মানবঢাল বানানো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের
১৬ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম
চার ঘণ্টার বেশির সময় ধরে আব্দুল্লাহ (ছদ্মনাম) অন্ধকারে বসেছিলেন। এ সময় তার গ্রামের ৩০ জন প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছে মিয়ানমারের সেনারা। এই গ্রামটি সীমান্তবর্তী রাজ্য রাখাইনে অবস্থিত। সেনারা ওই ৩০ জনকে অস্ত্রের মুখে একটি ট্রাকে তুলে সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। সকালের দিকে তারা দাঁড়িয়েছিলেন এক সামরিক কমান্ডারের সামনে। তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন স্থানীয় একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর মানুষকে সেনাবাহিনীতে এভাবে জোর করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীতে নিয়োগ সম্পর্কে গুজব শুনে গত দুই সপ্তাহ ধরে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করছিলেন আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, জেনারেল আমাদের বলেছেন যে, আরাকান আর্মি (বিদ্রোহী গোষ্ঠী) এলাকাটি দখল করেছে। আমাদের দায়িত্ব হলো নিজেদের রক্ষা করা। কারণ বিদ্রোহীরা যখন আক্রমণ করছে তখন সাধারণ জনগণের মৃত্যু হচ্ছে। স্থানীয় বৌদ্ধ রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর আরাকান আর্মির কাছে রাজ্যটিতে ভূখ- হারাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিসংঘ বলেছে, সেনাবাহিনীর জোরপূর্বক নিয়োগের লক্ষ্য হলো সেনাদের হতাহত ও পক্ষত্যাগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। প্রতি মাসে ৫ হাজার সেনা নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে সামরিক বাহিনীর। সেনা নিয়োগ সংশ্লিষ্ট আইনটি দেশটির নাগরিকদের ওপর কার্যকর হওয়ার কথা। তাত্ত্বিকভাবে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুরা ১৯৮২ সালের এক আইনের আওতায় নাগরিকত্ব বঞ্চিত। কয়েক দশক ধরে নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছেন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কে কোন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে সেটির ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী উভয়ের পক্ষ থেকে তাদের হয়ে লড়াইয়ের চাপের কথা জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা। কিন্তু অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তাদেরকে রণক্ষেত্রে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। আব্দুল্লাহ বলেন, সামরিক ঘাঁটিতে আমি অনেক মরদেহ দেখেছি। ছয় মাস প্রশিক্ষণ নেওয়া সেনারা লড়াইয়ে মারা যাচ্ছে, মাত্র দশ দিনের প্রশিক্ষণের পর আমরা কীভাবে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করব? আমি নিশ্চিত ছিলাম লড়াইয়ে আমরা মারা পড়ব। আব্দুল্লাহ অন্যদের পালিয়ে যেতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন। দ্য গার্ডিয়ান।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পথশিশুদের নিয়ে বিপিএলের ট্রফি উন্মোচন
তামিমকে বিসিবির ধন্যবাদ
গণহত্যাকারীদের বিচারিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে: সারজিস
দ্বিতীয় চালানে ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার টন চাল
গাঁজা সেবনের অভিযোগে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
উইন্ডিজ সিরিজে পাকিস্তান দলে ৭ পরিবর্তন, নেই আফ্রিদি
সুইজারল্যান্ডে গ্লোবাল এসএমই সামিট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩-২৫ এপ্রিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসিম : সিলেটে কাইয়ুম চৌধুরী
ডার্ক ওয়েবে গ্রাহকের তথ্য বিক্রির অভিযোগ : সিটি ব্যাংকের ব্যাখ্যা
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ‘বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত
গফরগাঁওয়ে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধুর মৃত্যু
কর্মীদের বীমা সুরক্ষা প্রদানে ঢাকা ব্যাংক ও মেটলাইফের চুক্তি স্বাক্ষর
পাঠ্যবইয়ে নাম যুক্ত হওয়ায় আমার চেয়ে পরিবার বেশি খুশি: নিগার
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় সম্মেলন- ২০২৫ অনুষ্ঠিত
শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার আভাস, বাড়বে রাত-দিনের তাপমাত্রা
বগুড়ায় শিবিরের সাবেক কর্মী সাথী ও সদস্যদের মিলন মেলায় রাফিকুল ইসলাম খান
ক্যাম্পাসভিত্তিক জুলাইয়ের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখার আহ্বান প্রেস সচিবের
শিবালয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর পদ্মায় ভেসে উঠলো বারেক মেম্বরের লাশ
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন: যাদের উপর থাকবে নজর
এবি পার্টির কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি