ইসরাইলিরা তাদের উদ্দেশ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা হামাসের সাথে তীব্র যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে বলে আল-জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে। বিশ্লেষণে বলা হয়, আমরা প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইলিদের কাছ থেকে শুনছি যে তারা কিছু জায়গায় হামাস যোদ্ধাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যুদ্ধ এবং সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। তারা প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা মতো দ্রুত উত্তর গাজাকে সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যা স্পষ্ট তা হলো হামাসের এখনো প্রথমত পাল্টা লড়াই করার এবং দ্বিতীয়ত রকেট নিক্ষেপ করার ক্ষমতা আছে, ঠিক এক সপ্তাহ আগে যেমনটা ছিল। এজন্য উত্তর গাজা ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে নেই। যদিও তারা বিশ্বাস করে যে- তারা হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছে। এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি। গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, গাজার ৩৬ শতাংশ পরিবার এখন ‘তীব্রক্ষুধা’ ভোগ করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকায় যাওয়ার কোনো নিরাপদ জায়গা নেই’, চারিদিকেক্ষুধার্থ মানুষের হাহাকার। এদিকে উত্তর ও দক্ষিণ গাজার হাসপাতাল হামলার শিকার হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় আল-আওদা হাসপাতাল শনিবার তৃতীয় দিনের জন্য ইসরাইলি সেনা ও ট্যাঙ্ক দ্বারা বেষ্টিত ছিল। সেখানে দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতালে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘ আরো জানিয়েছে, শনিবার ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ করে, এতে দুই প্যারামেডিক আহত হয়। এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি। গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। আল-জাজিরা।