অ্যাম্বুলেন্সে শ্লীলতাহানি, বাধা দেয়ায় ফেলা হলো রাস্তায়

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

 অ্যাম্বুলেন্সে নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই ওই নারী ও তার অসুস্থ স্বামীকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে ফেলে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পরই আরও অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তার স্বামীর। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার। জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ওই নারীর স্বামী। তাকে স্থানীয় একটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান স্ত্রী। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে স্বামীর চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ ছিল না তার। তাই বাধ্য হয়েই স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। অভিযোগ, ওই নারীকে পাশে বসতে বাধ্য করেন চালক ও তার সহকারী। নারী অ্যাম্বুল্যান্সের সামনের আসনে বসেন। কিছু দূর যাওয়ার পরই অভিযুক্তরা তার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই তার ওপর চড়াও হন চালক ও তার সহকারী। অসুস্থী স্বামীর অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর দু’জনকেই অ্যাম্বুলেন্স থেকে ঠেলে রাস্তা ফেলে দেন অভিযুক্তরা। এতে গুরুতর জখম হন তার স্বামী। তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপর পর তার স্ত্রী ওই জায়গা থেকেই ভাইকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। তার ভাই পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালের পথেই মৃত্যু হয় স্বামীর। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফলতির অভিযোগ তুলেছেন ওই নারী। অভিযুক্তদের ধরতে তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে বলে দাবি অভিযোগকারীর। এনডিটিভি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার