্যবহার, গাঁজা সেবনের কারণে জরুরি সেবা নেয়ার পরিমাণ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং গাঁজা সেবন করে গাড়ি চালানোর পরিমাণ হয় বেড়েছে কিংবা একই আছে। তবে গাঁজা ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ফলে গাঁজা সেবনের কারণে তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের যে নীচু করা হতো, তা কমেছে বলে গবেষকেরা দাবি করেছেন। আইন অনুযায়ী, কানাডার একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম (১.০৬ আউন্স) গাঁজা সেবন করতে পারেন। তবে রাজ্যভেদে, ১৮ থেকে ২১ বছরের তরুণরা প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করতে পারেন না। এছাড়া দোকান বা অনলাইনে গাঁজা বিক্রি সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া মানুষ সীমিত পরিমাণে গাঁজার চাষও করতে পারেন। জাতীয় এক জরিপে দেখা গেছে, গাঁজা বৈধ করার পর এর ব্যবহার ২০১৭ সালে ২২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ২৭ শতাংশ হয়েছে। দৈনিক গাঁজা সেবনের হার একই আছে, ২৫ শতাংশ। গাঁজা বৈধ করায় দুই-তৃতীয়াংশ গাঁজা ব্যবহারকারীরা এখন বৈধ উৎস থেকে গাঁজা কিনছেন বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ফলে খারাপ মানের গাঁজা সেবনের সুযোগ কমেছে। কামেঅ্যাজা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের

ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের

মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র

রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর

ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি

ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি

আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩

মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩

বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না

বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না

দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত

দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত

জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও

জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও

খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার

খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার

জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি   - মুশফিকুর রহমান

আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত

কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত