তাণ্ডব চালিয়ে ফিলিস্তিনির দুই শহরে সেনা প্রত্যাহার করল ইসরাইল

ফিলিস্তিনিদের রক্ষার দায়িত্ব থেকে পিছু হটবে না তুরস্ক

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ইসরাইলি দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার দায়িত্ব থেকে পিছু হটবে না তুরস্ক। দেশটির স্থপতি এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতাতুর্কসহ পূর্বপুরুষদের কাছে ফিলিস্তিনির সম্পর্ক ছিল সবকিছুর ঊর্ধ্বে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য তুরস্কের প্রতিশ্রুতি জারি থাকার ঘোষণা দেন তিনি। শুক্রবার তুর্কি মিলিটারি একাডেমির স্নাতক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনির প্রতি তুরস্কের সমর্থনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এরদোগান। এরদোগান বলেন, যারা বলে আমরা জেরুজালেম নিয়ে চিন্তা করি না, সে এই জাতির ইতিহাস জানে না। ইসরাইলের জোরপূর্বক দখল করা জেরুজালেমের সঙ্গে তুরস্কের চার শতাব্দীর ইতিহাস জড়িয়ে আছে। অটোমান সাম্রাজ্যে দীর্ঘ কয়েকশো বছর তুরস্কের অধীনে ছিল জেরুসালেমসহ আরব বিশ্বের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তুর্কি রাষ্ট্রপ্রধান আরো বলেন, আমরা জেরুজালেম থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না। ইস্তাম্বুল এবং জেরুজালেম কে আলাদা করতে পারে? ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরাইল। এরপর ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেমের দখল নেয় তারা। তখন এক রকম জোর করে জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও তাদের এই দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেয়নি। এরদোগান বরাবরই এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার। ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। অপর খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণের খান ইউনিস ও মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় সামরিক অভিযান সমাপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। মাসব্যাপী অভিযান শেষে এই দুই শহর পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে দখলদার সেনাবাহিনী। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ। ইসরাইল সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, খান ইউনিস ও দেইর আল-বালাহতে আড়াই শর বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া হামাসের ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুড়ঙ্গপথ ধ্বংস করে উদ্ধার করা হয়েছে ছয় জিম্মির লাশ। ইসরাইল আরো জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় যেসব ফিলিস্তিনিকে শহর ছাড়তে বলা হয়েছিল তারা এখন ফিরতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে খান ইউনিস ও দেইর আর বালাহ আবারও নিরাপদ মানবিক অঞ্চলে পরিণত হলো। খান ইউনিস ও দেইর আল বালাহ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া সেনারা এবার গাজা উপত্যকার অন্য এলাকায় অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজায় ১০ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৯৮ হাজারের বেশি মানুষ। ডেইলি সাবাহ, আল-জাজিরা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারকে গতিশীল করতে হবে-  উপদেষ্টা শারমীন

ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারকে গতিশীল করতে হবে- উপদেষ্টা শারমীন

এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

পাংশায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

পাংশায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

শফিক রেহমান-রহমান মুরুব্বী এক্সপোজড

শফিক রেহমান-রহমান মুরুব্বী এক্সপোজড

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাদের বাগোয়ান বাসীর সংবর্ধনা

মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাদের বাগোয়ান বাসীর সংবর্ধনা

জনগণের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন

জনগণের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন

কৃষির সাথে যেমন কৃষকের সম্পর্ক তেমনি দেশের জনগনের সাথে বিএনপির সম্পর্ক :  শামীম তালুকদার

কৃষির সাথে যেমন কৃষকের সম্পর্ক তেমনি দেশের জনগনের সাথে বিএনপির সম্পর্ক : শামীম তালুকদার

৪২ চার ও ১৬ ছক্কায় অপরাজিত ৩৪৬!

৪২ চার ও ১৬ ছক্কায় অপরাজিত ৩৪৬!

কুমারখালীতে টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ

কুমারখালীতে টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ

দেশের ৬০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও কৃষকের স্বার্থে কোনো সংগঠন গড়ে ওঠেনি'

দেশের ৬০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও কৃষকের স্বার্থে কোনো সংগঠন গড়ে ওঠেনি'

নিজের বিয়ে নিয়ে কি বললেন পড়শী

নিজের বিয়ে নিয়ে কি বললেন পড়শী

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সীমান্ত হত্যায় ব্যবহৃত চাকুসহ আরো এক আসামী  গ্রেফতার

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সীমান্ত হত্যায় ব্যবহৃত চাকুসহ আরো এক আসামী গ্রেফতার

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়লো

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়লো

৪২ মিনিটেই নেইমারের আয় ১০১ মিলিয়ন ইউরো

৪২ মিনিটেই নেইমারের আয় ১০১ মিলিয়ন ইউরো

ফেব্রুয়ারিতে পার্স-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ইরান

ফেব্রুয়ারিতে পার্স-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ইরান

মাগুরায় পিলখানা হত্যাকান্ডে হত্যাকারী ও পরকল্পনাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মাগুরায় পিলখানা হত্যাকান্ডে হত্যাকারী ও পরকল্পনাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

কসাই থেকে নদীখেকো জাফর

কসাই থেকে নদীখেকো জাফর

পাঁচ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঁচ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পাঁচ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঁচ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ফ্যাসিবাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সক্রিয় ছিল ইবি ছাত্রদল

ফ্যাসিবাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সক্রিয় ছিল ইবি ছাত্রদল