ঢাকা   শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮ কার্তিক ১৪৩১

মোদিবিরোধী স্লোগানে উত্তাল রাজ্যসভা

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম

ভারতের লোকসভার পুনরাবৃত্তি হলো রাজ্যসভায়। সংসদের উচ্চকক্ষে জবাবী ভাষণ দিতে উঠেও বিরোধীদের স্লোগানের মুখে পড়তে হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বুধবার রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে উঠলে এমন পরিস্থিতিতে পড়েন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভাষণের শুরুতেই বিরোধী ইনডিয়া জোটকে খোঁচা দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, স্বাধীনতার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আবারও একটি সরকারকে (এনডিএ জোট) তৃতীয়বারের জন্য বেছে নিয়ে দেশের জনগণ। বিপুল সমর্থন-আশীর্বাদ করে ফের এনডিএ জোট সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে তারা। কিছু মানুষ জেনেবুঝেও বাস্তব দেখতে পাচ্ছে না। কেউ কেউ আবার বুঝতে পারেনি। যারা বুঝতে পেরেছে তারা চেষ্টা করেছে জনগণের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্ণয়টিকে কীভাবে ব্ল্যাক আউট করা যায়। গত দু’দিন ধরে দেখছি, শেষ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে অনেকেই। নরেন্দ্র মোদির ভাষণের মাঝেই শুরু হয় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) সেøাগান। রাজ্যসভার বিরোধী নেতাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাতে শুরু করেন বিরোধী এমপিরা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চকক্ষ। এরপরই ওয়াকআউট করেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালে বিরোধীদের ওয়াকআউট নিন্দাজনক বলে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। নরেন্দ্র মোদির মুখে এ দিন ফের এনডিএ জোট সরকারের গুনগান শোনা যায়। তিনি বলেন, নির্বাচনে দেশের মানুষের বিবেক বুদ্ধি নিয়ে গর্ব হচ্ছে। তারা প্রোপাগান্ডার রাজনীতিকে পরাস্ত করেছে। পারফরম্যান্সকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৭৫তম বর্ষে প্রবেশ করছি। সংসদেরও ৭৫তম বর্ষ এটি। সংবিধানের প্রতিটা শব্দ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের নীতি নির্ধারণে সংবিধানই মার্গ দর্শন করায়। যখন ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালনের প্রস্তাব তোলা হয়, তখন যারা আজ সংবিধান নিয়ে প্রদর্শন করে তারা বিরোধিতা করেছিল। তুমুল উত্তেজনার মাঝে বারবার থামতে হয় নরেন্দ্র মোদিকে। চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বারবার বিরোধীদের থামতে অনুরোধ করেন। তারপরই ওয়াকআউট করতে দেখা যায় বিরোধীদলীয় এমপিদের। নরেন্দ্র মোদি বলেন, এতগুলো মিথ্যা রটানোর পর সত্য শোনার ক্ষমতা নেই তাদের। দেশ দেখছে। জনতার নির্ণয় এবং পরাজয়ের পর অলি-গলিতে সেøাগান দেওয়া আর চিৎকার করা ছাড়া কোনও কাজ নেই তাদের। তাই আজ ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করা নিয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান জগদীপ খনখড়। তিনি বলেন, সংসদের বিরোধী এমপিরা আমায় পিঠ দেখিয়ে যাননি, সংবিধানের অপমান করেছেন। সংসদের উচ্চকক্ষকে অসম্মান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন কেন ওয়াকআউট? জবাবে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবে দেওয়া বক্তব্যে বেশ কিছু ভুল মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বদা মিথ্যা বলা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) তো সংবিধান তৈরির সময় বিরোধিতা করেছিল। উনি বলছেন আমরা না কি বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অসম্মান করেছি। আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম, বাবাসাহেব কী বলেছিলেন এবং আরএসএস কী ভূমিকা ছিল। কিন্তু, আমায় বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এনডিটিভি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

আগামী মৌসুমে নেইমারের গন্তব্য কোথায়?

আগামী মৌসুমে নেইমারের গন্তব্য কোথায়?

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

বন্য হাতি হামলা

বন্য হাতি হামলা

পলো বাওয়া উৎসব

পলো বাওয়া উৎসব

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে