কয়লার ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন দেশের পরিকল্পনা
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কয়লার ব্যবহার থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে। এক্ষেত্রে দেশগুলো বিভিন্ন কৌশল ও সময়সীমা অনুসরণ করছে। সৌর ও বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে ভারতের অনেক বড় লক্ষ্য রয়েছে। ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বনমুক্ত হতে সরকার অনেক বিনিয়োগ করছে। কিন্তু বিষয়টি কঠিন, কারণ কয়লাখাতে অনেক মানুষ চাকরি করছেন। চাহিদা মেটাতে ভারত এখনও বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে আমদানি কমবে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ উৎপাদন চলতে থাকবে।
টেকসই এনার্জি ট্রানজিশন বিশেষজ্ঞ পাও-ইয়ু-ওই বলছেন, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্গমন ধরে মাটির নীচে জমা করছে ভারত। ‘আমি মনে করি না, এটা বাস্তবসম্মত। কারণ, আমরা দেখছি, ফটোভল্টেয়েক বিদ্যুৎকেন্দ্র, নবায়নযোগ্য জ্বালানি আসলে, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে সস্তার হতে পারে,’ বলেন তিনি। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়লা রপ্তানিকারক। তারপরও দেশটি তার ১৭ হাজারের বেশি দ্বীপকে ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রাল করতে চায়। কিন্তু দেশটির নীতি পরস্পরবিরোধী। ‘তারা বলছে, তারা হয়ত কয়লার ব্যবহার বন্ধ করবে, কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোতে কয়লা রপ্তানি করবে। সেক্ষেত্রে কার্বন নিগর্মনের দায়টা সেই সব দেশের উপর বর্তাবে। ইন্দোনেশিয়ায় জিওথার্মাল এনার্জি ও ফটোভল্টেয়েকের অনেক সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমরা এসবের খুব বেশি বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না- এমনকি ফটোভল্টেয়েকের ক্ষেত্রেও, কারণ বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনা সীমিত,’ বলেন পাও-ইয়ু-ওই।
যুক্তরাষ্ট্রও কয়লার ব্যবহার বন্ধের পরিকল্পনা করছে। ২০৩৬ সালের মধ্যে সব কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে চায় দেশটি। কিন্তু কিছু রাজ্য কর্তৃপক্ষ এর বিরোধিতা করছে, কারণ এই খাতে অনেক মানুষ কাজ করছেন। তবে এটি এখন ভালোভাবেই প্রমাণিত যে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিও এখন একটি লাভজনক উৎস, এবং এটি বাড়ছে। জার্মানিও আগামী ১৫ বছরের মধ্যে কয়লা থেকে বের হইতে চাইছে। দেশটিতে এখনও কয়লার প্রয়োজন আছে। কারণ এখনও ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের জন্য জার্মানি কয়লার উপর নির্ভরশীল। দেশটি দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চলে যেতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীন। গত কয়েক দশকে দেশটির অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব করতে বিশাল পরিমাণ কয়লার ব্যবহার ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু দেশটিতে এখন আর কয়লার ব্যবহার বাড়ছে না। কারণ চীন বুঝতে পেরেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিও লাভজনক হতে পারে এবং সে কারণে দেশটি এখন এই খাতে বিশ্বের অন্যতম বড় শক্তি। সাউথ আফ্রিকা এখনও কয়লা দিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করছে। তবে এতে পরিবর্তন আসছে। সাত বছর আগে সে দেশের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় কয়লা থেকে সরে আসার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ৫৫০ বিলিয়ন ইউরো খরচ হবে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করছে। তাই বিনিয়োগ অংশীদার বা দাতাদের সহায়তা ছাড়া এই পরিকল্পনা সফল হবে না। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন
বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা