ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব
১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধী পার্লামেন্ট সদস্যরা। মঙ্গলবার আনা এই প্রস্তাব ভারতের পার্লামেন্টের ইতিহাসে এটিই প্রথম। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, এই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে সই করেছেন রাজ্যসভার ৫০ জনের বেশি এমপি। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান ধনখড়ের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘাত বাড়তে থাকার জেরে কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ভারতীয় সংবিধানের ৬৭(বি) ধারায়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে আরও আগেই অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ছিল বিরোধী শিবিরের। তবে তা আনা হয়নি। এ বার শীতকালীন অধিবেশনে সেটিই পেশ করা হল। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিক অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এ প্রস্তাব সমর্থন করেছে। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অভিযোগ, রাজ্যসভায় শাসক শিবিরের প্রতি ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ জগদীপ ধনখড়। বিরোধী এমপি’দের ভাষণে নজিরবিহীনভাবে তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে থেকেও ধনখড় নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকা ছেড়ে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছেন বলে বিরোধী শিবিরের এমপি’রা অভিযোগ করেছেন। এসব কারণেই তাদের সরাসরি এ অনাস্থা প্রস্তাব আনার উদ্যোগ। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে এই প্রস্তাব পেশ করার করার কথা এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। ভারতের পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয় ২৫ নভেম্বর। প্রথম থেকেই গৌতম আদানি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তাল ছিল দুই কক্ষ। গত মঙ্গলবারও সংসদে হই-হট্টগোল হয়েছে। আদানি থেকে জর্জ সোরোস, বিজেপি-র সঙ্গে বচসা বাধে বিরোধী শিবিরের এমপি’দের। এর পর পার্লামেন্টের দুই কক্ষেরই অধিবেশন মুলতুবি হয়। সেই আবহেই ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল। এমনিতে কংগ্রেসের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিকদের একাধিক বিষয়ে মতানৈক্য থাকলেও ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে তারা। কংগ্রেসের মিডিয়া ইনচার্জ জয়রাম রমেশ বলেন, ্ররাজ্যসভার সম্মানীয় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা ছাড়া ইন্ডিয়া শিবিরের শরিক দলগুলোর আর কোনও উপায় নেই। তিনি অত্যন্ত একপেশে ভাবে রাজ্যসভা পরিচালনা করছেন। ‹ইন্ডিয়া›র দলগুলির কাছে এটি খুবই বেদনাদায়ক। সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।” রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ার মানে, তাকে পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা। এক্ষেত্রে অধিবেশনে উপস্থিত ৫০ শতাংশ এমপি’র সই প্রয়োজন। পাশাপাশি, ঘটনার সময় উপস্থিত আরও একজনের সই দরকার হয়। রাজ্যসভায় প্রস্তাবটি পাস হলে, লোকসভায় তোলা হবে। সেখানেও যদি প্রস্তাব পাস হয়, সেক্ষেত্রে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ চলে যাবে। সংবিধানের ৬৭ (বি), ৯২ এূবং অনুচ্ছেদ ১০০-তে এমনটিই বলা আছে। এনডিটিভি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার