ট্রাম্প-মোদি সদ্ভাবের ওপর বাজি ভারতের জন্য অপমানজনক হতে পারে
১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় বারবার বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির উপর বড় ধরণের শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন। তার চীনা পণ্যের উপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকির পাশাপাশি, ভারতও তার লক্ষ্যবস্ত ছিল। তিনি ভারতকে একটি প্রধান শুল্ক আরোপকারী হিসেবে অভিহিত করে প্রত্যুত্তরে একই কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং ধারাবাহিকভাবে ভারতের শীর্ষ দুই বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে অবস্থান করছে। গত বছর ভারতের জন্য ৩হাজার কোটি ডলার উদ্বৃত্ত সহ মার্কিন-ভারত বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২হাজার কোটি ডলার। কিন্তু ট্রাম্প যখন আবার ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন তার কঠোর বাণিজ্য পরিকল্পনা এবং তার অভিবাসন বিরোধী বক্তব্য ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করার সম্ভবনা তৈরি করেছে।
অনেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার সদ্ভাবের প্রতি আস্থা রেখে বাজি ধরলেও, নয়াদিল্লির কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট-এর অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ধর বলেছেন, ‹ট্রাম্পের দেয়া এই সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে আসলেই টানাপোড়েন হতে পারে। যদি তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করেন, এটি ভারতের জন্য খুব খারাপ খবর হবে।’
ট্রাম্পের ‹আমেরিকা ফার্স্ট› নীতি, যার লক্ষ্য আমদানির উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে দেশীয় কর হ্রাস করা, তা মার্কিন গ্রাহকদের জন্য আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি তথ্য প্রযুক্তি এবং গাড়ি থেকে শুরু করে ওষুধ শিল্প পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় রপ্তানিমুখী শিল্পগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
প্রভাবশালী রপ্তানিকারক ভারতের সাথে তাদের বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে সুপ্ত উত্তেজনা রয়েছে। ওয়াশিংটন, ডিসি-ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ‹তবে উত্তেজনা এখন প্রকাশ্যে আসতে পারে এবং নতুন ট্রাম্প প্রশাসনে বিস্ফোরিত হতে পারে।›
যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ বিদেশী পেশাদারদের জন্য একটি পরিকল্পনা এইচ-১বি ভিসা নিয়েও এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতীয়রা এই ভিসাধারীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধিত্ব করে, যা গত বছরে ৭২.৩ শতাংশ ছিল। চীনারা ১১.৭ শতাংশ সহ এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ধর বলেছেন, এইচ-১বি আবেদন নাকচের হার ২০১৫ সালে ৬ শতাংশ থেকে ২০১৮ সালে ২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে (ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পর)। ফলে অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের কড়া নীতিও ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।
গত এক বছর ধরে, ভারতীয় গোয়েন্দারা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার চেষ্টা করেছে, মার্কিন আইনজীবিদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইতিমধ্যেই হোঁচট খেয়েছে। কুগেলম্যান বলেন, ‹ট্রাম্প নিজেকে একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে তুলে ধরেন এবং তার রাজনীতির কারণে তিনি তার উদ্বেগের বিষয়ে খুব বেশি সপ্রতিভ হওয়ায় রাজনৈতিক সুবিধা পাবেন বলে মনে হচ্ছে।
কুগেলম্যান বলেন, ‘রাশিয়া, চীন বা বাণিজ্য নয়, ভাড়াটে খুনী দ্বারা হত্যা চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে সবচেয়ে বড় টানাপোড়েন রয়েছে। এটি ভারতের জন্য একটি অপমাণজনক জাগরণ হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে।’
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ