মার্কিন নির্বাচনের আগেই কৌশলগত সাফল্য নিশ্চিত করতে চায় ইসরাইল
২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করা হামলার নেপথ্য কারিগর হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুকে বড় বিজয় হিসেবে দেখছে ইসরাইল। তবে শুধু সামরিক জয়ে সন্তুষ্ট নয় তারা, ইসরাইলি নেতারা এমন কিছু কৌশলগত অর্জন নিশ্চিত করতে চাইছেন যা অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা পরিবর্তন করবে এবং তাদের সীমান্ত নিরাপদ করবে। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত সূত্রগুলোর বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় ইসরাইল গাজা এবং লেবাননে হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করছে। যাতে করে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথের আগেই একটি অপ্রতিরোধ্য বাস্তবতা তৈরি করা যায়। আটজন সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, তারা কার্যত বাফার জোন সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ইসরাইলের কৌশলগত লক্ষ্য হলো, শত্রুপক্ষ ও তাদের পৃষ্ঠপোষক ইরান যেন পুনরায় সংগঠিত হয়ে ইসরাইলি নাগরিকদের ওপর হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। পশ্চিমা কূটনীতিক, লেবানিজ ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মতে, এ জন্যই সামরিক অভিযান জোরদার করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশা করছেন সিনওয়ারের মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় যুদ্ধ থামানোর জন্য চাপ দেওয়া যাবে। তবে নেতানিয়াহু হয়তো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পছন্দ করবেন। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বা তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করবেন। ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যেকোনও অস্ত্রবিরতি চুক্তি বিবেচনার আগে ইসরাইল নিজের উত্তরের সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করছে। একইসঙ্গে তারা গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে পুনরায় প্রবেশ করছে। এটিকে উত্তর গাজাকে পুরো উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ফিলিস্তিনিরা ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। ১ অক্টোবর ইরানের দ্বিতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে ইসরাইলের। গত মাসে লেবাননে শুরু করা স্থল অভিযানে হিজবুল্লাহকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পিছু হটিয়ে লিটানি নদীর ওপারে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৭০১ বাস্তবায়ন এবং সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক হবে। হিজবুল্লাহ অস্ত্র সমর্পণে রাজি নয়। ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর থেকে তারা সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিয়ে নিয়মিত গুলি বিনিময়ে লিপ্ত রয়েছে। ইসরাইলের মতে, রেজুলেশন ১৭০১ কার্যকর করতে এবং উত্তরের প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক পদক্ষেপ জরুরি। ইসরাইলি সেনারা হিজবুল্লাহর অবস্থান ও অবকাঠামো ধ্বংস করতে চাইছে। এতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। বিস্তৃত অভিযান দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। ইসরাইল গাজার সীমানার পাশেও বাফার জোন তৈরির পরিকল্পনা করছে। গাজার জাবালিয়া অঞ্চলে অভিযান নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ইসরাইল হয়তো গাজাবাসীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সিরিয়ায় আসাদের পতন, ঘরে ফিরছে ৩০ হাজার শরণার্থী
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত
ভুল তথ্যে চায়ের দোকানে ফায়ার সার্ভিস, অথচ পানের বরজ পুড়ে ছাই
আবারো উত্তপ্ত মণিপুরের দুই গ্রাম, সংঘর্ষে নিহত ১
শেখ হাসিনাকে সহজে ফেরত দেবে না ভারত : দ্য ইকোনমিক টাইমস
ইতালিয়ান সাংবাদিক সেসিলিয়া সালাকে ইরানে আটকের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ
মরক্কো উপকূলে নৌকা ডুবে ৬৯ অভিবাসীর মৃত্যু
ভারতে ৯ মাস কারাভোগের পর ৬ বাংলাদেশী জেলেকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ
সচিবালয়ে প্রবেশের সব অস্থায়ী পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকরাও
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৭, আহত ৯৮
ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে সিলেট সীমান্তে আরেক যুবক খুন
খাঁটি মুসলমান হতে হলে পরিপূর্ণভাবে ইসলাম মেনে চলতে হবে-ছারছীনা পীর সাহেব
জুলাই হতাহতের বিচার আদৌ হবে কিনা সংশয় স্বজনের মধ্যে
হরিণাকুন্ডুতে যুবদল সভাপতির উপর গুলি অল্পের জন্য রক্ষা
সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা : যুব সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে :পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেই সুখরঞ্জন বালির ভারতে গুমের লোমহর্ষক কাহিনী
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন শাস্তি হলে হাসিনার সুযোগ নেই :অ্যাটর্নি জেনারেল
থার্টি ফাস্ট নাইট নিষিদ্ধ করতে হবে আইন করে :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই