যুদ্ধবিরতির পর ঘরে ফিরছে মানুষ দক্ষিণ লেবাননে
২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ এএম
গাড়ি ও ভ্যানে গদি, স্যুটকেস, আসবাবপত্র বোঝাই করে নিয়ে বাড়িমুখো মানুষ। তবে ইসরাইল বলেছে, কিছু এলাকায় এখনই ফেরা নিরাপদ নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির মাধ্যমে বুধবার ইসরাইল ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর দক্ষিণ লেবাননে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। তবে ইসরাইল সতর্ক করে বলেছে, কিছু এলাকায় এখনই মানুষের ঘরে ফেরা নিরাপদ নয়। দক্ষিণ লেবাননের টাইর বন্দরে গাড়ি ও ভ্যানে গদি, স্যুটকেস ও আসবাবপত্র বোঝাই করে নিয়ে স্থানীয়দের বাড়ি অভিমুখে ফিরতে দেখা গেছে। যুদ্ধবিরতির আগের কয়েকটি দিনে সেখানে তুমুল বোমা হামলা হয়েছিল। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের জোর হামলার মুখে অধিবাসীরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়াতে সেইসব মানুষদেরই অনেকে এখন ফিরে আসছেন। ফিরতি মানুষদের গাড়িগুলোর কোনও কোনওটিতে উড়তে দেখা যাচ্ছে লেবাননের পতাকা। কোনও গাড়ির হর্ন বাজছে আবার ফিরতি পথে থাকা এক নারীকে আঙুল তুলে জয়ের ভি চিহ্নও প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। যেসব গ্রামে মানুষ ফিরে যাচ্ছেন, সেগুলোর অধিকাংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তারপরও বিকল্প বাসস্থানে বাড়িভাড়ার চাপে অনেক পরিবার আর্থিক কষ্টে পড়ায় আরেক মাসের ভাড়ার খরচ এড়াতে তারা এখন বিধ্বস্ত বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন কথাই বলেছেন কয়েকজন। তবে অনেকে আবার বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে না ফিরে ফিরছেন পৈতৃক ভিটায়। তেমনই একজন হুসাম আরউত। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন আর মূলত তিনি ছিলেন দক্ষিণ সীমান্তবর্তী গ্রাম মাইস আল-জাবালের বাসিন্দা। পৈতৃক ভিটায় ফিরছেন তিনি। হুমাস বলেন, “ইসরাইলিরা পুরোপুরি সরে যায়নি। তারা এখনও সীমান্তে আছে। তাই আমরা সেনাবাহিনী কখন আমাদেরকে ফিরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দেবে সে অপেক্ষায় আছি। তারা বললেই আমরা গাড়ি ঘুরিয়ে আবার গ্রামে ফিরে যাব।” বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়ে এলাকাতেও লোকজন তাদের বাড়িঘরের অবস্থা দেখতে ফিরে যাচ্ছে। প্রায় দুমাস ধরে ইসরাইলের বোমা হামলায় এই এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। সেখানকার রাস্তাঘাট এখন পর্যন্ত ছিল ফাঁকা। হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তারা এখন আবার ফিরছে। কিছু কিছু গাড়িতে হিজবুল্লাহর পতাকা উড়তে দেখা যাচ্ছে। দাহিয়ের কিছু কিছু ভবন এখনও দাঁড়িয়ে আছে। তবে সেগুলো ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে- এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। তারা জানান, এখন কোন ভবনগুলো নিরাপদ আর কোনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞ ও স্থপতিরা। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস