আফিম উৎপাদনে এক নম্বর দেশ মিয়ানমার
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান সরকারের দমন-পীড়নের পর আফগানিস্তানকে টপকে ২০২৩ সালে মিয়ানমার বিশ্বের বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তরের (ইউএনওডিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর মিয়ানমার আনুমানিক এক হাজার ৮০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন করেছে। ইউএনওডিসির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিলে তালেবানের পপি চাষে নিষেধাজ্ঞার পর আফগানিস্তানে আফিমের উৎপাদন আনুমানিক ৯৫ শতাংশ কমে প্রায় ৩৩০ টনে দাঁড়িয়েছে। মায়ানমার, লাওস এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ সীমান্ত অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাদক উৎপাদন এবং পাচার, বিশেষত মেথামফেটামিন এবং আফিমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ইউএনওডিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারের ‘আফিম অর্থনীতির’ মোট আনুমানিক মূল্য ১ বিলিয়ন থেকে ২.৪ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে উন্নীত হয়েছে, যা দেশটির ২০২২ সালের জিডিপির ১.৭ থেকে ৪.১ শতাংশের সমতুল্য। গত বছর মিয়ানমারে আনুমানিক ৭৯০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদিত হয়েছিল। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের আইনি অর্থনীতি সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা মোকাবিলা করছে, যার ফলে অনেক কৃষক পপি চাষে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোতে দুর্বল প্রবেশাধিকার এবং ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালের শেষের দিকে কৃষকদের আরও পোস্ত চাষের সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে হচ্ছে। ইউএনওডিসি জানিয়েছে, ২০২২-২৩ সালে আনুমানিক আফিম উৎপাদন ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। অপর এক খবরে বলা হয়, চীনের সহায়তায় তিনটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো জান্তাবিরোধী আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সোমবার জান্তার মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দেশের বিভিন্ন ফ্রন্টে সশস্ত্র বিরোধীদের সাথে লড়াই করছে সামরিক জান্তা। গণতন্ত্রপন্থী সমান্তরাল সরকারের সাথে জোটবদ্ধ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি অক্টোবরের শেষের দিকে একটি সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। তারা উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে চীনের সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকটি সামরিক পোস্ট ও শহর দখল করে নেয়। জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য ও শান্তিপ্রক্রিয়া সমন্বয় কমিটি চীনের সহায়তায় এমএনডিএএ, টিএনএলএ এবং এএ- এর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছে। আলোচনার উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে, সম্ভবত এই মাসের শেষে আরেকটি বৈঠক হতে পারে।’ কখন বা কোথায় বৈঠকটি হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। মুখপাত্র জাও মিন তুন বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো