পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে জাতের অংকে ভোট
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ এএম
নতুন পিচের রাস্তায় একের পর এক আঁখবোঝাই লরি যাচ্ছে। গন্তব্য খাটোলির চিনিকল। মাঠে এখনো কিছ জমিতে আঁখ রয়েছে কাটার অপেক্ষায়। তার সঙ্গে আছে গম। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের অত্যন্ত উর্বর জমিতে এই দুই ফসলই কৃষকের ঘরে অর্থ নিয়ে আসে। তাই ভোটের আগে রাজ্য সরকার আঁখের সংগ্রহমূল্য একধাক্কায় ৩০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও মানুষের মন পাওয়া যাচ্ছে কি? উত্তরপ্রদেশের বা বলা ভালো পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গ্রামের একটা চরিত্র আছে। প্রায় সব বাড়ি পাকা। গ্রামগুলো জাত-প্রধান। অর্থাৎ কোনো গ্রাম জাঠবহুল, কোথাও অন্য অনগ্রসরদের সংখ্যাধিক্য, কোথাও দলিত বা কোনো গ্রামে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেভাবেই গ্রামের পরিচয় দেন তারা। আর উত্তরপ্রদেশের আরেক বৈশিষ্ট্য হলো, মানুষ খোলাখুলিভাবে জানান, তারা কাকে ভোট দিয়েছেন। কোনো লুকোছাপা করেন না। গতবার কাকে ভোট দিয়েছিলেন, সেটাও জানিয়ে দেন। দুপুরের রোদে পুড়ছে মুজফফরনগর। গরম হাওয়া বইছে। তার মধ্যে চলছে ভোটগ্রহণপর্ব। গ্রামের ভেতরে একটি স্কুলে ভোট। ভেতরে কয়েকজন পুলিশ বসে। গ্রামবাসীরা আসছেন-যাচ্ছেন। বিকেলের দিকে ভোটদাতার সংখ্যা বাড়লো। ঠিক ওই ভোটকেন্দ্রের উল্টোদিকে রবিন্দরের বাড়ি। একটা দড়ির খাটিয়ায় বসে আছেন। মানুষজন ভোট দিয়ে আসা-যাওয়ার পথে সেখানে আসছেন। অনেককে রবিন্দরই ডেকে আনছেন। কাকে ভোট দিলেন? প্রশ্নটা করতেই সঙ্গে সঙ্গে জবাব এলো, ‘হাতিতে’। হাতি হলো- বহুজন সমাজ পার্টি বা বসপা-র প্রতীক। অনগ্রসর রবিন্দর সেখানেই এবার ভোট দিয়েছেন। গতবার কাকে দিয়েছিলেন? জবাব এলো, ‘বিজেপি-কে।’ তাহলে এবার দলবদল করলেন? এবারও জবাব আসতে দেরি হলো না। তিনি বলেন, ‘কী করব, সাংসদ হওয়ার পর সঞ্জীব বালিয়ান তো অনগ্রসরদের জন্য কিছু করেনি। তাই এবার ওকে ভোট দিইনি। বসপা প্রার্থী ভালো। তাই তাকেই ভোট দিয়েছি।’ পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন রামপাল। তিনি বললেন, ‘দাঁড়ান, ভোটটা দিয়েই আসছি।’ কাকে ভোট দেবেন? এবারও জবাব এলো- ‘বিএসপি-কে’। কারণ, প্রার্থী দারা সিং প্রজাপতি হলেন কুমোর। আর রামপালও কুমোর। তাই দারা সিং-কে বাদ দিয়ে আর কাউকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না। গতবার তিনিও বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। গ্রামপ্রধান হরদীপ অবশ্য জানালেন, তিনি তো বটেই, ওই গ্রামের প্রচুর মানুষ বিজেপি-কেই ভোট দিচ্ছেন। কারণ অন্য কিছু নয়, তারা মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। সেজন্য বিজেপিতে ভোট পড়ছে। এবার যাত্রা একটা দলিতপ্রধান গ্রামে। একইরকম নিস্তরঙ্গ একটা স্কুলে ভোট চলছে। কোথাও কোনও অশান্তি নেই। গোলমাল নেই। ছাপ্পা ভোট নেই। শান্তিতে ভোট পড়ছে। সেরকম লাইনও নেই। সেখানেই দেখা রবিদাসের সঙ্গে। ভোট দিয়ে বেরিয়েছেন। তিনি বললেন, হাতিতে ভোট দিয়েছেন। এখানকার দলিত ভোট পড়ছে হাতিতে। এবার উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে কম প্রচার করেছে বিএসপি। গত কয়েক বছরে মায়াবতীকে সেরকমভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। তিনি মাঝেমধ্যে বিবৃতি দিয়েছেন মাত্র। তারপরও বিএসপি-কে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মানুষ ব্রাত্য করেনি। দলিত ও কিছু অনগ্রসর হাতিতেই ভোট দিচ্ছেন। গ্রামের ভেতরে মসজিদে নমাজ পড়া শেষ করে বের হওয়ার পর সাজিদ ও তার সঙ্গীরা জানালেন, তাদের ভোট সাইকেলে অর্থাৎ সমাজবাদী পার্টিতেই পড়েছে। এবিপি, টিওআই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত
প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি
নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম
মারাত্মক শব্দদূষণ
তারেক রহমানের ঐতিহাসিক দায়
দলে গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য
বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি
রফতানির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে
আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা
মাওবাদীদের আত্মসমর্পণে আল্টিমেটাম দিলো মোদি সরকার