ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১
খান ইউনিসে ইসরাইলি বিমান হামলা, নিহত অন্তত ১০ ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী :: গাজা ‘অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয়ের’ সম্মুখীন: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

গাজার অর্ধেক জনগোষ্ঠীই এখন অভুক্ত

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম

জাতিসংঘের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় এখনো যুদ্ধ চলছে, এবং সেখানকার অর্ধেক জনগোষ্ঠীই প্রচণ্ড খাদ্যাভাবে আছে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ বলেছেন, এখানে প্রতিদিন মোট যে পরিমাণ খাদ্য সাহায্য দরকার তার খুব সামান্য পরিমাণই কেবল এখানে প্রবেশ করতে পারছে। গাজায় প্রতি দশজনের নয়জনই দৈনিক ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়টি ‘প্রায় অসম্ভব’ করে তুলেছে বলে জানান স্কাউ। ইসরাইল বলছে, তারা হামাস নির্মূলে ও তাদের বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাবে। ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স-আইডিএফের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রিচার্ড হেক্ট শনিবার বিবিসিকে বলেন, ‘যে কোন মৃত্যু এবং বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ খুবই কষ্টের, কিন্তু আমাদের আর কোন বিকল্প নেই।’ ‘গাজা উপত্যকার যতোটা সম্ভব ভেতরে প্রবেশের জন্য আমাদের যা করা দরকার আমরা তার সবই করছি,’ বলেন তিনি।

অন্যদিকে, বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলের কাছে ১০৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের প্রায় ১৪ হাজার রাউন্ড ট্যাঙ্কের গোলাবারুদ বিক্রি করার জন্য এক জরুরী আইন ব্যবহার করে কংগ্রেসে সেটি পাস করিয়েছে। গত সাত অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের কড়া সীমান্ত নিরাপত্তা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১২০০ জন ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে। এরপর থেকেই ইসরাইল গাজার সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে, সেখানে বিমান হামলা শুরু করে এবং গাজায় প্রবেশাধিকার একেবারে সীমিত হয়ে পড়ে। সেখানে সাহায্য বহনকারী পরিবহন - যার উপর গাজাবাসী প্রচন্ড নির্ভরশীল তার চলাচলও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।

চলতি সপ্তাহে ইসরাইল কেরেম শ্যালম সীমান্ত খুলে দিতে রাজি হয়েছে- কিন্তু সেটা শুধুমাত্র ত্রাণবাহী লরি পরীক্ষা করে দেখার জন্য। এখান থেকে ট্রাকগুলো পরে রাফাহ দিয়ে গাজায় ঢুকবে। স্কাউ বলেন, গাজায় এসে তিনি ও তার ডব্লিউএফপির দল ‘যে ভীতি, বিশৃঙ্খলা আর হতাশার মুখোমুখি হতে হয়েছে’ তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তারা। তিনি বলেছেন, তারা সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন ‘গুদামের জিনিসপত্র নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার, সেসব বিতরণ করতে গিয়ে হাজারো মরিয়া ক্ষুধার্ত মানুষের, সুপারমার্কেটের শূন্য তাক ও আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের অতিরিক্ত চাপে উপচে পড়া বাথরুমের।’ আন্তর্জাতিক চাপ এবং গতমাসে সাতদিনের একটা সাময়িক যুদ্ধবিরতি গাজার জন্য ভীষণ দরকারি, কিছু জরুরি সাহায্য ঢোকার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু ডব্লিউএফপি মনে করে এ মূহুর্তে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আরেকটা দ্বিতীয় সীমান্ত খুলে দেয়া খুবই জরুরী।

স্কাউ বলেন, গাজার প্রতি দশটি পরিবারের মধ্যে নয়টিই ‘একটা গোটা দিন ও রাত কোনরকম খাবার ছাড়াই পার করছে’। গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিস যেটাকে ঘিরে আছে ইসরাইলি ট্যাঙ্কের দুটি ফ্রন্ট, সেখানকার মানুষেরা জানাচ্ছেন পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে সেখানে। এ শহরে যে হাসপাতালটি এখনো টিকে আছে সেই আল নাসেরের প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইউনিটের প্রধান ড. আহমেদ মুঘরাবি বিবিসির কাছে খাদ্য সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্না আটকাতে পারেন নি। ‘আমার একটা তিন বছর বয়সী মেয়ে আছে, সে আমাকে সবসময় কিছু মিষ্টি, আপেল, ফলমূল নিয়ে আসতে বলে। আমার খুবই অসহায় লাগে,’ বলেন তিনি, ‘এখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই, পর্যাপ্ত খাবার নেই, শুধুমাত্র ভাত, শুধু ভাত আছে বিশ্বাস করতে পারেন আপনি? আমরা দিনে মাত্র একবার খাই।’

সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি বিমান হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে পড়া খান ইউনিস এবং নাসের হাসপাতালের প্রধান বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, ঠিক কী পরিমাণ মৃত ও আহত প্রতিদিন তাদের এখানে আসছে সেই হিসাব তার দল আর রাখতে পারছে না। শনিবার গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়ার পর, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেশটিকে যুদ্ধাপরাধের সহযোগি হিসেবে অভিযুক্ত করেন।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। উপত্যকাটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের একটি বাড়িতে ইসরাইল বিমান হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া হামলার পর থেকে অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। হামলার পর খান ইউনিসের পশ্চিমে ধ্বংসস্তূপের নিচে অজ্ঞাত সংখ্যক লোক নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।আল জাজিরা বলছে, উত্তর গাজায় যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন খান ইউনিস শহরে। আর সেখানেই এখন নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে সেখানে কমপক্ষে ১৭ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪৬ হাজার মানুষ বেশি আহত হয়েছেন। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ১১২ জন শিশু এবং ৪ হাজার ৮৮৫ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া ভূখণ্ডটিতে এখনও প্রায় ৭ হাজার ৬০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত অধিকারগুলো থেকে, যা আজ তার ৭৫তম বার্ষিকীতে পড়েছে, ফিলিস্তিনিদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। গতকাল এ মন্তব্য করেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি।

‘৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে জীবনের অধিকার সর্বাগ্রে,’ ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮-এ মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা নির্ধারণ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণা গৃহীত হয়। যা মধ্যে রয়েছে জাতীয়তা, ধর্ম, বসবাসের স্থান, রঙ, ভাষা, লিঙ্গ, জাতীয় বা জাতিগত উৎস নির্বিশেষে সকল ব্যক্তির বেঁচে থাকা এবং চলাফেরার স্বাধীনতা।

গাজা ‘অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয়ের’ সম্মুখীন : দোহা ফোরামে বক্তৃতাকালে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে মানুষকে ‘আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রকৃতি এবং আইনী উপকরণ এবং এর নীতিগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে কিছু বৈধ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে’।

‘এই প্রশ্নগুলি আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং আরও চাপযুক্ত হয়ে ওঠে কারণ আমরা ভয়ঙ্কর দৃশ্যগুলি দেখতে থাকি যার জন্য আমাদের মাঝে মাঝে দূরে তাকাতে হতে পারে,’ তিনি বলেছিলেন। তিনি যোগ করেছেন যে, ‘যারা ধর্মীয় যুদ্ধের আকারে সংঘাতকে সংস্কার করতে চায়’ তাদের বিপক্ষে দাঁড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘এই সংঘাত ছিল দখলদারিত্ব এবং এর দাবির ইস্যু। কয়েক দশক ধরে, শান্তির বিকল্পটি আলোচনায় ছিল, কিন্তু এটি বিলম্ব এবং গঠনের শিকার হয়েছিল।’ সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা